মঙ্গলবার (৭অক্টোবর) বিকেলে শিল্পকলা একাডেমির গ্যালারি রুমে এই সভা অনুষ্ঠিত হয়। এতে প্রধান অতিথি ছিলেন অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) জ্যোতি বিকাশ চন্দ্র। অন্যান্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন জেলা বিএনপির যুগ্ম আহবায়ক মোস্তফা হক প্রধান বাচ্চু ও সদস্য তাসনিম ফৌজিয়া ওপেল এবং জেলা গণ অধিকার পরিষদের সভাপতি জাহাঙ্গীর আলউসহ প্রমুখ। জেলা শিল্পকলা একাডেমির কালচারাল অফিসার নুঝাত তাবাসসুম রিমু আলোচনা সভা সঞ্চালনা করেন।

বক্তারা উল্লেখ করেন শহীদ আবরার ফাহাদ ছিলেন মুক্তিযুদ্ধের ভ্যানগার্ড ও আধিপত্যবাদ বিরোধী লড়াইয়ের প্রতীক। ছাত্রলীগ নেতারা ফাহাদকে নির্মম নির্যাতন করে যেভাবে হত্যা করেছে জাতি তা ভুলতে পারবে না। ফাহাদ মারা গেলেও ইতিহাস হয়ে থাকবে বাংলাদেশে। এর আগে প্রামাণ্যচিত্র প্রদর্শন করা হয়।

উল্লেখ যে, বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) তড়িৎ ও ইলেকট্রনিকস প্রকৌশল বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষের মেধাবী ছাত্র শহীদ আবরার ফাহাদের ষষ্ঠ মৃত্যুবার্ষিকী ছিল আজ মঙ্গলবার। ২০১৯ সালের ৭ অক্টোবর বুয়েটের শেরেবাংলা হলে ছাত্রলীগের একদল নেতাকর্মীর হাতে নৃশংসভাবে শহীদ হন তিনি। আবরার ফাহাদের মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে সংস্কৃতি মন্ত্রণালয় বদিনব্যাপী নানা কর্মসূচি পালন করে।

এদিকে ৭ অক্টোবর ও ২৫ ফেব্রুয়ারি বিশেষ দিবস ঘোষণা করা হয়েছে। প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয় জানিয়েছে, আবরার ফাহাদ হত্যাকাণ্ড ও পিলখানা হত্যাকাণ্ডের স্মরণে ৭ অক্টোবর এবং ২৫ ফেব্রুয়ারি দিন দুটিকে রাজনৈতিকভাবে গুরুত্বপূর্ণ হিসেবে চিহ্নিত করে প্রতি বছর বিশেষভাবে পালনের সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। গতকাল সোমবার বিকেলে প্রধান উপদেষ্টার অফিশিয়াল ফেসবুক পেজে এমন তথ্য জানানো হয়।