নীলফামারীতে মানব পাঁচারের শিকার হয়ে স্বামী জাহাঙ্গীর আলম বাদশার সন্ধ্যান চেয়েছেন ভুক্তভোগি (স্ত্রী) শিউলি আকতার।
রবিবার (২০ জুলাই) দুপুরে নীলফামারী প্রেসক্লাবের সম্মেলন কক্ষে (মিলনায়তনে) অনুষ্ঠিত এক সাংবাদিক সম্মেলনে স্থানীয় প্রশাসন ও সরকারের প্রতি (স্বামীকে খুঁজে বের করার) এই আহবান জানান তিনি। শিউলি নীলফামারী সদর উপজেলার গোড়গ্রাম ইউনিয়নের ধোপাডাঙ্গা গ্রামের বাসিন্দা।
সাংবাদিক সম্মেলনে শিউলি আকতার জানান, গেল ফেব্রæয়ারী মাসে গ্রীসে নিয়ে যাবার কথা বলে জাহাঙ্গীর আলম বাদশাকে পাকিস্তানে নিয়ে যান জেলা শহরের (নীলফামারী পৌরসভা) সবুজ পাড়া মহল্লার মতিয়ার রহমানের ছেলে মাহবুবুর হোসেন (৪৫)।
বাদশার সাথে আরও নিয়ে যান জেলা শহরের বারইপাড়ার সুফিয়ান ইসলাম, জেলার ডিমলা উপজেলা সদরের বাবুরহাট এলাকার আব্দুল মান্নান ও জেলার ডোমার উপজেলার পাঙ্গা মটকপুর ইউনিয়নের মেলা পাঙ্গা এলাকার ওমর ফারুক।
সংবাদ সম্মেলনে অভিযোগ করা হয়, গ্রীসে নিয়ে যাওয়ার কথা থাকলেও পাকিস্তানে নিয়ে যাওয়া হয় এই চার ব্যক্তিকে। সেখান থেকে মুক্তিপণ দাবী করা হয় চার পরিবারের কাছে। প্রতারক মাহবুবুরকে চার পরিবার থেকে ৪০লাখ টাকা দেয়া হলেও মুক্তি পেয়ে দেশে ফিরে আসেন তিন ব্যক্তি। কিন্তু আজো দেশে আসতে পারেননি জাহাঙ্গীর আলম বাদশা। অকথ্য নির্যাতন করা হচ্ছে তাকে। তার সন্ধ্যান আজো পাওয়া যায়নি।
বাদশার মা হাসিনা বানু জানান, সংসারে স্বচ্ছলতা ফেরানোর জন্য বিদেশে যাওয়ার ইচ্ছে করেন ছেলে বাদশা। কিন্তু জাল ভিসা ও প্রতারণার শিকার হয় সে। পরিবার পরিজন নিয়ে চরম হতাশায় দিন কাটাচ্ছি আমরা। ছেলে বেঁচে আছে কিনা কিছুই জানতে পারছি না। অতিদ্রæত আমার ছেলেকে আমাদের কাছে ফিরিয়ে আনতে সরকারের কাছে আহবান জানাচ্ছি।
মানব পাঁচারের শিকার শহরের বারইপাড়া এলাকার নাছিমা আক্তার জানান, মাহবুবুর একজন প্রতারক। বিদেশ পাঠানোর জন্য প্রতারণা করে আসছেন বিভিন্ন জনের কাছে। লাখ লাখ টাকা হাতিয়ে নিয়ে মানুষের সাথে প্রতারণা করছেন। আমার স্বামীকে বিদেশে নিয়ে যাওয়ার কথা বলে অপহরণ করা হয়। পরে মুক্তিপন নিয়ে ছেড়ে দেয়া হয়। পাকিস্তান থেকে ইরান সীমান্তে নিয়ে যাওয়া হয়েছিলো তাদের।
এব্যাপারে সুফিয়ানের স্ত্রী নাছিমা বেগম বাদী হয়ে নীলফামারী জজ কোর্টে (আদালতে) একটি মামলা দায়ের করেন। অপরদিকে, শিউলী বেগমও সদর থানায় একটি সাধারণ ডায়েরী (জিডি) করেন। তবে আজ পর্যন্ত কোন সমাধান মেলেনি। প্রতারক মাহবুবের শাস্তি চাই আমরা।




















