০৭:০০ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৮ নভেম্বর ২০২৫
ভোগান্তিতে ১০ হাজার মানুষ

নীলফামারীতে পোষ্ট মাষ্টারের বাড়ীতে চিঠি পত্রের কার্যক্রম চলছে

নীলফামারী সদর লক্ষীচাপ ইউনিয়নের কচুয়া চৌরঙ্গী বাজারের পোষ্ট অফিসের চিঠি পত্রের কার্যক্রম চলছে পোষ্ট মাষ্টারের বাড়ীতে। বাজার থেকে প্রায় দেড় কিলোমিটার দুরে গ্রামের মাঝখানে। দেশ বিদেশে জরুরী চিঠি পত্র পাঠাতে হলে ও চিঠি আসলে হাতে পেতে যেতে হয় পোষ্ট মাষ্টার অরবিন্দু রায়ের বাড়ীতে। ভোগান্তিতে রয়েছে অত্র ইউনিয়নের প্রায় ১০ হাজার মানুষ।

জেলা প্রধান ডাকঘড় সূত্রে জানা যায়,কচুয়া চৌরঙ্গী বাজারের নামে পোষ্ট অফিস বরাদ্দ রয়েছে। কিন্তু বাস্তবে খুঁজে সেখানে পোষ্ট অফিস পাওয়া যায়নি। স্থানীয়রা বলেন পোষ্ট অফিস রয়েছে পোষ্ট মাষ্টার অরবিন্দু রায়ের বাড়ীতে। রানার প্রতিদিন চিঠি আদান প্রদান করেন পোষ্ট মাষ্টারের বাড়ী থেকে। ডাক পিয়ন ছত্রিশ রায় দীর্ঘদিন থেকে ষ্টক হয়ে অসুস্থ্য হয়ে পওে রয়েছে বিছানায়। চিঠি পাঠানো বা গ্রহন করতে হয় মাষ্টারের বাড়ীতে গিয়ে।

কচুয়া চৌরঙ্গী বাজারের ইজারাদার কালিপদ রায় বলেন,দীর্ঘদিন থেকে বাজারে পোষ্ট অফিসের কার্যক্রম নেই। চিঠি পত্র আদান প্রদান হয় পোষ্ট মাষ্টার অরবিন্দু রায়ের বাড়ীতে। পোষ্ট অফিস বাজারে না থাকায় ভোগান্তিতে পরেছে মানুষ। জরুরী চিঠি পাঠাতে হলে বা আনতে হলে যাইতে হয় মাষ্টারের বাড়ীতে। চিঠি বিলি করার পিয়ন ছত্রিশ চন্দ্র রায় আমার শ্বশুর, তিনিও ষ্টক করে অসুস্থ্য হয়ে বিছানায় পরে রয়েছে।

চৌরঙ্গী বাজারের ব্যবসায়ী মিজানুর রহমান বলেন,পোষ্ট অফিস বাজারে নেই। পোষ্ট অফিস রয়েছে মাষ্টারের বাড়ীতে। এর জন্য ভোগান্তি পোহাতে হয় সাধারণ মানুষের। কিন্তু কেউ তো এর তদারকি করে না। অনেকে বাজারে ডাকঘড় খুজে না পেয়ে ফিরে যান অন্য কোথাও। স্থানীয়দের দাবী বাজারে পোষ্ট অফিসের কার্যক্রম চালাতে হবে।

ডাক পিয়ন মাধব রায়ের সাথে কথা বললে তিনি বলেন, আমি চিঠি পত্র এনে দেই পোষ্ট মাষ্টারের বাড়ীতে। বাড়ী থেকেই কার্যক্রম চলে। চিঠি বিলি করার পিয়ন ছত্রিশ রায় অসুস্থ্য। তার বদলী কাজ করেন হরেন্দ্র নাথ রায় নামে এক ব্যক্তি।

পোষ্ট মাষ্টার অরবিন্দু রায়ের সাথে কথা হলে তিনি বলেন,বাজারে জায়গা না থাকায় আমার বাড়ী থেকেই কার্যক্রম চালাচ্ছি। পোষ্ট অফিস পরিদর্শক ফজলুল হকের সাথে কথা হলে তিনি বলেন,তথ্যটি সঠিক। পোষ্ট অফিস পরিচালনা হচ্ছে পোষ্ট মাষ্টার অরবিন্দু রায়ের বাড়ী থেকে। এটা নিয়ম বহির্ভুত কাজ। চিঠি বিলির পিয়ন অসুস্থ্য থাকার বিষয়ে তিনি কিছু জানেন না।

জেলা হেড পোষ্ট মাষ্টার মো: শামসুজ্জোহার সাথে কথা হলে তিনি আমাদের সময়কে বলেন, বিষয়টি আমি শুনেছি। তবে বাড়ীতে কার্যক্রম চালানো ঠিক নয়, এ রকম কোন নিয়ম নেই। বিষয়টি সমাধান করার চেষ্টা করবো।

