০১:৪১ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১৮ জুলাই ২০২৫, ৩ শ্রাবণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

কিশোরগঞ্জে রক্ষনাবেক্ষন ও নজরদারীর অভাবে ধ্বংসের দ্বারপ্রান্তে ঐতিহাসিক নিদর্শন ভিমের মায়ের আঁকা

ধ্বংসের দারপ্রান্তে পেীঁছেছে নীলফামারীর কিশোরগঞ্জ উপজেলার ঐতিহাসিক নিদর্শন ভিমের মায়ের চুলা (ভিমের মায়ের আঁকা)। এটি মহাভারতের বিখ্যাত চরিত্র ভীমের মায়ের তৈরী একটি ঐতিহাসিক স্থান। জনশ্রতি রয়েছে মহাভারতের যুদ্ধের সময় ভীমের মা কুন্তিদেবি এখানে সৈন্যদের জন্য রান্না করতেন সে কারনে এই চুলা তৈরী করা হয়েছিল।

রক্ষানাবেক্ষন ও নজরদারীর অভাবে ঐতিহাসিক স্থানটির(আঁকাটির) অবকাঠামো দীর্ঘদিন আগে ধ্বংস হয়ে গেছে। সর্বশেষ এ স্থানটির মাটি কেঁটে বিক্রি করে সমস্ত জমি দখলে নিয়েছে প্রভাবশালী ব্যাক্তিরা। ইতিহাস ও ঐতিহ্য রক্ষায় ঐতিহাসিক স্থানটির জমি উদ্ধার করে ঐতিহাসিক নিদর্শন হিসাবে সংরক্ষনের দাবি জানিয়েছেন এলাকাবাসী।

রবিবার সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, নীলফামারীর কিশোরগঞ্জ উপজেলা পরিষদ থেকে উত্তর পশ্চিম দিকে প্রায় ২ শ থেকে ৩শ মিটার দুরে পুটিমারী ইউনিয়নের কাচারীপাড়া এস সেভেনটি ক্যানেলের পাশেই অবস্থিত ভীমের মায়ের আঁকা। এটি তিন দিক থেকে উঁচু মাটির প্রাচীর দ্বারা বেষ্টিত একটি স্থাপনা ছিল। যার উপরের তিনটি স্থান অপেক্ষাকৃত উঁচু। এর ভিতরের অংশ ছিল গভীর ও বাইরের অংশ পরিখা বেষ্টিত ছিল। ইতিহাসের স্বাক্ষী এ জায়গাটি অযন্ত ও সংরক্ষনের অভাবে হারিয়ে যেতে বসেছে । ধ্বংসের দারপ্রান্তে এর আদিরুপ।

পুটিমারী কাচারীপাড়া গ্রামের বাসিন্দা আজিজুল ইসলাম বলেন, কয়েক বছর আগে ভুমি দস্যুরা স্থাপনাটির সমস্ত মাটি কেঁটে বিক্রি করে দিয়েছে। বর্তমানে ওই উচু স্থানটুকু ছাড়া সমস্ত জমি প্রভাবশালীদের দখলে রয়েছে। তিনি আরো বলেন, নীলফামারী জেলায় যতগুলো প্রতœতান্তিক স্থাপনা রয়েছে তাঁর মধ্যে তালিকায় এই জায়টির নাম রয়েছে। কিন্তু সরকারীভাবে এই জায়গাটি সংরক্ষনতো দুরের কথা এখানে একটি সাইনবোর্ডও দেয়া নেই। তাহলে আমাদের পরবতী প্রজ¤œ কিভাবে জানতে পারবে যে এখানে এতবড় একটি ঐতিহাসিক স্থাপনা ছিল।

স্থানীয় প্রবীণদের কাছ থেকে জানা গেছে, প্রায় কয়েকশ বছর আগে মহাভারতের পঞ্চপান্ডব ভ্রাতাদের মধ্যে দ্বিতীয় ভীম এ জায়গাটিতে অবস্থান নিয়ে যুদ্ধ পরিচালনা করতেন। ভীমের মা কুন্তিদেবি যুদ্ধে অংশ গ্রহনকারী যোদ্ধাদের রান্না করে খাওয়ানোর জন্য এখানে একটি চুলা তৈরী করেছিলেন। সেই চুলায় এক সাথে দশ হাজার যোদ্ধার জন্য রান্না করা যেত। পরবর্তীতে ইতিহাসের স্বাক্ষী সুরুপ বিভিন্ন জায়গা থেকে লোকজন চুলাটি দেখতে আসতেন। বর্তমানে সংরক্ষনের অভাবে চুলাটির কোন অস্তিত্ব নেই। এমনকি একটি ভুমিদস্যু মাটিখেকো চক্র চুলাটির চারদিক থেকে মাটি কেঁটে বিক্রি করে সমস্ত জমি দখল করে নিয়েছে।

