সেনাবাহিনীর বিশেষ নিরাপত্তায় নীলফামারীতে শান্তিপূর্ণ পরিবেশে শুরু হয়েছে সনাতন ধর্মাবলম্বীদের অন্যতম বৃহৎ ধর্মীয় উৎসব শ্রী শ্রী জগন্নাথদেবের রথযাত্রা।
শুক্রবার (২৭ জুন) দুপুরে জেলার সদর উপজেলার বিভিন্ন মন্দির থেকে রথ টেনে নিয়ে যান ভক্তরা। উৎসবে নারীদের উলুধ্বনি আর হরিনাম সংকীর্তনে মুখরিত হয় পুরো এলাকা।
শুক্লপক্ষের দ্বিতীয়া তিথিতে প্রতিবছরের মতো এবারও নীলফামারী জেলা সদর উপজেলা শ্রী শ্রী জগন্নাথ ডালপট্টি ইসকন্ থেকে রথযাত্রা শুরু হয়। সনাতন ধর্মাবলম্বীদের বিশ্বাস—জগন্নাথদেব হলেন জগতের নাথ, তাঁর কৃপায় জীবের মোক্ষ লাভ হয়। সেই বিশ্বাস থেকেই রথে ত্রিমূর্তি—জগন্নাথ, বলরাম ও সুভদ্রার প্রতিমা স্থাপন করে ভক্তরা রশি টেনে রথ চালনা করেন।
দুপুর ১২টায় মন্দিরে বিশেষ পূজা শেষে বিকেল ৩টায় শুরু হয় রথযাত্রা। রথযাত্রাটি জেলার সদর উপজেলার ডালপট্টি ইসকন্ মন্দির থেকে শুরু করে শহরে বিভিন্ন স্থান চৌরঙ্গীর মোড়, আনন্দ বাবুর পুল, কালিবাড়ি ও ডালপট্টি ইসকন্ মন্দির হয়ে রথযাত্রাটি সম্পূর্ণ হয়। রথযাত্রায় অংশ নেয় নারী, পুরুষ, শিশু থেকে শুরু করে প্রায় ১৪০০০ ভক্তবৃন্দ এবং প্রত্যেকেই প্রসাদ হিসেবে খিচুরী খাওয়ানো হয়। ধর্মীয় রীতিনীতির সঙ্গে চলে জহন্নাথ লীলামৃত আলোচনা, ভজন সঙ্গীত, হরিনাম সংকীর্তন ও বিষ্ণু যজ্ঞ মোট ১৮টি জগন্নাথ পূজা এবং ভোট নিবেদন করা হয়।
নীলফামারী সেনা ক্যাম্পের লেফট্যানেন্ট জাছের বলেন, সেনাবাহিনীর সার্বিক তত্ত্বাবধানে উৎসবটি অত্যন্ত সুশৃঙ্খলভাবে সম্পন্ন হচ্ছে। কোথাও কোনো অপ্রীতিকর ঘটনার খবর নেই।
নীলফামারী জেলার ইসকন্ মন্দিরে সভাপতি নন্দ ব্রজেশ্বর দাস বলেন, রথ আজ ডালপট্টি ইসকন্ মন্দিরে স্থাপন করা হয়েছে। সেখানে ৯ দিন অবস্থানের পর আগামী ৫ জুলাই অনুষ্ঠিত হবে উল্টো রথযাত্রা। সেই দিন উৎসবের পর্দা নামবে।
নীলফামারী জেলার ইসকন্ মন্দিরে সাধারণ সম্পাদক কীর্তিমান নিত্যানন্দ দাস। তিনিও জানান, ভক্তদের স্বতঃস্ফূর্ত অংশগ্রহণে এবারের আয়োজন স্মরণীয় হয়ে থাকবে।