০৭:১৯ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৮ নভেম্বর ২০২৫

কিশোরগঞ্জে চড়া দামের আশায় আগাম আলু চাষ নিয়ে ব্যস্ত কৃষক

নীলফামারী কিশোরগঞ্জ উপজেলায় চড়া দামের আশায় আগাম আলু চাষে ব্যস্ত সময় পার করছেন কৃষক। কয়েক দিনের ভারি বৃষ্টিপাত শেষে আগাম আলু রোপনের ধুম পরেছে। জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর সূএে জানা যায়, চলতি বছর কিশোরগঞ্জ উপজেলায় ৮ হাজার ১৫ হেক্টর জমিতে আলু চাষের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে।

এ পর্যন্ত কিশোরগঞ্জে প্রায় ৩ হাজার হেক্টর জমিতে আগাম আলুর রোপন সম্পুর্ণ হয়েছে। এ উপজেলায় নতুন আলু উৎপাদনে নিজ জেলার চাহিদা মিটিয়ে ঢাকা সহ দেশের অন্যান্য জেলায় রপ্তানি হয়ে থাকে। মৌসুমের শুরুতেই নতুন আলুর দাম সাধারণত প্রতি কেজি ১০০ টাকার উপড়ে থাকে। তাই বেশী লাভের আশায় ঝুঁকি নিয়ে কৃষকেরা আগাম আলু চাষে ব্যস্ত সময় পার করছেন।

সরেজমিনে গিয়ে জানা যায়,উপজেলার উঁচু সমতলভ‚মির বেলে দোআঁশ মাটিতে স্বল্পমেয়াদি ৫৫ থেকে ৬০ দিনে উত্তোলন যোগ্য সেভেন জাতের আগাম আলুর বীজ রোপণ করছেন কৃষক। কিষাণ কিষাণীরা মাঠ জুরে কাজ করছে। আগাম আমন ধান ঘরে তুলে একই জমিতে আগাম আলুর বীজ রোপনের জন্য হালচাষ,সার প্রয়োগ, হিমাগার থেকে নিজের সংরক্ষিত বীজ আলু সংগ্রহ,জমি প্রস্তুত ও রোপনের আমেজ দেখা যায় মাঠজুড়ে।

রণচন্ডি ইউনিয়নের আলুচাষি মোনতাজ আলী বলেন, এবার ৭ বিঘা জমিতে আগাম আলু রোপন করছি, আগাম আলুর দাম চড়া হওয়ায় আমরা বৃষ্টি শেষে তরিঘরি করে ধান কেটে আলু লাগাই। আগাম নতুন আলুর দাম প্রায় ১০০-১১০ টাকা কেজি দরে বিক্রি করতে পারি। দাম বেশী হওয়ায় আমাদের আলু চাষে অনেক টাকা লাভ হয়। আমি আশা করবো এবার আমার প্রায় ৩ লক্ষ টাকা লাভ হবে। এই এলাকার চাষীরা প্রতিবছর আগাম আলু চাষ করে প্রতিটি পরিবারের মাছে স্বচ্ছলতা ফিরে পেয়েছে।

পুটিমারী গ্রামের আলু চাষী কছির মোল্লা বলেন,এবার আলু চাষের জন্য আবহাওয়া অনেক ভালো। আমি প্রতিবছরের নেয় এবারও ৫ বিঘা জমিতে আগাম আলুর বীজ রোপন করেছি। আমার আলু রোপনের বয়স প্রায় ২৫ দিন হয়েছে। আর একমাস পরেই আমি আলু ঘরে তুলতে পারবো। নতুন আলুর দাম অনেক বেশী হওয়ায় আমাদের অনেক লাভ হয়। নীলফামারী জেলার চাহিদা মিটিয়ে দেশের বিভিন্ন জেলার চাহিদা মিটায় আমাদের কিশোরগঞ্জের আগাম জাতের আলু।

নীলফামারী জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক মঞ্জুর রহমানের সাথে কথা হলে তিনি আমাদের সময়কে বলেন, প্রতিবছর এ উপজেলায় আগাম আলু চাষ হয়। আগাম জাতের আলু চাষে অনেক লাভবান হয় চাষিদের। আলুর রোগবালাই দমন সহ বিভিন্ন পরামর্শ দেওয়ার জন্য কৃষকদের মাঠে যায় কৃষিকর্মকর্তারা।

