০১:৫১ অপরাহ্ন, বুধবার, ১৮ জুন ২০২৫, ৪ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

পুনরায় কর্তন করা হচ্ছে গোসাইগঞ্জ বন বিভাগের গাছ, নেই কোন তদারকি বা যথাযথ ব্যবস্থা

নীলফামারী জেলার ডোমার উপজেলার ডোমার বন বিভাগের অন্তর্ভুক্ত গোঁসাইগঞ্জ বন বিভাগের গাছ কেটে বন উজাড় করতেছে বনদস্যুরা। গত ৪-৫ দিনে রাতের আঁধারে প্রায় পাঁচ শত গাছ কেটে আবাদি জমি তৈরি করতেছে বনদস্যুরা। রাতের আঁধারে গাছ কাটা হচ্ছে দিনের বেলা বন বিভাগের সেই জমি কে আবাদি জমিতে পরিণত করতেছে। এভাবেই চলছে বনের গাছ উজাড় করে আবাদি জমি করার মহা উৎসব। বন উজাড় হওয়ার কারণে  অত্র এলাকার জীববৈচিত্র্য সহ এলাকাবাসী হুমকির মুখে পড়েছে। এলাকাবাসী রইসুল আলম বলেন, ছোটবেলা থেকেই দেখি আমাদের বনে কত পশুপাখি,কত গাছপালা ছিল এখন কিছু ব্যক্তির জন্য আমরা আমাদের বনটিকে হারিয়ে ফেলেছি। 

বৃহস্পতিবার(২২ মে) সৌরজমিনে গিয়ে দেখা যায় বনের কিছু গাছ রাতের আঁধারে আবারও কাটা হয়েছে। একজন ভূমিদস্যুর সাথে কথা বললে তিনি বলেন, এগুলো তাদের জমি বন বিভাগ অবৈধভাবে দখল করেছে এই জন্যই তিনি এখন গাছ কেটে সেটি জমিতে পরিণত করতেছে। বনের আরেক পাশে পাবনা পাড়ার পার্শ্ববর্তী নদীর পাশের বনের উঁচু মাটি কেটে বালু উত্তোলন।

এভাবেই চলছে গোসাইগঞ্জ বন বিভাগের ফরেস্ট উজাড় করার মহোৎসব। আর এই উৎসবে মেতে উঠেছে স্থানীয় বালু খেকো ব্যবসায়ী সহ ভূমিদস্যূরা। বিষয়ে বন বিভাগের প্রহরীর কক্ষে গেলে সে কক্ষ তালা দিয়ে বন্ধ পাওয়া যায় এবং আশেপাশে কোথাও বন রক্ষার প্রহরীদের খুঁজে পাওয়া যায়নি।

বন উজারের ঘটনায়  ভোগডাবুড়ি ইউনিয়ন চেয়ারম্যান ও ডোমার উপজেলা বিএনপির সভাপতি রিয়াজুল ইসলাম কালু বলেন, বন উজারের ঘটনায় এর আগেও মামলা হয়েছে, তারা জামিনে বের হয়ে আবারো বন উজার করতেছে। আমি সেখানে রাতে গ্রাম পুলিশকে পাঠিয়ে দিয়েছি। বনের নিরাপত্তার স্বার্থে বন পাহারায় জরুরী এবং কঠোর পদক্ষেপ নেওয়া হবে। ডোমার উপজেলা নির্বাহী অফিসার সায়লা সাঈদ তন্বী বলেন, প্রমাণ সাপেক্ষে আমরা দ্রুত পদক্ষেপ নেব এবং দোষীদের কে আইনের আওতায় নিয়ে আসা হবে।

ডোমার বন বিভাগের রেঞ্জ কর্মকর্তা আব্দুল হাই বলেন, এর আগে বনদস্যুর বন উজাড় করেছে আমরা তাদের বিরুদ্ধে তিনটি মামলা দায়ের করেছি। নতুন করে আবারো বন উজাড় হচ্ছে  সেই বিষয়ে আমি অবগত নই। ৬০০-৭০০ গাছ কাটা হয়েছে, ভূমি দখল করে অবৈধভাবে বালু উত্তোলন করা হচ্ছে  তবুও বনের প্রহরী আপনাকে অবগত করেনি ???

