০৮:২৯ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১৮ জুলাই ২০২৫, ৩ শ্রাবণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

চিরিরবন্দরে জমি সংক্রান্ত বিরোধের জের ধরে রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষের আশংকা

দিনাজপুরের চিরিরবন্দরে জমি সংক্রান্ত বিরোধের জের ধরে রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষের আশংকা রয়েছে। 

থানায় দায়ের করা লিখিত অভিযোগে জানা যায়, উপজেলার পুনট্ট্রি ইউনিয়নের আমবাড়ি পাটুল গ্রামের সালাম মোল্লা নামের জনৈক ব্যাক্তির দখলকৃত জমিতে লাগানো বাঁশ, ফলজ বনজ গাছগুলি প্রতিপক্ষ মহসিন, আলতাফ, মোস্তাফিজারসহ কয়েকজন জোরপুর্বক কেটে ফেলে এবং আনুমানিক ৫৫ হাজার টাকার ক্ষতিসাধন করে।

এ ঘটনায় সরজমিনে গেলে জানা যায়, জনৈক সালাম মোল্লা ও তার ভাই কাসেম মোল্লা গত ৬০ বছর পুর্বে মরহুম রিয়াজ উদ্দিন নামের এক ব্যাক্তির কাছে ৩৯ শতাংশ জমির মধ্যে সাড়ে ১২ শতাংশ জমি করে মোট ২৫ শতাংশ জমি ক্রয় করে। পরবর্তিতে কাসেম মোল্লা তার ক্রয়কৃত ওই জমিটি বিক্রি করে।

এরপর ওই জমিটি সালাম মোল্লা জোরপুর্বক দখল করে নিয়ে ফলজ, বনজ ও বাঁশ লাগায়। জমিটি নিয়ে ইতিপুর্বে ১৫/১৬ বার সালিশী বৈঠক বসলেও সালাম মোল্লা কারো কথায় কর্ণপাত না করে জমিটি দখলে রাখে।

অবশেষে জমির মূল মালিক স্থানীয় জনগণকে কবরস্থান হিসেবে ব্যবহারের জন্য বললে অন্তত ২০ টি কবর দেয়া হয়। স্থানীয় এলাকাবাসি ওই জমিটি উদ্ধারের জন্য স্থানীয় ৫ জন প্রবীণ ব্যাক্তিকে সালাম মোল্লার কাছে পাঠালে তিনি সেসময় প্রভাবশালী আওয়ামীলীগের নেতা হওয়ায় বকাবকি করে সকলকে তাড়িয়ে দেন। এরপর থেকেই স্থানীয় এলাকাবাসি ক্ষিপ্ত হয়ে ছিল।

২০২৪ সালের জুলাই-আগস্ট অর্ভ্থ্থুানের পর জমির মূল মালিক জমিটি উদ্ধারের জন্য স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদসহ সকলের দ্বারস্থ হয়। এ নিয়ে কয়েকবার লাঠি ও দেশীয় অস্ত্র নিয়ে সংঘর্ষ হয়। গত ২৯ জুন সোমবার সকালে স্থানীয় এলাকাবাসি একত্রিত হয়ে সালাম মোল্লার অতিরিক্ত দখল করা জমির উপর গাছ বাঁশগুলি কেটে পুনঃদখল করে নেয় ও সালাম মোল্লা এবং তার পরিবারকে প্রায় একঘরে করে রাখে।

স্থানীয় এলাকাবাসির মধ্যে মোস্তাফিজুর রহমান ফিজারসহ অন্যরা জানান, স্থানীয়ভবে অনেকবার বিষয়টি নিয়ে বৈঠক হয়েছে। একটি পক্ষ কারো কথায় কর্ণপাত না করায় সমাধান করা যায়নি।

অভিযোগকারি সালাম মোল্লার কাছে জানতে চাওয়া হলে তিনি জানান, কাগজ বা দলিল না থাকলেও তিনি ওই জমিটি দীর্ঘদিন যাবত দখলে রেখেছেন। সেখানে প্রতিপক্ষ ও এলাকাবাসি একজোট হয়ে সকল গাছপালা বাঁশ কেটে নিয়ে দখল করে নিয়েছে।

থানার তদন্তকারি কর্মকর্তা এসআই সাজু ইসলাম বলেন, অভিযোগের আলোকে জমির মালিকানার সত্যতা পাওয়া যায়নি, তবে বাঁশ গাছপালা কেটে এলাকাবাসি কবরস্থান করার স্বার্থে পুনর্দখল করে নিয়েছে। উভয় পক্ষকে সংঘর্ষে না জড়ানোর জন্য পুলিশ প্রশাসন থেকে জানানো হয়েছে।

উক্ত ঘটনায় উভয়পক্ষের মধ্যে ব্যাপক সংঘর্ষের আশংকা রয়েছে। জরুরী ভিত্তিতে উভয়ের মধ্যে মিমাংসা না হলে যেকোন মুহুর্তে রক্ষক্ষয়ী সংঘর্ষ হতে পারে।

