১০:৪৪ অপরাহ্ন, রবিবার, ০৭ ডিসেম্বর ২০২৫

নীলফামারীতে সরকারি জমিতে দোকান নির্মাণ করে ভাড়া উত্তোলনের অভিযোগে সংবাদ সম্মেলন

নীলফামারীতে সরকারি জমির উপর দোকান নির্মাণ করে অবৈধভাবে ভাড়া উত্তোলনের অভিযোগে মসজিদ কমিটির বিরুদ্ধে সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছে।

বৃহস্পতিবার দুপুরে জেলা সদরের গোড়গ্রাম ইউনিয়নের ভবানীগঞ্জ বাজার কেন্দ্রীয় জামে মসজিদ কমিটির বিরুদ্ধে ওই সংবাদ সম্মেলণ করে ওই বাজারের ভুক্তভোগি ব্যবসায়ীরা।

সংবাদ সম্মেলণে ব্যবসায়ীদের অভিযোগ, ভবানীগঞ্জ বাজারে সরকারি জমিতে অবস্থিত রয়েছে ভবানীগঞ্জ কেন্দ্রীয় জামে মসিজেদ মার্কেটে। মসজিদ কর্তৃপক্ষের কাছ থেকে ওই মার্কেটের দোকান ঘর ভাড়া নিয়ে র্দীঘ দুই যুগ ধরে ব্যবসা পরিচালনা করে আসছেন ব্যবসায়ীরা। এরই মধ্যে গেল বছরে ২৫ ডিসেম্বর ওই মার্কেটটি ভেঙ্গে দোতালা বিশিষ্ট নতুন মার্কেট নির্মাণ এবং নির্মাণ শেষে পূর্বেবর ব্যবসায়ীদের দোকান ঘর বরাদ্দ প্রদানের প্রতিশ্রুতি দিয়ে মালামাল সড়াতে ব্যবসায়ীদের নোটিশ দেয় মসজিদ কর্তৃপক্ষ।

ওই নোটিশের প্রেক্ষিতে ১৫ দিনের মধ্যেই সাত জন ব্যবসায়ী তাদেও মালামাল সড়িয়ে নিয়ে দোকান ঘর খালি করে দেয়। বাস্তবে নতুন মার্কেট নির্মাণ না করে চলতি বছরের ৪ সেপ্টেম্বর পুরনো মার্কেট মেরামত করে মসজিদ কমিটির সভাপতি অকছেদ আলী কৌশলে লোক দেখানো খোলা ডাকের মাধ্যমে ২৯ লাখ টাকা জামানত ও মাসিক ২১ হাজার টাকা ভাড়ায় চারটি দোকান নতুনদের নামে ভাড়া দেয়।

ভুক্তভোগী আরেক দোকানদার সাইফুল ইসলাম বলেন, ওই দোকানগুলোর জন্য জামানত দেওয়া আছে। তারা প্রতিশ্রুতি ভঙ্গ করে আমাদের কাছ থেকে দোকান ছিনিয়ে নেয়।

সরকারি জমিতে গড়ে ওঠা মার্কেট থেকে অবৈধভাবে ভাড়া আদায় করে মসজিদ কমিটির কিছু সদস্য তাদের ব্যক্তিস্বার্থ হাসিল করছেন। অবিলম্বে আমাদেরকে দোকান ফিরিয়ে দেওয়া হোক।

ভুক্তভোগী ব্যবসায়ী লতিফুর রহমান বলেন, ‘ন্যায় বিচারের আশায় সদও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বরাবওে একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছি।’
অভিযোগের বিষয়ে মসজিদ কমিটির সভাপতি অকছেদ আলী বলেন,“আমরা রেজুলেশন করেছি, মাইকিং করেছি।

এরপর মসজিদে প্রকাশ্যে ডাকের মাধ্যমে এসব দোকান ভাড়া প্রদান করেছি। ওই ডাকে তারাও অংশ নিয়েছে। অবৈধভাবে কোনো কাজ করি নি। মসজিদের স্বার্থেই এসব দোকান নতুন করে ভাড়া দেয়া হয়েছে। এখানে আমাদের কোনো ব্যক্তিস্বার্থ নেই।”

এ বিষয়টি সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. সাইফুল ইসলাম বলেন,‘একটি লিখিত অভিযোগ পেয়েছি সেটি তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।’