আব্দুল হাই বলেন, তারা আমাকে অবগত করেনি আমি বিট অফিসার কে বলেছি তারা দ্রুত পদক্ষেপ নিচ্ছে। চিলাহাটি পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের ইন্সপেক্টর খোরশেদ আলম বলেন, নতুন করে গাছ কাটার বিষয়ে আমরা অবগত ছিলাম না যদি বন বিভাগের কর্মকর্তারা আমাদের কাছে সহযোগিতা চায় তাহলে আমরা অবশ্যই সহযোগিতা করব।

জনপ্রিয় সংবাদ

জলঢাকায় স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের অব্যবস্থাপনা নিয়ে এনসিপির সংবাদ সম্মেলন

পুনরায় কর্তন করা হচ্ছে গোসাইগঞ্জ বন বিভাগের গাছ, নেই কোন তদারকি বা যথাযথ ব্যবস্থা

প্রকাশিত ০৩:১০:১৯ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৪ মে ২০২৫

নীলফামারী জেলার ডোমার উপজেলার ডোমার বন বিভাগের অন্তর্ভুক্ত গোঁসাইগঞ্জ বন বিভাগের গাছ কেটে বন উজাড় করতেছে বনদস্যুরা। গত ৪-৫ দিনে রাতের আঁধারে প্রায় পাঁচ শত গাছ কেটে আবাদি জমি তৈরি করতেছে বনদস্যুরা। রাতের আঁধারে গাছ কাটা হচ্ছে দিনের বেলা বন বিভাগের সেই জমি কে আবাদি জমিতে পরিণত করতেছে। এভাবেই চলছে বনের গাছ উজাড় করে আবাদি জমি করার মহা উৎসব। বন উজাড় হওয়ার কারণে  অত্র এলাকার জীববৈচিত্র্য সহ এলাকাবাসী হুমকির মুখে পড়েছে। এলাকাবাসী রইসুল আলম বলেন, ছোটবেলা থেকেই দেখি আমাদের বনে কত পশুপাখি,কত গাছপালা ছিল এখন কিছু ব্যক্তির জন্য আমরা আমাদের বনটিকে হারিয়ে ফেলেছি। 

বৃহস্পতিবার(২২ মে) সৌরজমিনে গিয়ে দেখা যায় বনের কিছু গাছ রাতের আঁধারে আবারও কাটা হয়েছে। একজন ভূমিদস্যুর সাথে কথা বললে তিনি বলেন, এগুলো তাদের জমি বন বিভাগ অবৈধভাবে দখল করেছে এই জন্যই তিনি এখন গাছ কেটে সেটি জমিতে পরিণত করতেছে। বনের আরেক পাশে পাবনা পাড়ার পার্শ্ববর্তী নদীর পাশের বনের উঁচু মাটি কেটে বালু উত্তোলন।

এভাবেই চলছে গোসাইগঞ্জ বন বিভাগের ফরেস্ট উজাড় করার মহোৎসব। আর এই উৎসবে মেতে উঠেছে স্থানীয় বালু খেকো ব্যবসায়ী সহ ভূমিদস্যূরা। বিষয়ে বন বিভাগের প্রহরীর কক্ষে গেলে সে কক্ষ তালা দিয়ে বন্ধ পাওয়া যায় এবং আশেপাশে কোথাও বন রক্ষার প্রহরীদের খুঁজে পাওয়া যায়নি।

বন উজারের ঘটনায়  ভোগডাবুড়ি ইউনিয়ন চেয়ারম্যান ও ডোমার উপজেলা বিএনপির সভাপতি রিয়াজুল ইসলাম কালু বলেন, বন উজারের ঘটনায় এর আগেও মামলা হয়েছে, তারা জামিনে বের হয়ে আবারো বন উজার করতেছে। আমি সেখানে রাতে গ্রাম পুলিশকে পাঠিয়ে দিয়েছি। বনের নিরাপত্তার স্বার্থে বন পাহারায় জরুরী এবং কঠোর পদক্ষেপ নেওয়া হবে। ডোমার উপজেলা নির্বাহী অফিসার সায়লা সাঈদ তন্বী বলেন, প্রমাণ সাপেক্ষে আমরা দ্রুত পদক্ষেপ নেব এবং দোষীদের কে আইনের আওতায় নিয়ে আসা হবে।

ডোমার বন বিভাগের রেঞ্জ কর্মকর্তা আব্দুল হাই বলেন, এর আগে বনদস্যুর বন উজাড় করেছে আমরা তাদের বিরুদ্ধে তিনটি মামলা দায়ের করেছি। নতুন করে আবারো বন উজাড় হচ্ছে  সেই বিষয়ে আমি অবগত নই। ৬০০-৭০০ গাছ কাটা হয়েছে, ভূমি দখল করে অবৈধভাবে বালু উত্তোলন করা হচ্ছে  তবুও বনের প্রহরী আপনাকে অবগত করেনি ???

আব্দুল হাই বলেন, তারা আমাকে অবগত করেনি আমি বিট অফিসার কে বলেছি তারা দ্রুত পদক্ষেপ নিচ্ছে। চিলাহাটি পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের ইন্সপেক্টর খোরশেদ আলম বলেন, নতুন করে গাছ কাটার বিষয়ে আমরা অবগত ছিলাম না যদি বন বিভাগের কর্মকর্তারা আমাদের কাছে সহযোগিতা চায় তাহলে আমরা অবশ্যই সহযোগিতা করব।