জনপ্রিয় সংবাদ

শেখ হাসিনার মৃত্যুদণ্ডের রায়ে নীলফামারীতে মিষ্টি বিতরণ

কিশোরগঞ্জে চড়া দামের আশায় আগাম আলু চাষ নিয়ে ব্যস্ত কৃষক

প্রকাশিত ০৯:৫০:১৮ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৪ অক্টোবর ২০২৫

নীলফামারী কিশোরগঞ্জ উপজেলায় চড়া দামের আশায় আগাম আলু চাষে ব্যস্ত সময় পার করছেন কৃষক। কয়েক দিনের ভারি বৃষ্টিপাত শেষে আগাম আলু রোপনের ধুম পরেছে। জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর সূএে জানা যায়, চলতি বছর কিশোরগঞ্জ উপজেলায় ৮ হাজার ১৫ হেক্টর জমিতে আলু চাষের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে।

এ পর্যন্ত কিশোরগঞ্জে প্রায় ৩ হাজার হেক্টর জমিতে আগাম আলুর রোপন সম্পুর্ণ হয়েছে। এ উপজেলায় নতুন আলু উৎপাদনে নিজ জেলার চাহিদা মিটিয়ে ঢাকা সহ দেশের অন্যান্য জেলায় রপ্তানি হয়ে থাকে। মৌসুমের শুরুতেই নতুন আলুর দাম সাধারণত প্রতি কেজি ১০০ টাকার উপড়ে থাকে। তাই বেশী লাভের আশায় ঝুঁকি নিয়ে কৃষকেরা আগাম আলু চাষে ব্যস্ত সময় পার করছেন।

সরেজমিনে গিয়ে জানা যায়,উপজেলার উঁচু সমতলভ‚মির বেলে দোআঁশ মাটিতে স্বল্পমেয়াদি ৫৫ থেকে ৬০ দিনে উত্তোলন যোগ্য সেভেন জাতের আগাম আলুর বীজ রোপণ করছেন কৃষক। কিষাণ কিষাণীরা মাঠ জুরে কাজ করছে। আগাম আমন ধান ঘরে তুলে একই জমিতে আগাম আলুর বীজ রোপনের জন্য হালচাষ,সার প্রয়োগ, হিমাগার থেকে নিজের সংরক্ষিত বীজ আলু সংগ্রহ,জমি প্রস্তুত ও রোপনের আমেজ দেখা যায় মাঠজুড়ে।

রণচন্ডি ইউনিয়নের আলুচাষি মোনতাজ আলী বলেন, এবার ৭ বিঘা জমিতে আগাম আলু রোপন করছি, আগাম আলুর দাম চড়া হওয়ায় আমরা বৃষ্টি শেষে তরিঘরি করে ধান কেটে আলু লাগাই। আগাম নতুন আলুর দাম প্রায় ১০০-১১০ টাকা কেজি দরে বিক্রি করতে পারি। দাম বেশী হওয়ায় আমাদের আলু চাষে অনেক টাকা লাভ হয়। আমি আশা করবো এবার আমার প্রায় ৩ লক্ষ টাকা লাভ হবে। এই এলাকার চাষীরা প্রতিবছর আগাম আলু চাষ করে প্রতিটি পরিবারের মাছে স্বচ্ছলতা ফিরে পেয়েছে।

পুটিমারী গ্রামের আলু চাষী কছির মোল্লা বলেন,এবার আলু চাষের জন্য আবহাওয়া অনেক ভালো। আমি প্রতিবছরের নেয় এবারও ৫ বিঘা জমিতে আগাম আলুর বীজ রোপন করেছি। আমার আলু রোপনের বয়স প্রায় ২৫ দিন হয়েছে। আর একমাস পরেই আমি আলু ঘরে তুলতে পারবো। নতুন আলুর দাম অনেক বেশী হওয়ায় আমাদের অনেক লাভ হয়। নীলফামারী জেলার চাহিদা মিটিয়ে দেশের বিভিন্ন জেলার চাহিদা মিটায় আমাদের কিশোরগঞ্জের আগাম জাতের আলু।

নীলফামারী জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক মঞ্জুর রহমানের সাথে কথা হলে তিনি আমাদের সময়কে বলেন, প্রতিবছর এ উপজেলায় আগাম আলু চাষ হয়। আগাম জাতের আলু চাষে অনেক লাভবান হয় চাষিদের। আলুর রোগবালাই দমন সহ বিভিন্ন পরামর্শ দেওয়ার জন্য কৃষকদের মাঠে যায় কৃষিকর্মকর্তারা।