নীলফামারীর সৈয়দপুর উপজেলার একটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষায় অংশ গ্রহণকারী একমাত্র শিক্ষার্থীটিও অকৃতকার্য হয়েছে। বৃহস্পতিবার (১৬ অক্টোবর) প্রকাশিত চলতি বছরের এইচএসসি ও সমমান পরীক্ষার ফলাফলে এই তথ্য জানা যায়। এমন ভরাডুবির ঘটনা এলাকায় ব্যাপক হাস্যরসের সৃষ্টি করেছে।
জানা যায়, শতভাগ ফেল করা ওই শিক্ষা প্রতিষ্ঠানটির পাঠদান অনুমতি থাকলেও কলেজ স্বীকৃতি নাই। তারপরও কর্তৃপক্ষ পাঠদান অনুমতি ধরে রাখতে ওই ছাত্রকে ভর্তি নেয় এবং পরীক্ষায় অংশ গ্রহণ করায়। ওই শিক্ষার্থী এবার নিয়ে দ্বিতীয় দফা ফেল হলো। গতবছর সে এক বিষয়ে ফেল করে। এবার সেই একটি বিষয়ে পরীক্ষা দিয়ে পাশ করতে পারেনি।
এমন চাঞ্চল্যকর ঘটনার সূতিকাগার হলো উপজেলার কাশিরাম বেলপুকুর ইউনিয়নের সাতপাই স্কুল এন্ড কলেজ। এই প্রতিষ্ঠানটি সভাপতি পদ ও অধ্যক্ষ পদ নিয়ে বিরোধকে কেন্দ্র করে নানা অপ্রীতিকর ঘটনার কারণে প্রায়ই আলোচনার বিষয় হয়ে উঠেছে। কলেজ শাখার পাঠদান অনুমতি নিয়ে বাগাড়ম্বর ও ছাত্র ছাত্রী ভর্তি করলেও শিক্ষক নিয়োগ দিয়ে লেখাপড়া করানো হয়নি ওই শিক্ষার্থীকে।
প্রতিষ্ঠানটিতে বিগত আওয়ামী লীগ সরকারের সময় ব্যাপক অনিয়ম দূর্নীতির ঘটনা ঘটেছে। যার ফলে পাঠদান ও সার্বিক উন্নয়নের ক্ষেত্রে প্রতিবন্ধকতা তৈরি হয়। যার খেসারত এই ধরনের ফলাফল বলে মনে করছেন স্থানীয়রা।
অকৃতকার্য ওই পরীক্ষার্থীর নাম খায়রুল ইসলাম। সে কলেজ সংলগ্ন সাতপাই ডাক্তারপাড়ার :আব্দুল মতিনের ছেলে। একই প্রতিষ্ঠানটি থেকে সে মানবিক বিভাগে এসএসসি পাস করেছে।
এমন ফলাফলের ব্যাপারে ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ আব্দুল হাকিম বলেন, ১ জন পরীক্ষাথী কলেজ শাখায়। শিক্ষক নাই কোন রকম চলছে। আমি দায়িত্ব পাওয়ার আগে থেকে কলেজ শাখার বেহাল অবস্থা।
কলেজ শাখার সভাপতি আব্দুস সাওার পাটোয়ারী বলেন, আমি সভাপতি দায়িত্ব পাওয়া পর থেকে কলেজ শাখা কোন ছাত্র বা শিক্ষক পাইনি। আর বেশি কিছু বলতে পারবো না।


























