০৭:১৯ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ১৮ জুলাই ২০২৫, ৩ শ্রাবণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

ডোমারে ভুল চিকিৎসায় প্রসূতি’র মৃত্যু: ক্লিনিক সিলগালা

নীলফামারীর ডোমারের জনতা ক্লিনিক এন্ড ডায়াগনোস্টিক সেন্টারে ডাক্তারের ভূল অপারেশনে বেবি আক্তার(২৮) নামে এক প্রসূতি নারীর মৃত্যু হয়েছে। তবে বেঁচে গেছে সদ্য নবজাতক শিশুটি।

উক্ত ঘটনায় এক ডাক্তারসহ তিনজনকে আটক করেছে পুলিশ। বেবি আক্তার উপজেলার সোনারায় ইউনিয়নের বড়গাছা দরগাপাড়া এলাকার মো. নুর আলমের স্ত্রী। মৃত্যুর ঘটনায় থানায় একটি এজাহার দায়ের করেন নুর আলম। ঘটনার পর থেকেই পলাতক রয়েছে ক্লিনিক কতৃপক্ষ।

মামলার অভিযোগে জানাযায়, গত ১৪জুন শনিবার বিকালে বেবি আক্তারের প্রসব বেদনা উঠলে পরিবারের লোকজন ডাক্তার দেখানোর জন্য ডোমারের জনতা ক্লিনিকে নিয়ে আসে। সেখানে ডাক্তার রিজওয়ানা ইয়াসমিনকে দেখালে তিনি কিছু পরীক্ষা নিরীক্ষা দেন। পরীক্ষার রিপোর্ট দেখার পর ডাক্তার রিজওয়ানা বলেন, রোগীর পেটে পানি না থাকায় তাকে দ্রুত সিজার করাতে হবে।বেবীর পরিবারের লোকজন বেবি আক্তারকে সিজারের জন্য জনতা ক্লিনিকে ভর্তি করায়।

সন্ধা ৬টায় সিজারের মাধ্যমে একটি পুত্র সন্তান জন্ম দেন ওই প্রসূতি। সিজারের সময় ডা. রিজওয়ানা, ডা. নিহাররঞ্জন ও ওটি বয় বিপুল সরকার উপস্থিত ছিলেন। সিজারের পর রোগীর রক্তক্ষরণ বন্ধ না হলেও ডা. রিজওয়ানা কোন পদক্ষেপ গ্রহন না করায় রুগীর রক্তক্ষরণ বাড়তে থাকে। এক পর্যায়ে রুগীর অবস্থা মুমুর্ষ হলে পরিবারের লোকজন রুগীকে রাতেই রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যায়। সেখানে জরুরী বিভাগের ডাক্তার রবিবার ভোরে বেবি আক্তারকে মৃত ঘোষনা করেন।

এর আগে শনিবার রাতে ডাক্তারের অবহেলার কারনে রুগীর অবস্থা আশঙ্কাজনক হবার খবর ছড়িয়ে পরলে রুগীর স্বজনরা ক্লিনিকে এসে ডাক্তারের বিচার দাবী করেন। এ সময় আইন শৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি ঘটলে পুলিশ প্রশাসন গিয়ে পরিস্থিতি শান্ত করার চেষ্টা চালালেও পরিস্থিতি শান্ত না হওয়ায় পরে সেনাবাহিনী এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রন করেন। এঘটনায় ডা. নাজমুস সাকিব , সেবিকা মোছা. সুমনা আক্তার ও সাবিয়া আক্তারকে আটক করে পুলিশ।

খবর পেয়ে রবিবার দুপুরে উপজেলা নির্বাহী অফিসার শায়লা সাঈদ তন্বী ও উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. রায়হান বারী ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে ডাক্তারের অবহেলার প্রাথমিক সত্যতা পাওয়ায় ক্লিনিককে সিলগালা করেন।

উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. রায়হান বারী বলেন, এখনও লিখিত কোন অভিযোগ না পেলেও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বিষয়টি জেনে তদন্ত কমিটি ঘটনা করা হয়েছে। তদন্ত কমিটির প্রতিবেদনের পর প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।

উপজেলা নির্বাহী অফিসার শায়লা সাঈদ তন্বী বলেন, প্রাথমিক সত্যতা নিশ্চিত হওয়ায় জনতা ক্লিনিককে সিলগালা করা হয়েছে। সেই সাথে বিষয়টি তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।

থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আরিফুর ইসলাম অভিযোগ ও তিনজনের আটকের বিষয়টি নিশ্চিত করেন।

