দীর্ঘ আঠার বছর পর প্রথমবারের মত রাজনৈতিক কর্মসূচিতে অংশ নিচ্ছেন নীলফামারী-০১ (ডোমাম-ডিমলা) আসনের সাবেক সংসদ সদস্য ও জেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি প্রকৌশলী শাহরিন ইসলাম চৌধুরী তুহিন।
ফ্যাসিস্ট শেখ হাসিনা পলায়নের বছর পূর্তি উপলক্ষে আজ বুধবার (৬ আগস্ট) জেলা বিএনপি আয়োজিত নীলফামারীতে বিজয় র্যালিতে প্রধান অতিথি হিসেবে যোগ দেবেন তিনি। এদিন বিকেল চার ঘটিকায় এই র্যালি শুরু হবে শহরের পৌর বাজারস্থ দলীয় কার্যালয় থেকে।
বিজয় মিছিল সফল করতে ইতোমধ্যে যাবতীয় প্রস্তুতি সম্পন্ন করেছে জেলা বিএনপি। জেলা বিএনপির উদ্যোগে উপজেলা, পৌর, ইউনিয়ন বিএনপি ও অঙ্গ সহযোগী সংগঠনের তৃণমুল পর্যায়ের নেতা কর্মীদের উজ্জিবিত করেছেন কর্মীসভা করে।
এদিকে সদ্য গঠিত জেলা বিএনপি’র আহবায়ক কমিটির প্রথম কর্মসূচি হওয়ায় বড় শো-ডাউনের প্রস্তুতি নিয়েছে ৩৩সদস্য বিশিষ্ট কমিটি। এই কমিটির আহবায়ক হিসেবে মীর সেলিম ফারুক ও সদস্য সচিব হিসেবে রয়েছেন এ এইচ এম সাইফুল্লাহ রুবেল।
সদর উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক এ্যাডভোকেট কাজী আখতারুজ্জামান জুয়েল বলেন, স্বৈরাচার শেখ হাসিনার আক্রোশের শিকার হয়েছিলেন আমাদের প্রিয় নেতা বিএনপি চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়ার ভাগ্নে শাহরিন ইসলাম চৌধুরী তুহিন।
মিথ্যে মামলা দিয়ে তাকে সাজা দেয়া হয়েছিলো। ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে ফ্যাসিস্ট শেখ হাসিনার পলায়নের পর দেশে ফিরেন আমাদের প্রিয় নেতা। দেশে ফিরেও বৈষম্যের শিকার হন তিনি। অন্তবর্তীকালীন সরকার থাকলেও সুবিচার পাননি। আদালতে জামিন নিতে গেলে তাকে কারাগারে প্রেরণ করা হয়। পরে জামিন পেয়ে জেল থেকে মুক্ত হন তিনি।
জেলা বিএনপির আহবায়ক কমিটির যুগ্ম আয়বায়ক মোস্তফা হক প্রধান বাচ্চু বলেন, জনগণের কাছ থেকে প্রিয় নেতা তুহিনকে বিচ্ছিন্ন করতে চেয়েছিলো শেখ হাসিনা কিন্তু পারেননি, শেখ হাসিনাই আজ জনবিচ্ছিন্ন।
শেখ হাসিনা মুক্ত বাংলাদেশে আজ মানুষ বিজয় উৎসব মানুষ করছে। বিজয় উৎসবের অংশ হিসেবে নীলফামারীতে বিজয় র্যালি হবে। এই র্যালিতে প্রথমবারের মত অংশ নেবেন শাহরিন ইসলাম চৌধুরী তুহিন।
জেলা বিএনপির আহবায়ক কমিটির যুগ্ম আহবায়ক সোহেল পারভেজ জানান, নতুন বাংলাদেশে মানুষ বিএনপির দিকে তাকিয়ে রয়েছে। মানুষ বিএনপি নিয়ে স্বপ্ন দেখছে। এই স্বপ্ন বাস্তবায়নে তৃণমুলে বিএনপি নেতা কর্মীরা কাজ করে যাচ্ছেন। তিনি আরো বলেন, আমরা নীলফামারী জেলা বিএনপি’র দায়িত্বে এসেছি মাত্র কয়েকদিন হলো। বিজয় র্যালিকে সফল করতে আমরা সব ধরণের প্রস্তুতি নিয়েছি যাতে এই র্যালি স্মরণীয় হয়ে থাকে জেলায়।
জেলা বিএনপির আহবায়ক মীর সেলিম ফারুক বলেন, এই এলাকার উন্নয়নের কান্ডারী তুহিন ভাই। তিনি আমাদের গর্ব। রাজনৈতিক প্রতিহিংসার শিকার হলেও তাকে জনবিচ্ছিন্ন করা যায়নি। দীর্ঘ আঠার বছর পর তিনি নীলফামারীতে রাজনৈতিক কর্মসূচিতে অংশ নিবেন। আমরাও চাই বিজয় র্যালি যাতে ঐতিহাসিক হয়।
























