উজানের পাহাড়ী ঢলে ও প্রবল বৃষ্টিপাতের ফলে তিস্তা নদীর পানি ডিমলা ডালিয়া পয়েন্টে বিপদসীমার ৫ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। ওই পয়েন্টে বিপদসীমা ৫২ দশমিক ১৫ সেন্টিমিটার। এছাড়াও ডালিয়ায় গড় বৃষ্টিপাতের পরিমান ১৩২ দশমিক শুন্য মিলিমিটার (সকাল ৯টায়)।
পানি উন্নয়ন বোর্ড ডালিয়া ডিভিশনের বন্যা পূর্বাভাস ও সতর্কীকরন কেন্দ্র জানায়, বুধবার (১৩ আগষ্ট) সকাল ৬টা বিপদসীমার ৭ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে বন্যার পানি প্রবাহি হলেও সকাল ৯টায় কমে তা বিপদসীমার ৫ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে পানি প্রবাহিত হয়। পাউবোর গেজ পাঠক (পানি পরিমাপক) নুরুল ইসলাম এ তথ্য নিশ্চিত করেন।
তিনি জানান, ভারী বৃষ্টিপাতের ফলে গতকাল মঙ্গলবার রাত থেকে ডালিয়া পয়েন্টে তিস্তার পানি বাড়তে থাকে। আজ সকাল ৬ টায় ওই পয়েন্টে বিপদসীমার ৭ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে বন্যার পানি প্রবাহিত হয়। আবার সকাল ৯ টার দিকে ওই পানি ২ সেন্টিমিটার কমে তা বিপদসীমার ৫ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হতে থাকে।
ডিমলা উপজেলার পূর্ব ছাতনাই ইউনিয়নের চেয়ারম্যান হাফিজুর রহমান (ভারপ্রাপ্ত) জানান, গতকাল সারা রাতের বৃষ্টিপাতের ফলে আজ সকাল থেকে তিস্তার পানি বাড়তে শুরু করেছে। তবে আজ বুধবার সকাল থেকে তিস্তা পানি বৃদ্ধি অব্যাহত রয়েছে। এতে চর গ্রামসহ নিন্মাঞ্চল প্লাবিত হয়েছে।
উপজেলার টেপাখড়িবাড়ী ইউনিয়নের চেয়ারম্যান রবিউল ইসলাম শাহিন বলেন, এলাকার লোকজন বন্যা আতঙ্কে দিন যাপন করছে। এছাড়াও নিন্মাঞ্চল ও বিস্তর্ন এলাকাগুলো প্লাবিত হয়েছে। যে কোন সময় লোকালয়ে বন্যার পানি প্রবেশ করতে পারে বলে ধারনা করা হচ্ছে।
ডালিয়া ডিভিশনের নির্বাহী প্রকৌশলী অমিতাভ চৌধুরী জানান, আজ ভারী বৃষ্টিপাত ও উজানের ঢলে সকাল থেকে ডালিয়া পয়েন্টে তিস্তা নদীর পানি বিপদসীমার ৭ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছিল।
এরপর সকাল ৯ টায় ২ সেন্টিমিটার কমে তা বিপদসীমার ৫ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। এতে আতঙ্কিত হওয়ার কিছুই নেই। বন্যার পানি সামাল দিতে ব্যারাজে ৪৪ টি জল কপাট (¯øইস গেট) খুলে রেখেছে পানি উন্নয়ন বোড।


