জনপ্রিয় সংবাদ

তৃতীয় পক্ষে আন্দোলনে লম্বা ছুটিতে সাবরেজিস্টার, ভোগান্তিতে জমি দাতা ও গ্রহীতারা

নীলফামারীতে সরকারি জমিতে দোকান নির্মাণ করে ভাড়া উত্তোলনের অভিযোগে সংবাদ সম্মেলন

প্রকাশিত ০৬:৩৩:১০ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১১ সেপ্টেম্বর ২০২৫

নীলফামারীতে সরকারি জমির উপর দোকান নির্মাণ করে অবৈধভাবে ভাড়া উত্তোলনের অভিযোগে মসজিদ কমিটির বিরুদ্ধে সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছে।

বৃহস্পতিবার দুপুরে জেলা সদরের গোড়গ্রাম ইউনিয়নের ভবানীগঞ্জ বাজার কেন্দ্রীয় জামে মসজিদ কমিটির বিরুদ্ধে ওই সংবাদ সম্মেলণ করে ওই বাজারের ভুক্তভোগি ব্যবসায়ীরা।

সংবাদ সম্মেলণে ব্যবসায়ীদের অভিযোগ, ভবানীগঞ্জ বাজারে সরকারি জমিতে অবস্থিত রয়েছে ভবানীগঞ্জ কেন্দ্রীয় জামে মসিজেদ মার্কেটে। মসজিদ কর্তৃপক্ষের কাছ থেকে ওই মার্কেটের দোকান ঘর ভাড়া নিয়ে র্দীঘ দুই যুগ ধরে ব্যবসা পরিচালনা করে আসছেন ব্যবসায়ীরা। এরই মধ্যে গেল বছরে ২৫ ডিসেম্বর ওই মার্কেটটি ভেঙ্গে দোতালা বিশিষ্ট নতুন মার্কেট নির্মাণ এবং নির্মাণ শেষে পূর্বেবর ব্যবসায়ীদের দোকান ঘর বরাদ্দ প্রদানের প্রতিশ্রুতি দিয়ে মালামাল সড়াতে ব্যবসায়ীদের নোটিশ দেয় মসজিদ কর্তৃপক্ষ।

ওই নোটিশের প্রেক্ষিতে ১৫ দিনের মধ্যেই সাত জন ব্যবসায়ী তাদেও মালামাল সড়িয়ে নিয়ে দোকান ঘর খালি করে দেয়। বাস্তবে নতুন মার্কেট নির্মাণ না করে চলতি বছরের ৪ সেপ্টেম্বর পুরনো মার্কেট মেরামত করে মসজিদ কমিটির সভাপতি অকছেদ আলী কৌশলে লোক দেখানো খোলা ডাকের মাধ্যমে ২৯ লাখ টাকা জামানত ও মাসিক ২১ হাজার টাকা ভাড়ায় চারটি দোকান নতুনদের নামে ভাড়া দেয়।

ভুক্তভোগী আরেক দোকানদার সাইফুল ইসলাম বলেন, ওই দোকানগুলোর জন্য জামানত দেওয়া আছে। তারা প্রতিশ্রুতি ভঙ্গ করে আমাদের কাছ থেকে দোকান ছিনিয়ে নেয়।

সরকারি জমিতে গড়ে ওঠা মার্কেট থেকে অবৈধভাবে ভাড়া আদায় করে মসজিদ কমিটির কিছু সদস্য তাদের ব্যক্তিস্বার্থ হাসিল করছেন। অবিলম্বে আমাদেরকে দোকান ফিরিয়ে দেওয়া হোক।

ভুক্তভোগী ব্যবসায়ী লতিফুর রহমান বলেন, ‘ন্যায় বিচারের আশায় সদও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বরাবওে একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছি।’
অভিযোগের বিষয়ে মসজিদ কমিটির সভাপতি অকছেদ আলী বলেন,“আমরা রেজুলেশন করেছি, মাইকিং করেছি।

এরপর মসজিদে প্রকাশ্যে ডাকের মাধ্যমে এসব দোকান ভাড়া প্রদান করেছি। ওই ডাকে তারাও অংশ নিয়েছে। অবৈধভাবে কোনো কাজ করি নি। মসজিদের স্বার্থেই এসব দোকান নতুন করে ভাড়া দেয়া হয়েছে। এখানে আমাদের কোনো ব্যক্তিস্বার্থ নেই।”

এ বিষয়টি সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. সাইফুল ইসলাম বলেন,‘একটি লিখিত অভিযোগ পেয়েছি সেটি তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।’