জনপ্রিয় সংবাদ

শেখ হাসিনার মৃত্যুদণ্ডের রায়ে নীলফামারীতে মিষ্টি বিতরণ

ভোগান্তিতে ১০ হাজার মানুষ

নীলফামারীতে পোষ্ট মাষ্টারের বাড়ীতে চিঠি পত্রের কার্যক্রম চলছে

প্রকাশিত ০৮:২৩:০০ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২১ অক্টোবর ২০২৫

নীলফামারী সদর লক্ষীচাপ ইউনিয়নের কচুয়া চৌরঙ্গী বাজারের পোষ্ট অফিসের চিঠি পত্রের কার্যক্রম চলছে পোষ্ট মাষ্টারের বাড়ীতে। বাজার থেকে প্রায় দেড় কিলোমিটার দুরে গ্রামের মাঝখানে। দেশ বিদেশে জরুরী চিঠি পত্র পাঠাতে হলে ও চিঠি আসলে হাতে পেতে যেতে হয় পোষ্ট মাষ্টার অরবিন্দু রায়ের বাড়ীতে। ভোগান্তিতে রয়েছে অত্র ইউনিয়নের প্রায় ১০ হাজার মানুষ।

জেলা প্রধান ডাকঘড় সূত্রে জানা যায়,কচুয়া চৌরঙ্গী বাজারের নামে পোষ্ট অফিস বরাদ্দ রয়েছে। কিন্তু বাস্তবে খুঁজে সেখানে পোষ্ট অফিস পাওয়া যায়নি। স্থানীয়রা বলেন পোষ্ট অফিস রয়েছে পোষ্ট মাষ্টার অরবিন্দু রায়ের বাড়ীতে। রানার প্রতিদিন চিঠি আদান প্রদান করেন পোষ্ট মাষ্টারের বাড়ী থেকে। ডাক পিয়ন ছত্রিশ রায় দীর্ঘদিন থেকে ষ্টক হয়ে অসুস্থ্য হয়ে পওে রয়েছে বিছানায়। চিঠি পাঠানো বা গ্রহন করতে হয় মাষ্টারের বাড়ীতে গিয়ে।

কচুয়া চৌরঙ্গী বাজারের ইজারাদার কালিপদ রায় বলেন,দীর্ঘদিন থেকে বাজারে পোষ্ট অফিসের কার্যক্রম নেই। চিঠি পত্র আদান প্রদান হয় পোষ্ট মাষ্টার অরবিন্দু রায়ের বাড়ীতে। পোষ্ট অফিস বাজারে না থাকায় ভোগান্তিতে পরেছে মানুষ। জরুরী চিঠি পাঠাতে হলে বা আনতে হলে যাইতে হয় মাষ্টারের বাড়ীতে। চিঠি বিলি করার পিয়ন ছত্রিশ চন্দ্র রায় আমার শ্বশুর, তিনিও ষ্টক করে অসুস্থ্য হয়ে বিছানায় পরে রয়েছে।

চৌরঙ্গী বাজারের ব্যবসায়ী মিজানুর রহমান বলেন,পোষ্ট অফিস বাজারে নেই। পোষ্ট অফিস রয়েছে মাষ্টারের বাড়ীতে। এর জন্য ভোগান্তি পোহাতে হয় সাধারণ মানুষের। কিন্তু কেউ তো এর তদারকি করে না। অনেকে বাজারে ডাকঘড় খুজে না পেয়ে ফিরে যান অন্য কোথাও। স্থানীয়দের দাবী বাজারে পোষ্ট অফিসের কার্যক্রম চালাতে হবে।

ডাক পিয়ন মাধব রায়ের সাথে কথা বললে তিনি বলেন, আমি চিঠি পত্র এনে দেই পোষ্ট মাষ্টারের বাড়ীতে। বাড়ী থেকেই কার্যক্রম চলে। চিঠি বিলি করার পিয়ন ছত্রিশ রায় অসুস্থ্য। তার বদলী কাজ করেন হরেন্দ্র নাথ রায় নামে এক ব্যক্তি।

পোষ্ট মাষ্টার অরবিন্দু রায়ের সাথে কথা হলে তিনি বলেন,বাজারে জায়গা না থাকায় আমার বাড়ী থেকেই কার্যক্রম চালাচ্ছি। পোষ্ট অফিস পরিদর্শক ফজলুল হকের সাথে কথা হলে তিনি বলেন,তথ্যটি সঠিক। পোষ্ট অফিস পরিচালনা হচ্ছে পোষ্ট মাষ্টার অরবিন্দু রায়ের বাড়ী থেকে। এটা নিয়ম বহির্ভুত কাজ। চিঠি বিলির পিয়ন অসুস্থ্য থাকার বিষয়ে তিনি কিছু জানেন না।

জেলা হেড পোষ্ট মাষ্টার মো: শামসুজ্জোহার সাথে কথা হলে তিনি আমাদের সময়কে বলেন, বিষয়টি আমি শুনেছি। তবে বাড়ীতে কার্যক্রম চালানো ঠিক নয়, এ রকম কোন নিয়ম নেই। বিষয়টি সমাধান করার চেষ্টা করবো।