নীলফামারীতে প্রাথমিক শিক্ষার মানোন্নয়নে সভা

চিরিরবন্দরে জমি সংক্রান্ত বিরোধের জের ধরে রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষের আশংকা

প্রকাশিত ১২:১০:৫১ অপরাহ্ন, শনিবার, ৫ জুলাই ২০২৫

দিনাজপুরের চিরিরবন্দরে জমি সংক্রান্ত বিরোধের জের ধরে রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষের আশংকা রয়েছে। 

থানায় দায়ের করা লিখিত অভিযোগে জানা যায়, উপজেলার পুনট্ট্রি ইউনিয়নের আমবাড়ি পাটুল গ্রামের সালাম মোল্লা নামের জনৈক ব্যাক্তির দখলকৃত জমিতে লাগানো বাঁশ, ফলজ বনজ গাছগুলি প্রতিপক্ষ মহসিন, আলতাফ, মোস্তাফিজারসহ কয়েকজন জোরপুর্বক কেটে ফেলে এবং আনুমানিক ৫৫ হাজার টাকার ক্ষতিসাধন করে।

এ ঘটনায় সরজমিনে গেলে জানা যায়, জনৈক সালাম মোল্লা ও তার ভাই কাসেম মোল্লা গত ৬০ বছর পুর্বে মরহুম রিয়াজ উদ্দিন নামের এক ব্যাক্তির কাছে ৩৯ শতাংশ জমির মধ্যে সাড়ে ১২ শতাংশ জমি করে মোট ২৫ শতাংশ জমি ক্রয় করে। পরবর্তিতে কাসেম মোল্লা তার ক্রয়কৃত ওই জমিটি বিক্রি করে।

এরপর ওই জমিটি সালাম মোল্লা জোরপুর্বক দখল করে নিয়ে ফলজ, বনজ ও বাঁশ লাগায়। জমিটি নিয়ে ইতিপুর্বে ১৫/১৬ বার সালিশী বৈঠক বসলেও সালাম মোল্লা কারো কথায় কর্ণপাত না করে জমিটি দখলে রাখে।

অবশেষে জমির মূল মালিক স্থানীয় জনগণকে কবরস্থান হিসেবে ব্যবহারের জন্য বললে অন্তত ২০ টি কবর দেয়া হয়। স্থানীয় এলাকাবাসি ওই জমিটি উদ্ধারের জন্য স্থানীয় ৫ জন প্রবীণ ব্যাক্তিকে সালাম মোল্লার কাছে পাঠালে তিনি সেসময় প্রভাবশালী আওয়ামীলীগের নেতা হওয়ায় বকাবকি করে সকলকে তাড়িয়ে দেন। এরপর থেকেই স্থানীয় এলাকাবাসি ক্ষিপ্ত হয়ে ছিল।

২০২৪ সালের জুলাই-আগস্ট অর্ভ্থ্থুানের পর জমির মূল মালিক জমিটি উদ্ধারের জন্য স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদসহ সকলের দ্বারস্থ হয়। এ নিয়ে কয়েকবার লাঠি ও দেশীয় অস্ত্র নিয়ে সংঘর্ষ হয়। গত ২৯ জুন সোমবার সকালে স্থানীয় এলাকাবাসি একত্রিত হয়ে সালাম মোল্লার অতিরিক্ত দখল করা জমির উপর গাছ বাঁশগুলি কেটে পুনঃদখল করে নেয় ও সালাম মোল্লা এবং তার পরিবারকে প্রায় একঘরে করে রাখে।

স্থানীয় এলাকাবাসির মধ্যে মোস্তাফিজুর রহমান ফিজারসহ অন্যরা জানান, স্থানীয়ভবে অনেকবার বিষয়টি নিয়ে বৈঠক হয়েছে। একটি পক্ষ কারো কথায় কর্ণপাত না করায় সমাধান করা যায়নি।

অভিযোগকারি সালাম মোল্লার কাছে জানতে চাওয়া হলে তিনি জানান, কাগজ বা দলিল না থাকলেও তিনি ওই জমিটি দীর্ঘদিন যাবত দখলে রেখেছেন। সেখানে প্রতিপক্ষ ও এলাকাবাসি একজোট হয়ে সকল গাছপালা বাঁশ কেটে নিয়ে দখল করে নিয়েছে।

থানার তদন্তকারি কর্মকর্তা এসআই সাজু ইসলাম বলেন, অভিযোগের আলোকে জমির মালিকানার সত্যতা পাওয়া যায়নি, তবে বাঁশ গাছপালা কেটে এলাকাবাসি কবরস্থান করার স্বার্থে পুনর্দখল করে নিয়েছে। উভয় পক্ষকে সংঘর্ষে না জড়ানোর জন্য পুলিশ প্রশাসন থেকে জানানো হয়েছে।

উক্ত ঘটনায় উভয়পক্ষের মধ্যে ব্যাপক সংঘর্ষের আশংকা রয়েছে। জরুরী ভিত্তিতে উভয়ের মধ্যে মিমাংসা না হলে যেকোন মুহুর্তে রক্ষক্ষয়ী সংঘর্ষ হতে পারে।