কয়েকদিনের টানা বর্ষা আর ঝোড়ো হাওয়ার পর দেশের উত্তরাঞ্চলের প্রকৃতি নতুন রূপে সেজেছে। স্বচ্ছ আকাশ ও শীতের ঠান্ডা বাতাস মনপ্রাণ জুড়িয়ে দিচ্ছে। উত্তর-পূর্ব ও পশ্চিম কোনে তাকালে স্পষ্ট দেখা যায় শীতপড়তেই মাথা উঁচু করে উঁকি দিচ্ছে হিমালয় পর্বতমালার কাঞ্চনজঙ্ঘা।
বুধবার (৫ নভেম্বর) এবং মঙ্গলবার (৪ নভেম্বর) দুইদিন ধরে উত্তরাঞ্চলের বিশেষ করে পঞ্চগড়, নীলফামারী, লালমনিরহাট এবং তিস্তা নদীর তীরে দাঁড়িয়ে পর্যটকরা এই পর্বতমালা উপভোগ করেছেন। ভোর ৬টা থেকে সকাল ৭টা পর্যন্ত একই অঙ্গে বিভিন্ন আঙ্গিকে কাঞ্চনজঙ্ঘা দেখা যায়।
ফটোগ্রাফাররা রাতের ঘুম ছাড়াই বড় লেন্স লাগিয়ে ভোরের আলো ফুঁটানোর মুহূর্তে ছবি ও ভিডিও তুলেছেন। তেঁতুলিয়ার বাংলাবান্ধা জিরো পয়েন্টে পঞ্চগড় জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে স্থাপন করা দেশের সর্বোচ্চ ১১৭ ফুট উঁচু ফ্ল্যাগস্ট্যান্ডে জাতীয় পতাকা উড়ছিল। এখানেও বড় লেন্স ও ড্রোন ব্যবহার করে কাঞ্চনজঙ্ঘার ছবি তুলেছেন মারুফ হোসেন আবিরসহ সকল ফটোগ্রাফারের টিম।
পঞ্চগড়ের তেঁতুলিয়া ও নীলফামারী তিস্তা নদীর তীরে দাঁড়িয়ে প্রকৃতিপ্রেমীরা শ্বেতশুভ্র হিমালয় ও বরফঢাকা পর্বত উপভোগ করেছেন। মেঘমুক্ত আকাশে হিমালয় দর্শন করার সৌভাগ্য পাওয়া পর্যটকরা আনন্দে আত্মহারা হয়ে পড়েছেন।
শীতপ্রবণ পঞ্চগড় জেলা থেকে হিমালয় দেখার কারণে ভ্রমণপিপাসুদের আগ্রহ দিন দিন বেড়েছে। বিশেষ করে ছুটির দিনগুলোতে পর্যটকদের ভীড় বেশি হয়। আবাসিক হোটেলগুলোতে পর্যটকরা পরিবার ও বন্ধু-বান্ধব নিয়ে এসে হিমালয় উপভোগ করছেন। বাংলাদেশ-ভারতের সীমান্ত ঘেঁষে প্রবাহিত মহানন্দা নদীর তীরে দাঁড়িয়ে দর্শনার্থীরা হিমালয় ও কাঞ্চনজঙ্ঘা উপভোগ করছেন। রাতের সময়ে দার্জিলিং ও শিলিগুড়ির উজ্জ্বল আলোও চোখে পড়ছে। নিরাপত্তার দিক থেকে প্রশাসনিক নজরদারী, টুরিস্ট পুলিশ ও থানা পুলিশের কঠোর ব্যবস্থা রয়েছে।



























