০৯:২৫ অপরাহ্ন, রবিবার, ০৭ ডিসেম্বর ২০২৫

নীলফামারীতে প্রভাবশালীর দখলে রাস্তা অবরুদ্ধ ১৫ পরিবার

নীলফামারী সদরের চড়াইখোলা ইউনিয়নের নগর দাড়োয়ানী টেক্সটাইলমিল কবিরাজ পাড়া গ্রামের অসহায় ১৫টি পরিবারকে অবরুদ্ধ (একঘরে) করে রেখেছে সেতু নামের স্থানীয় এক প্রভাবশালী। চরম বিপাকে পড়েছে পরিবার গুলো। ওই ইউনিয়নের পঞ্চাশ বছরের পুরোনো একমাত্র চলাচলের রাস্তা দখল করে দোকান নির্মাণের অভিযোগ উঠেছে ওই ব্যক্তির বিরুদ্ধে।

ভুক্তভোগি ও স্থানীয়রা জানান, রাস্তাটি দিয়ে দীর্ঘদিন ধরে তারা হাট বাজার, কবরস্থান, স্কুল, মাদ্রাসা, মসজিদ ও হাসপাতালসহ জেলা শহরে যাতায়াত করেন। কিন্তু রাস্তাটি বন্ধ করে দেওয়ায় পরিবার গুলো অবরুদ্ধ হয়ে পড়েছে। বিষয়টি নিয়ে ভুক্তভোগি পরিবার গুলো ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার (ইউএনও) কাছে অভিযোগ দেওয়ার পরও কোনো ব্যবস্থা নেয়নি স্থানীয় প্রশাসন।

ভুক্তভোগী আঞ্জুয়ারা সুমি বলেন, “আমরা প্রায় ৫০ বছর ধরে এই রাস্তায় চলাচল করছি। এখন সেতু দোকান তুলে পুরো পথ বন্ধ করে দিয়েছে। রাস্তাটা বন্ধ হয়ে যাওয়ায় বাচ্চাদের স্কুল কলেজে পাঠাতে পারছি না।”

একই গ্রামের রুবি বেগম বলেন, “বাড়ি থেকে বাজার ও জরুরী কাজে যেতে এখন অনেক দূর ঘুরে যেতে হয়। শিশুসহ বয়স্করা বিপাকে পড়েছে।”
শিক্ষার্থী ফারজানা আক্তার ও নয়ন বলেন, “রাস্তায় দোকান ঘর উঠায় স্কুলে ঘুরে যেতে অনেক দেরি হয়। ক্লাসও মিস করি। আমরা খেলাধুলা বা পড়াশোনা জন্য বাইরে যেতে পারছি না, কারণ রাস্তা পুরোপুরি বন্ধ। এবিষয়ে বিভিন্ন জায়গায় বিচার দিয়েও সমাধান মেলেনি।”

এ ব্যাপারে, অভিযুক্ত সেতু বলেন,“তারা এখন পর্যন্ত আমাদের জমিতে বসবাস করছে। আমরা তাদের রাস্তা দিয়েছি, থাকার জমি দিয়েছি। তাদের এখন ওই রাস্তা দিয়ে চলতে দূর হয় নাকি। তারা যে অভিযোগ করছে তা সত্য নয়, মিথ্য ভিত্তিহীন ও বানোয়াট। তাদের চলাচলের রাস্তা রয়েছে, কোন সমস্যা নাই।”

সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. সাইফুল ইসলাম বলেন,“বিষয়টি আমার জানা নেই। অভিযোগ পেলে তদন্ত সাপেক্ষে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।”

জনপ্রিয় সংবাদ

তৃতীয় পক্ষে আন্দোলনে লম্বা ছুটিতে সাবরেজিস্টার, ভোগান্তিতে জমি দাতা ও গ্রহীতারা

নীলফামারীতে প্রভাবশালীর দখলে রাস্তা অবরুদ্ধ ১৫ পরিবার

প্রকাশিত ০৭:৩৮:১০ অপরাহ্ন, রবিবার, ২৬ অক্টোবর ২০২৫

নীলফামারী সদরের চড়াইখোলা ইউনিয়নের নগর দাড়োয়ানী টেক্সটাইলমিল কবিরাজ পাড়া গ্রামের অসহায় ১৫টি পরিবারকে অবরুদ্ধ (একঘরে) করে রেখেছে সেতু নামের স্থানীয় এক প্রভাবশালী। চরম বিপাকে পড়েছে পরিবার গুলো। ওই ইউনিয়নের পঞ্চাশ বছরের পুরোনো একমাত্র চলাচলের রাস্তা দখল করে দোকান নির্মাণের অভিযোগ উঠেছে ওই ব্যক্তির বিরুদ্ধে।

ভুক্তভোগি ও স্থানীয়রা জানান, রাস্তাটি দিয়ে দীর্ঘদিন ধরে তারা হাট বাজার, কবরস্থান, স্কুল, মাদ্রাসা, মসজিদ ও হাসপাতালসহ জেলা শহরে যাতায়াত করেন। কিন্তু রাস্তাটি বন্ধ করে দেওয়ায় পরিবার গুলো অবরুদ্ধ হয়ে পড়েছে। বিষয়টি নিয়ে ভুক্তভোগি পরিবার গুলো ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার (ইউএনও) কাছে অভিযোগ দেওয়ার পরও কোনো ব্যবস্থা নেয়নি স্থানীয় প্রশাসন।

ভুক্তভোগী আঞ্জুয়ারা সুমি বলেন, “আমরা প্রায় ৫০ বছর ধরে এই রাস্তায় চলাচল করছি। এখন সেতু দোকান তুলে পুরো পথ বন্ধ করে দিয়েছে। রাস্তাটা বন্ধ হয়ে যাওয়ায় বাচ্চাদের স্কুল কলেজে পাঠাতে পারছি না।”

একই গ্রামের রুবি বেগম বলেন, “বাড়ি থেকে বাজার ও জরুরী কাজে যেতে এখন অনেক দূর ঘুরে যেতে হয়। শিশুসহ বয়স্করা বিপাকে পড়েছে।”
শিক্ষার্থী ফারজানা আক্তার ও নয়ন বলেন, “রাস্তায় দোকান ঘর উঠায় স্কুলে ঘুরে যেতে অনেক দেরি হয়। ক্লাসও মিস করি। আমরা খেলাধুলা বা পড়াশোনা জন্য বাইরে যেতে পারছি না, কারণ রাস্তা পুরোপুরি বন্ধ। এবিষয়ে বিভিন্ন জায়গায় বিচার দিয়েও সমাধান মেলেনি।”

এ ব্যাপারে, অভিযুক্ত সেতু বলেন,“তারা এখন পর্যন্ত আমাদের জমিতে বসবাস করছে। আমরা তাদের রাস্তা দিয়েছি, থাকার জমি দিয়েছি। তাদের এখন ওই রাস্তা দিয়ে চলতে দূর হয় নাকি। তারা যে অভিযোগ করছে তা সত্য নয়, মিথ্য ভিত্তিহীন ও বানোয়াট। তাদের চলাচলের রাস্তা রয়েছে, কোন সমস্যা নাই।”

সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. সাইফুল ইসলাম বলেন,“বিষয়টি আমার জানা নেই। অভিযোগ পেলে তদন্ত সাপেক্ষে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।”