উপজেলা বিএনপির সভাপতি আবদুল্লাহ আল মামুনের সাথে কথা বললে তিনি বলেন, নিঃসন্দেহে এটি একটি ঐতিহাসিক স্থান। বর্তমানে ওই স্থানটিতে দৃশ্যমান কোন কিছুই নেই। আমাদের পববর্তী প্রজ¤œরে জন্য ওই জায়গাটি দৃশ্যমান করতে সমস্ত জমি দখলমুক্ত করে সেটি চিহ্নিত করার জন্য সাইনবোর্ড স্থাপনসহ প্রয়োজনীয় ব্যাবস্থা গ্রহনের জন্য আমি উপজেলা নিবার্হী অফিসারের সাথে কথা বলব।

উপজেলা জামায়াতের আমির আব্দুর রশিদ শাহ বলেন, ইতিহাসকে সমৃদ্ধ করতে গেলে ঐতিহাসিক এ স্থানটি সংস্কারের কোন বিকল্প নেই। উপজেলা নির্বাহী অফিসার মৌসুমী হকের সাথে কথা বললে তিনি বলেন, কিশোরগঞ্জে এরকম একটা ঐতিহাসিক স্থান ছিল সেটি আমি জানতাম না। আমি সরেজমিনে ওই জায়গায় গিয়ে পরিদর্শন করে এ বিষয়ে প্রয়োজনীয় ব্যাবস্থা গ্রহনের জন্য সংশ্লিষ্ট দপ্তরে কথা বলব। সাথে ছবি আছে

নীলফামারীতে প্রাথমিক শিক্ষার মানোন্নয়নে সভা

কিশোরগঞ্জে রক্ষনাবেক্ষন ও নজরদারীর অভাবে ধ্বংসের দ্বারপ্রান্তে ঐতিহাসিক নিদর্শন ভিমের মায়ের আঁকা

প্রকাশিত ১২:০৬:২৩ অপরাহ্ন, রবিবার, ২৯ জুন ২০২৫

ধ্বংসের দারপ্রান্তে পেীঁছেছে নীলফামারীর কিশোরগঞ্জ উপজেলার ঐতিহাসিক নিদর্শন ভিমের মায়ের চুলা (ভিমের মায়ের আঁকা)। এটি মহাভারতের বিখ্যাত চরিত্র ভীমের মায়ের তৈরী একটি ঐতিহাসিক স্থান। জনশ্রতি রয়েছে মহাভারতের যুদ্ধের সময় ভীমের মা কুন্তিদেবি এখানে সৈন্যদের জন্য রান্না করতেন সে কারনে এই চুলা তৈরী করা হয়েছিল।

রক্ষানাবেক্ষন ও নজরদারীর অভাবে ঐতিহাসিক স্থানটির(আঁকাটির) অবকাঠামো দীর্ঘদিন আগে ধ্বংস হয়ে গেছে। সর্বশেষ এ স্থানটির মাটি কেঁটে বিক্রি করে সমস্ত জমি দখলে নিয়েছে প্রভাবশালী ব্যাক্তিরা। ইতিহাস ও ঐতিহ্য রক্ষায় ঐতিহাসিক স্থানটির জমি উদ্ধার করে ঐতিহাসিক নিদর্শন হিসাবে সংরক্ষনের দাবি জানিয়েছেন এলাকাবাসী।

