নীলফামারীর সৈয়দপুরে খাদ্য বান্ধব কর্মসূচির চাল মৃত ব্যক্তিকে দেয়ার অভিযোগ উঠেছে ইউপি চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে। ঘটনাটি ঘটেছে উপজেলার কামারপুকুর ইউনিয়নে।
জানা যায়, ওই ইউনিয়নের ১ নং ওয়ার্ডের ধলাগাছ এলাকার শহিদুল ইসলাম পাইলটের ছেলে ভ্যানচালক মোরশেদুল ইসলাম ৩ মাস হলো মারা গেছেন। তার নামে খাদ্য বান্ধব কর্মসূচির কার্ড আছে। কার্ড নং ৪৮। গত ২৬ আগস্ট সেই কার্ডের বিপরীতে ১৫ টাকা কেজি দরে ৩০ কেজি চাল উত্তোলন করা হয়েছে। প্রশ্ন উঠেছে মৃত ব্যক্তি কিভাবে চাল নিয়ে গেছেন? নিয়মানুযায়ী এটা কতটুকু গ্রহণযোগ্য? চাল গ্রহণের ক্ষেত্রে অবশ্যই মাস্টার রোলে সুবিধাভোগীর স্বাক্ষর বা টিপসই নেয়া বাধ্যতা মুলক। তাহলে একজন মৃত ব্যক্তির ক্ষেত্রে এই নিয়ম কেমন করে সম্পন্ন করা হয়েছে?
মৃত মোরশেদুল ইসলামের স্ত্রী মোতাহারা বলেন, আমার স্বামী গত ৩ মাস হলো ক্যান্সার আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন। এরপর তার রেশন কার্ডটির বদলে আমার নামে করে দেয়ার জন্য বলেছি। কিন্তু চেয়ারম্যান করে দেননি। বরং বলেছেন, ওই কার্ডেই চাল তোলা যাবে। একারণে আমি চাল তুলে এনেছি।
এসব প্রশ্নের উত্তরে ইউপি চেয়ারম্যান আনোয়ার হোসেন সরকার বলেন, আমিই দিয়েছি। ভুল করে মৃত মোরশেদুলের স্ত্রীকে চাল দেয়া হয়েছে। একজনের চাল অন্যকে দেয়া কি ঠিক জানতে চাইলে তিনি বলেন, এভাবেই তো চাল দেয়া হয়। পরিবারের কোন একজন এসে চাল তোলে। এতে সমস্যা কী?
সূত্রমতে, প্রয়োজন হলে স্বামীর পরিবর্তে স্ত্রীকে বা পরিবারের অন্য কারো নামে কার্ড রিপ্লেস করে নিয়ে দেয়া যেতো। তা না করে পুরাতন কার্ডেই অন্যকে চাল দেয়া আইনের ব্যত্যয় করা হয়েছে। এটা গুরুত্বর অপরাধ।
উপজেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক সোহেল আহমেদ বলেন, কোনভাবেই একজনের চাল অন্যকে দেয়া যাবেনা। মৃত ব্যক্তির নামে তো নয়ই। এমন করা হলে সুনির্দিষ্ট অভিযোগ পাওয়া গেলে তদন্ত পূর্বক আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে।
একই কথা বলেন, সৈয়দপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসার নুর ই আলম সিদ্দিকী। তিনি আরও বলেন, অভিযোগ তদন্ত করে সত্যতা নিশ্চিত হলে যথাযথ পদক্ষেপ নেয়া হবে।





















