১১:৩৪ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ১৫ জুন ২০২৫, ১ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

বাজারে অপরিপক্ব লিচু, দাম বেজায় চড়া

উত্তরের বাণিজ্যিক শহর নীলফামারীর সৈয়দপুরের বাজারে উঠতে শুরু করেছে মৌসুমি ফল লিচু। এসব লিচু রাজশাহী, দিনাজপুর কিংবা জয়পুরহেটের নয়।

উপজেলা ও আশেপাশের এলাকা থেকে আসা। অপরিপক্ব, মিষ্টি তুলনামুলকভাবে কম। তবুও বিক্রি হচ্ছে প্রতি ১শ লিচু ২শ থেকে সর্বোচ্চ ৭শ টাকা দরে। ব্যবসায়ীরা আগাম এসব লিচু এনে দুটো পয়সা কামিয়ে নিচ্ছেন। এসব লিচু স্থানীয় জাতের। রংপুরের বদরগঞ্জ উপজেলার দিলালপুর, রংপুরের তারাগঞ্জ, দিনাজপুরের খানসামার পাকেরহাট, ভুল্লি, চিরিরিবন্দর উপজেলার বিভিন্ন এলাকা থেকে এসব অপরিপক্ব লিচু এনে বাজারে বিক্রি করছেন। বাজারে বিভিন্ন নাম দিয়ে দিনাজপুর ও রাজশাহীর লিচু বলে বিক্রি করা হচ্ছে।

ব্যবসায়ীদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, দিনাজপুর ও রাজশাহীর লিচু বাজারে আসতে কয়েকটা দিন দেরি হবে। এখনও সেভাবে নামেনি। তারা প্রস্ততি নিয়ে রেখেছেন। গাছ থেকে নামার সাথে সাথে বাজারে চলে আসবে, এমনটি বলছেন এখানকার ব্যবসায়ীরা। খুচরা ব্যবসায়ী নিয়াজ বলেন, এসব লিচু তারাগঞ্জের দিলালপুর থেকে ১শ টাকা শ হিসাবে কিনে বাজারে ৩শ টাকা বিক্রি করছি। খরচ বাদ দিয়ে লাভ ভালো থাকছে।

সন্তান নিয়ে বাজারে আসা স্কুলশিক্ষক রেজা মাহমুদ জানান, সন্তানদের জেদ আর ধরে রাখতে পারছি না। তাই অপরিপক্ব লিচু জেনেও সন্তানদের বাজারে এনে লিচু কিনতে হচ্ছে। তাদের খুশি করতে ১শ লিচু সাড়ে ৩শ টাকায় কিনেছি। বাড়িতে গিয়ে গুণে দেখি সেখানেও ৮/১০টি লিচু কম রয়েছে। তিনি বলেন, আমার মতো অনেকেই ছেলে-মেয়েদের আবদার রাখতে স্থানীয় জাতের অপরিপ্ক্ক লিচুই কিনছেন।

আড়তে কথা হয় পাইকারী ব্যবসায়ী আজিজুল ইসলামের সাথে। তিনি বলেন, আশেপাশের এলাকা থেকে স্থানীয় জাতের এসব লিচু সংগ্রহ করে বিক্রি করা হচ্ছে। এখান থেকে লিচু জেলার ডোমার, ডিমলা, জলঢাকা, কিশোরগঞ্জসহ গ্রামের হাটবাজারগুলোতে যাচ্ছে। খুচরা পর্যায়ে ৪শ থেকে সর্বোচ্চ ৭শ টাকায় বিক্রি হচ্ছে স্থানীয় জাতের এসব লিচু।

জনপ্রিয় সংবাদ

নীলফামারীতে রব্বানী হত্যাকারীদের গ্রেফতারের দাবিতে মানববন্ধন

বাজারে অপরিপক্ব লিচু, দাম বেজায় চড়া

প্রকাশিত ০৭:২৩:৩৪ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৭ মে ২০২৫

উত্তরের বাণিজ্যিক শহর নীলফামারীর সৈয়দপুরের বাজারে উঠতে শুরু করেছে মৌসুমি ফল লিচু। এসব লিচু রাজশাহী, দিনাজপুর কিংবা জয়পুরহেটের নয়।

উপজেলা ও আশেপাশের এলাকা থেকে আসা। অপরিপক্ব, মিষ্টি তুলনামুলকভাবে কম। তবুও বিক্রি হচ্ছে প্রতি ১শ লিচু ২শ থেকে সর্বোচ্চ ৭শ টাকা দরে। ব্যবসায়ীরা আগাম এসব লিচু এনে দুটো পয়সা কামিয়ে নিচ্ছেন। এসব লিচু স্থানীয় জাতের। রংপুরের বদরগঞ্জ উপজেলার দিলালপুর, রংপুরের তারাগঞ্জ, দিনাজপুরের খানসামার পাকেরহাট, ভুল্লি, চিরিরিবন্দর উপজেলার বিভিন্ন এলাকা থেকে এসব অপরিপক্ব লিচু এনে বাজারে বিক্রি করছেন। বাজারে বিভিন্ন নাম দিয়ে দিনাজপুর ও রাজশাহীর লিচু বলে বিক্রি করা হচ্ছে।

ব্যবসায়ীদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, দিনাজপুর ও রাজশাহীর লিচু বাজারে আসতে কয়েকটা দিন দেরি হবে। এখনও সেভাবে নামেনি। তারা প্রস্ততি নিয়ে রেখেছেন। গাছ থেকে নামার সাথে সাথে বাজারে চলে আসবে, এমনটি বলছেন এখানকার ব্যবসায়ীরা। খুচরা ব্যবসায়ী নিয়াজ বলেন, এসব লিচু তারাগঞ্জের দিলালপুর থেকে ১শ টাকা শ হিসাবে কিনে বাজারে ৩শ টাকা বিক্রি করছি। খরচ বাদ দিয়ে লাভ ভালো থাকছে।

সন্তান নিয়ে বাজারে আসা স্কুলশিক্ষক রেজা মাহমুদ জানান, সন্তানদের জেদ আর ধরে রাখতে পারছি না। তাই অপরিপক্ব লিচু জেনেও সন্তানদের বাজারে এনে লিচু কিনতে হচ্ছে। তাদের খুশি করতে ১শ লিচু সাড়ে ৩শ টাকায় কিনেছি। বাড়িতে গিয়ে গুণে দেখি সেখানেও ৮/১০টি লিচু কম রয়েছে। তিনি বলেন, আমার মতো অনেকেই ছেলে-মেয়েদের আবদার রাখতে স্থানীয় জাতের অপরিপ্ক্ক লিচুই কিনছেন।

আড়তে কথা হয় পাইকারী ব্যবসায়ী আজিজুল ইসলামের সাথে। তিনি বলেন, আশেপাশের এলাকা থেকে স্থানীয় জাতের এসব লিচু সংগ্রহ করে বিক্রি করা হচ্ছে। এখান থেকে লিচু জেলার ডোমার, ডিমলা, জলঢাকা, কিশোরগঞ্জসহ গ্রামের হাটবাজারগুলোতে যাচ্ছে। খুচরা পর্যায়ে ৪শ থেকে সর্বোচ্চ ৭শ টাকায় বিক্রি হচ্ছে স্থানীয় জাতের এসব লিচু।