নীলফামারীতে প্রাথমিক শিক্ষার মানোন্নয়নে সভা

ডোমারে ভুল চিকিৎসায় প্রসূতি’র মৃত্যু: ক্লিনিক সিলগালা

প্রকাশিত ০৬:৪৩:২৪ অপরাহ্ন, সোমবার, ১৬ জুন ২০২৫

নীলফামারীর ডোমারের জনতা ক্লিনিক এন্ড ডায়াগনোস্টিক সেন্টারে ডাক্তারের ভূল অপারেশনে বেবি আক্তার(২৮) নামে এক প্রসূতি নারীর মৃত্যু হয়েছে। তবে বেঁচে গেছে সদ্য নবজাতক শিশুটি।

উক্ত ঘটনায় এক ডাক্তারসহ তিনজনকে আটক করেছে পুলিশ। বেবি আক্তার উপজেলার সোনারায় ইউনিয়নের বড়গাছা দরগাপাড়া এলাকার মো. নুর আলমের স্ত্রী। মৃত্যুর ঘটনায় থানায় একটি এজাহার দায়ের করেন নুর আলম। ঘটনার পর থেকেই পলাতক রয়েছে ক্লিনিক কতৃপক্ষ।

মামলার অভিযোগে জানাযায়, গত ১৪জুন শনিবার বিকালে বেবি আক্তারের প্রসব বেদনা উঠলে পরিবারের লোকজন ডাক্তার দেখানোর জন্য ডোমারের জনতা ক্লিনিকে নিয়ে আসে। সেখানে ডাক্তার রিজওয়ানা ইয়াসমিনকে দেখালে তিনি কিছু পরীক্ষা নিরীক্ষা দেন। পরীক্ষার রিপোর্ট দেখার পর ডাক্তার রিজওয়ানা বলেন, রোগীর পেটে পানি না থাকায় তাকে দ্রুত সিজার করাতে হবে।বেবীর পরিবারের লোকজন বেবি আক্তারকে সিজারের জন্য জনতা ক্লিনিকে ভর্তি করায়।

সন্ধা ৬টায় সিজারের মাধ্যমে একটি পুত্র সন্তান জন্ম দেন ওই প্রসূতি। সিজারের সময় ডা. রিজওয়ানা, ডা. নিহাররঞ্জন ও ওটি বয় বিপুল সরকার উপস্থিত ছিলেন। সিজারের পর রোগীর রক্তক্ষরণ বন্ধ না হলেও ডা. রিজওয়ানা কোন পদক্ষেপ গ্রহন না করায় রুগীর রক্তক্ষরণ বাড়তে থাকে। এক পর্যায়ে রুগীর অবস্থা মুমুর্ষ হলে পরিবারের লোকজন রুগীকে রাতেই রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যায়। সেখানে জরুরী বিভাগের ডাক্তার রবিবার ভোরে বেবি আক্তারকে মৃত ঘোষনা করেন।

এর আগে শনিবার রাতে ডাক্তারের অবহেলার কারনে রুগীর অবস্থা আশঙ্কাজনক হবার খবর ছড়িয়ে পরলে রুগীর স্বজনরা ক্লিনিকে এসে ডাক্তারের বিচার দাবী করেন। এ সময় আইন শৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি ঘটলে পুলিশ প্রশাসন গিয়ে পরিস্থিতি শান্ত করার চেষ্টা চালালেও পরিস্থিতি শান্ত না হওয়ায় পরে সেনাবাহিনী এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রন করেন। এঘটনায় ডা. নাজমুস সাকিব , সেবিকা মোছা. সুমনা আক্তার ও সাবিয়া আক্তারকে আটক করে পুলিশ।

খবর পেয়ে রবিবার দুপুরে উপজেলা নির্বাহী অফিসার শায়লা সাঈদ তন্বী ও উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. রায়হান বারী ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে ডাক্তারের অবহেলার প্রাথমিক সত্যতা পাওয়ায় ক্লিনিককে সিলগালা করেন।

উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. রায়হান বারী বলেন, এখনও লিখিত কোন অভিযোগ না পেলেও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বিষয়টি জেনে তদন্ত কমিটি ঘটনা করা হয়েছে। তদন্ত কমিটির প্রতিবেদনের পর প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।

উপজেলা নির্বাহী অফিসার শায়লা সাঈদ তন্বী বলেন, প্রাথমিক সত্যতা নিশ্চিত হওয়ায় জনতা ক্লিনিককে সিলগালা করা হয়েছে। সেই সাথে বিষয়টি তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।

থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আরিফুর ইসলাম অভিযোগ ও তিনজনের আটকের বিষয়টি নিশ্চিত করেন।