নীলফামারী জেলার চারটি সংসদীয় আনের মধ্যে দুইটিতে বিএনপির সম্ভাব্য প্রার্থীর নাম ঘোষণা করা হয়েছে। গত সোমবার(৩ নভেম্বর) ঢাকার গুলশানে বিএনপির চেয়ারপার্সনের কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে দলীয় ওই দুই প্রার্থীর নাম ঘোষণা করেন দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
ওই দুই সম্ভাব্য প্রার্থী হলেন নীলফামারী-২ (সদর) আসনে জেলা বিএনপির সদস্য সচিব এ.এইচ.এম সাইফুল্লাহ রুবেল ও নীলফামারী-৪ (সৈয়দপুর-কিশোরীগঞ্জ) আসনে সৈয়দপুর রাজনৈতিক জেলা বিএনপির সভাপতি অধ্যক্ষ আব্দুল গফুর সরকার।
দলীয় সূত্রমতে, জেলা বিএনপির সদস্য সচিব এ.এইচ.এম সাইফুল্লাহ রুবেল জেলা যুবদলের সভাপতির পদে রয়েছেন। তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে সমাজ বিজ্ঞানে স্নাতকোত্তর ডিগ্রি অর্জন করেছেন। বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্রদলের রাজনীতিতে থেকে ফজলুল হক হল ছাত্রদলের সভাপতির দায়িত্ব পালন করেছিলেন। রাজনীতির পাশপাশি তিনি ঠিকাদারী ব্যবসার সঙ্গে জড়িত। উদীয়মান ওই রাজনীতিবিদ এবার প্রথমবার জাতীয় সংসদ নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বীতার সম্ভাব্য দলীয় প্রার্থী।
অপরদিকে সৈয়দপুর রাজনৈতিক জেলা বিএনপির সভাপতি অধ্যক্ষ আব্দুল গফুর সরকার একজন প্রবীণ রাজনীতিবিদ। তিনি দীর্ঘ ২৫ বছর ধরে বিএনপির সাথে যুক্ত আছেন। তিনি সৈয়দপুর উপজেলার কামারপুকুর কলেজ ও সৈয়দপুর মহিলা কলেজের সাবেক অধ্যক্ষ। এছাড়া তিনবার ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ছিলেন তিনি। সম্ভাব্য প্রার্থীর ওই তালিকা চুড়ান্ত হলে তিনি প্রথমবার জাতীয় সংসদ নির্বাচনে প্রার্থী হবেন।
এদিকে নীলফামারী-১ (ডোমার-ডিমলা) এবং নীলফামারী-৩ (জলঢাকা) আসনে কোন সম্ভাব্য প্রার্থীর নাম ঘোষণা করা হয়নি। তবে নীলফামারী-১ আসনে দলীয় মনোনয়ন প্রত্যাশায় ভোটের প্রচারণার মাঠে রয়েছেন সাবেক সংসদ সদস্য ইঞ্জিনিয়ার অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (অ্যাব) আহ্বায়ক দলের চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়ার ভাগ্নে, কেন্দ্রীয় কমিটির নির্বাহী সদস্য প্রকৌশলী শাহরিন ইসলাম চৌধুরী তুহিন। অপরদিকে নীলফামারী-৩ আসনে মনোনয়ন প্রত্যায় ভোটের প্রচারণার মাঠে রয়েছেন বিশিষ্ট শিল্পপতি জেলা বিএনপির সদস্য সৈয়দ আলী।
সম্ভাব্য দলীয় প্রার্থী ঘোষণায় আনন্দিত আসন দুটির নেতাকর্মীরা। সোমবার কেন্দ্রীয় ঘোষণার পর দলীয় কার্যালয়ে ওই দুই সম্ভাব্য প্রার্থীকে ফুলেল শুভেচ্ছা জানান দলের নেতাকর্মীরা। তবে অপর দুটি আসনে সম্ভাব্য প্রার্থী ঘোষণা না হওয়ায় এ নিয়ে চলছে নানা জল্পনা কল্পনা।




