রবিবার সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, নীলফামারীর কিশোরগঞ্জ উপজেলা পরিষদ থেকে উত্তর পশ্চিম দিকে প্রায় ২ শ থেকে ৩শ মিটার দুরে পুটিমারী ইউনিয়নের কাচারীপাড়া এস সেভেনটি ক্যানেলের পাশেই অবস্থিত ভীমের মায়ের আঁকা। এটি তিন দিক থেকে উঁচু মাটির প্রাচীর দ্বারা বেষ্টিত একটি স্থাপনা ছিল। যার উপরের তিনটি স্থান অপেক্ষাকৃত উঁচু। এর ভিতরের অংশ ছিল গভীর ও বাইরের অংশ পরিখা বেষ্টিত ছিল। ইতিহাসের স্বাক্ষী এ জায়গাটি অযন্ত ও সংরক্ষনের অভাবে হারিয়ে যেতে বসেছে । ধ্বংসের দারপ্রান্তে এর আদিরুপ।

পুটিমারী কাচারীপাড়া গ্রামের বাসিন্দা আজিজুল ইসলাম বলেন, কয়েক বছর আগে ভুমি দস্যুরা স্থাপনাটির সমস্ত মাটি কেঁটে বিক্রি করে দিয়েছে। বর্তমানে ওই উচু স্থানটুকু ছাড়া সমস্ত জমি প্রভাবশালীদের দখলে রয়েছে। তিনি আরো বলেন, নীলফামারী জেলায় যতগুলো প্রতœতান্তিক স্থাপনা রয়েছে তাঁর মধ্যে তালিকায় এই জায়টির নাম রয়েছে। কিন্তু সরকারীভাবে এই জায়গাটি সংরক্ষনতো দুরের কথা এখানে একটি সাইনবোর্ডও দেয়া নেই। তাহলে আমাদের পরবতী প্রজ¤œ কিভাবে জানতে পারবে যে এখানে এতবড় একটি ঐতিহাসিক স্থাপনা ছিল।

স্থানীয় প্রবীণদের কাছ থেকে জানা গেছে, প্রায় কয়েকশ বছর আগে মহাভারতের পঞ্চপান্ডব ভ্রাতাদের মধ্যে দ্বিতীয় ভীম এ জায়গাটিতে অবস্থান নিয়ে যুদ্ধ পরিচালনা করতেন। ভীমের মা কুন্তিদেবি যুদ্ধে অংশ গ্রহনকারী যোদ্ধাদের রান্না করে খাওয়ানোর জন্য এখানে একটি চুলা তৈরী করেছিলেন। সেই চুলায় এক সাথে দশ হাজার যোদ্ধার জন্য রান্না করা যেত। পরবর্তীতে ইতিহাসের স্বাক্ষী সুরুপ বিভিন্ন জায়গা থেকে লোকজন চুলাটি দেখতে আসতেন। বর্তমানে সংরক্ষনের অভাবে চুলাটির কোন অস্তিত্ব নেই। এমনকি একটি ভুমিদস্যু মাটিখেকো চক্র চুলাটির চারদিক থেকে মাটি কেঁটে বিক্রি করে সমস্ত জমি দখল করে নিয়েছে।

উপজেলা বিএনপির সভাপতি আবদুল্লাহ আল মামুনের সাথে কথা বললে তিনি বলেন, নিঃসন্দেহে এটি একটি ঐতিহাসিক স্থান। বর্তমানে ওই স্থানটিতে দৃশ্যমান কোন কিছুই নেই। আমাদের পববর্তী প্রজ¤œরে জন্য ওই জায়গাটি দৃশ্যমান করতে সমস্ত জমি দখলমুক্ত করে সেটি চিহ্নিত করার জন্য সাইনবোর্ড স্থাপনসহ প্রয়োজনীয় ব্যাবস্থা গ্রহনের জন্য আমি উপজেলা নিবার্হী অফিসারের সাথে কথা বলব।

উপজেলা জামায়াতের আমির আব্দুর রশিদ শাহ বলেন, ইতিহাসকে সমৃদ্ধ করতে গেলে ঐতিহাসিক এ স্থানটি সংস্কারের কোন বিকল্প নেই। উপজেলা নির্বাহী অফিসার মৌসুমী হকের সাথে কথা বললে তিনি বলেন, কিশোরগঞ্জে এরকম একটা ঐতিহাসিক স্থান ছিল সেটি আমি জানতাম না। আমি সরেজমিনে ওই জায়গায় গিয়ে পরিদর্শন করে এ বিষয়ে প্রয়োজনীয় ব্যাবস্থা গ্রহনের জন্য সংশ্লিষ্ট দপ্তরে কথা বলব। সাথে ছবি আছে