০২:৪৭ অপরাহ্ন, বুধবার, ১৮ জুন ২০২৫, ৪ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

নীলফামারীতে অসময়ে পানি বৃদ্ধি হাঁটু পানিতে ধান কাটছেন কৃষক

নীলফামারী হঠাৎ কয়েকদিনের টানা বৃষ্টিতে নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়েছে। তলিয়ে গেছে বিভিন্ন ফসলি জমি। উঠতি ফসল ধান, পাট, ভূট্টা, বাদাম সহ অন্যান্য তলিয়ে যাওয়ায় দিশেহারা হয়ে পরেছে কৃষক। কোন উপায় না পেয়ে হাটু পানিতে ধান কাটছেন কৃষক। হাটু পানিতে ধান কেটে নিলেও শুকানো নিয়ে দু:শ্চিন্তায় ফসলি চাষীরা। এভাবে পানি বৃদ্ধি পেলে কৃষকের বড় ধরনের ক্ষতি হবে বলে ধারণা করা হচ্ছে।

জেলা কৃষি অফিস সূত্রে জানা যায়, এবার জেলায় ধান, পাট, ভূট্টা, বাদাম, মরিচের বাম্পার ফলন হয়েছে। উঠতি ফসলের মধ্যে ধান কাটা শুরু হয়ে গেছে। কিন্তু হঠাৎ বৃষ্টিতে বিভিন্ন অঞ্চলে ধান ক্ষেতে পানি জমেছে। কৃষকেরা ধান ঘরে তুলতে হাটু পানির মধ্যে ধান কাটছেন। নিচু এলাকার বাদাম,পাট,মরিচ এগুলো পানিতে তলিয়ে রয়েছে। বৃষ্টি না কমলে কৃষকের উঠতি ফসল তুলতে কষ্ট হবে।

সদরের লক্ষীচাপ ইউনিয়নের কৃষক রতন রায় বলেন, আমি ৩ বিঘা জমিতে ধান রোপন করি। ধান পেকে গেছে। কিন্তু হঠাৎ কয়েক দিনের ভারী বৃষ্টির কারনে ধান কাটা মুশকিল হয়েছে। কোন উপায় না পেয়ে হাঁটু পানিতেই ধান কাটতেছি। পানিতে ধান না কাটলে ভারী বৃষ্টিতে ধানের শীষ ছিরে নষ্ট হয়ে যাবে এবং আরো পানি বৃদ্ধি পাবে।

কৃষক নাজমুল ইসলাম বলেন,আমি ধান, ভূট্টা,বাদাম,মরিচ চাষ করেছি। আকস্মিক বৃষ্টির পানিতে সব তলিয়ে গেছে। তবে খরা হলে ফসল গুলো ভালো থাকবে। তবে ভূট্টা ও ধান পানিতেই মাড়াই করছি। কারন এসব ফসল বেশী পেকে গেছে, না কাটলে আরো বেশী ক্ষতি হবে।

নীলফামারী জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক ড.এসএম আবু বকর সাইফুল ইসলাম বলেন, এবার ধানের বাম্পার ফলন হয়েছে। কৃষকের ধান মাড়াইয়ের সময়ে হঠাৎ বৃষ্টির পানি বৃদ্ধি হওয়ায় ফসল ঘরে তুলতে সমস্যা হচ্ছে। তবে নিম্নাঞ্চলে ফসলি জমিতে পানি লেগেছে।

জনপ্রিয় সংবাদ

জলঢাকায় স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের অব্যবস্থাপনা নিয়ে এনসিপির সংবাদ সম্মেলন

নীলফামারীতে অসময়ে পানি বৃদ্ধি হাঁটু পানিতে ধান কাটছেন কৃষক

প্রকাশিত ০৩:১৫:৩৬ অপরাহ্ন, বুধবার, ২১ মে ২০২৫

নীলফামারী হঠাৎ কয়েকদিনের টানা বৃষ্টিতে নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়েছে। তলিয়ে গেছে বিভিন্ন ফসলি জমি। উঠতি ফসল ধান, পাট, ভূট্টা, বাদাম সহ অন্যান্য তলিয়ে যাওয়ায় দিশেহারা হয়ে পরেছে কৃষক। কোন উপায় না পেয়ে হাটু পানিতে ধান কাটছেন কৃষক। হাটু পানিতে ধান কেটে নিলেও শুকানো নিয়ে দু:শ্চিন্তায় ফসলি চাষীরা। এভাবে পানি বৃদ্ধি পেলে কৃষকের বড় ধরনের ক্ষতি হবে বলে ধারণা করা হচ্ছে।

জেলা কৃষি অফিস সূত্রে জানা যায়, এবার জেলায় ধান, পাট, ভূট্টা, বাদাম, মরিচের বাম্পার ফলন হয়েছে। উঠতি ফসলের মধ্যে ধান কাটা শুরু হয়ে গেছে। কিন্তু হঠাৎ বৃষ্টিতে বিভিন্ন অঞ্চলে ধান ক্ষেতে পানি জমেছে। কৃষকেরা ধান ঘরে তুলতে হাটু পানির মধ্যে ধান কাটছেন। নিচু এলাকার বাদাম,পাট,মরিচ এগুলো পানিতে তলিয়ে রয়েছে। বৃষ্টি না কমলে কৃষকের উঠতি ফসল তুলতে কষ্ট হবে।

সদরের লক্ষীচাপ ইউনিয়নের কৃষক রতন রায় বলেন, আমি ৩ বিঘা জমিতে ধান রোপন করি। ধান পেকে গেছে। কিন্তু হঠাৎ কয়েক দিনের ভারী বৃষ্টির কারনে ধান কাটা মুশকিল হয়েছে। কোন উপায় না পেয়ে হাঁটু পানিতেই ধান কাটতেছি। পানিতে ধান না কাটলে ভারী বৃষ্টিতে ধানের শীষ ছিরে নষ্ট হয়ে যাবে এবং আরো পানি বৃদ্ধি পাবে।

কৃষক নাজমুল ইসলাম বলেন,আমি ধান, ভূট্টা,বাদাম,মরিচ চাষ করেছি। আকস্মিক বৃষ্টির পানিতে সব তলিয়ে গেছে। তবে খরা হলে ফসল গুলো ভালো থাকবে। তবে ভূট্টা ও ধান পানিতেই মাড়াই করছি। কারন এসব ফসল বেশী পেকে গেছে, না কাটলে আরো বেশী ক্ষতি হবে।

নীলফামারী জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক ড.এসএম আবু বকর সাইফুল ইসলাম বলেন, এবার ধানের বাম্পার ফলন হয়েছে। কৃষকের ধান মাড়াইয়ের সময়ে হঠাৎ বৃষ্টির পানি বৃদ্ধি হওয়ায় ফসল ঘরে তুলতে সমস্যা হচ্ছে। তবে নিম্নাঞ্চলে ফসলি জমিতে পানি লেগেছে।