১২:২৬ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৮ নভেম্বর ২০২৫

সৈয়দপুরে কালবৈশাখীর তান্ডবে ব্যাপক ক্ষতি

নীলফামারীর সৈয়দপুরে কালবৈশাখীর তান্ডবে উপজেলায় ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতির ঘটনা ঘটেছে। ঝড় ও টানা বৃষ্টিতে উঠতি বোরো ধানের ব্যাপক ক্ষতিসহ অনেক ঘরবাড়ি ও দোকানেও ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। শহরের বিভিন্ন স্থানে দোকানের চালা উড়ে গিয়ে বৈদ্যুতিক তারে আটকে পড়েছে। রোববার (১৮ মে) সন্ধ্যার পর এ ঝড় শুরু হয়।

সৈয়দপুর শহরের রংপুর রোডের পাইলট উচ্চ বিদ্যালয় সংলগ্ন ঝড়ে কয়েকটি দোকানের চালা উড়ে গিয়ে বৈদ্যুতিক তারে আটকে থাকায় বিদ্যুৎ সরবরাহেও বন্ধ থাকে। প্রায় চার ঘন্টা পর তা স্বাভাবিক হয়।

জানাযায়, উপজেলার বাঙ্গালীপুর, বোতলাগাড়ি, কামারপুকুর, কাশিরাম বেলপুকুর, খাতামধুপুর ইউনিয়ন এবং সৈয়দপুর পৌর এলাকায় ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। বোরো ধান ও ভুট্টা ক্ষেত ঝড়ে পানিতে নেতিয়ে পড়েছে। আবার অনেক এলাকায় কাটা ধানের জমিতে পানি জমে যাওয়ায় ধানের ব্যপক ক্ষতির আশংকা করছে কৃষকরা।

কৃষকের সাথে কথা বলে জানাযায়, আগামী ১০ থেকে ১৫ দিনের মধ্যেই পুরোদমে ধান কাটা-মাড়াই শুরু হওয়ার কথা ছিল, তার আগেই এমন অবস্থা, উৎপাদন খরচ আবারো বৃদ্ধি পাবে। এ বিষয়ে সৈয়দপুর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা ধীমান ভূষণ জানান, উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তারা মাঠ পর্যায়ে ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ নিরূপণে কাজ শুরু করেছেন। তবে ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ এখন বলা যাচ্ছে না।

সৈয়দপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) নূর-ই-আলম সিদ্দিকী জানান, ইউনিয়ন পর্যায়ের জনপ্রতিনিধিদের ক্ষয়ক্ষতি নিরূপণের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। আমরা সার্বিক পরিস্থিতি বিবেচনায় প্রস্তুতি গ্রহণ করেছি এবং প্রয়োজনীয় সহায়তার ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

জনপ্রিয় সংবাদ

শেখ হাসিনার মৃত্যুদণ্ডের রায়ে নীলফামারীতে মিষ্টি বিতরণ

সৈয়দপুরে কালবৈশাখীর তান্ডবে ব্যাপক ক্ষতি

প্রকাশিত ০৩:৪০:০৩ অপরাহ্ন, সোমবার, ১৯ মে ২০২৫

নীলফামারীর সৈয়দপুরে কালবৈশাখীর তান্ডবে উপজেলায় ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতির ঘটনা ঘটেছে। ঝড় ও টানা বৃষ্টিতে উঠতি বোরো ধানের ব্যাপক ক্ষতিসহ অনেক ঘরবাড়ি ও দোকানেও ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। শহরের বিভিন্ন স্থানে দোকানের চালা উড়ে গিয়ে বৈদ্যুতিক তারে আটকে পড়েছে। রোববার (১৮ মে) সন্ধ্যার পর এ ঝড় শুরু হয়।

সৈয়দপুর শহরের রংপুর রোডের পাইলট উচ্চ বিদ্যালয় সংলগ্ন ঝড়ে কয়েকটি দোকানের চালা উড়ে গিয়ে বৈদ্যুতিক তারে আটকে থাকায় বিদ্যুৎ সরবরাহেও বন্ধ থাকে। প্রায় চার ঘন্টা পর তা স্বাভাবিক হয়।

জানাযায়, উপজেলার বাঙ্গালীপুর, বোতলাগাড়ি, কামারপুকুর, কাশিরাম বেলপুকুর, খাতামধুপুর ইউনিয়ন এবং সৈয়দপুর পৌর এলাকায় ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। বোরো ধান ও ভুট্টা ক্ষেত ঝড়ে পানিতে নেতিয়ে পড়েছে। আবার অনেক এলাকায় কাটা ধানের জমিতে পানি জমে যাওয়ায় ধানের ব্যপক ক্ষতির আশংকা করছে কৃষকরা।

কৃষকের সাথে কথা বলে জানাযায়, আগামী ১০ থেকে ১৫ দিনের মধ্যেই পুরোদমে ধান কাটা-মাড়াই শুরু হওয়ার কথা ছিল, তার আগেই এমন অবস্থা, উৎপাদন খরচ আবারো বৃদ্ধি পাবে। এ বিষয়ে সৈয়দপুর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা ধীমান ভূষণ জানান, উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তারা মাঠ পর্যায়ে ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ নিরূপণে কাজ শুরু করেছেন। তবে ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ এখন বলা যাচ্ছে না।

সৈয়দপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) নূর-ই-আলম সিদ্দিকী জানান, ইউনিয়ন পর্যায়ের জনপ্রতিনিধিদের ক্ষয়ক্ষতি নিরূপণের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। আমরা সার্বিক পরিস্থিতি বিবেচনায় প্রস্তুতি গ্রহণ করেছি এবং প্রয়োজনীয় সহায়তার ব্যবস্থা নেওয়া হবে।