০৬:৩৭ অপরাহ্ন, সোমবার, ০৮ ডিসেম্বর ২০২৫

অবহেলা আর অনাহারে দিন গুনছে ছিন্নমূল পরিবার

ভাঙা ঘর, বিদ্যুৎ নেই, চলাচলের পথও নেই। অন্যের জমিতে কোনও রকমে মাথা গোঁজার ঠাঁই করে থাকেন প্রলাত পাল।

নীলফামারী সদর উপজেলার সোনারায় ইউনিয়নের পালপাড়া গ্রামের এই বৃদ্ধ একসময় ভিক্ষা করে সংসার চালাতেন। এখন সেটাও পারেন না। কারণ, তিনি দীর্ঘদিন ধরে ফাইলেরিয়া বা গোদ রোগে আক্রান্ত। ছয় সদস্যের পরিবারে রোজকার আহার জোটে না, চলে অনাহারে-অর্ধাহারে। তার একমাত্র উপার্জনক্ষম ছেলে রিপন পালও কর্মক্ষম নন। রিপনের স্ত্রী মিনতি রানীর রয়েছে মানসিক সমস্যা। তার রয়েছে তিনটি ছোট সন্তান।

এ অবস্থায় প্রলাত পালের পরিবার এখন চরম অনিশ্চয়তার মুখে। কারণ, তারা যে জমিতে থাকছেন, সেটাও অন্যের। জমির মালিকও সাফ জানিয়ে দিয়েছেন, জায়গা ছেড়ে দিতে হবে।

জানতে চাইলে প্রলাত পাল বলেন, “ভিক্ষা কইরা কোনো রকমে পোলাপান নিয়া চলতাম। এখন শরীর আর সয়ে উঠে না। পা ফুলে গেছে, চলতেও পারি না। বেশি হাটলে খুব ব্যাথা করে। কষ্টের কথা কইতে গেলেও গলা বন্ধ হয়ে আসে।”

কীভাবে দিন কাটছে এমন প্রশ্নে ছেলে রিপন বলেন, “একবেলা খাইলে আরেক বেলা না খেয়ে থাকতে হয়। আমার শারিরীক সমস্যার কারণে কেউ আমাকে কাজে নিতে চায় না। কারণ ভারি কাজ করতে পারি না। যার কারণ এমনও দিন গেছে যেদিন ভাতের হাড়ি চুলায় উঠে না।”

স্থানীয় বাসিন্দা শামসুল হক বলেন, “এই পরিবারটার অবস্থা দেখে মনটা ভেঙে যায়। সমাজের বিত্তবানরা যদি একটু সহযোগিতার হাত বাড়ান, তাহলেই হয়তো এই পরিবারটা একটু বাঁচার স্বপ্ন দেখতে পারে।”

এ বিষয়ে সোনারায় ইউনিয়ন বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মো. আব্দুর রাজ্জাক বলেন, “আমরা ইউনিয়ন বিএনপির পক্ষ থেকে যতটুকু পারি, সহযোগিতা করছি। তবে এটা শুধু রাজনৈতিক দায়িত্ব নয়, মানবিক দায়িত্ব। সমাজের সামর্থ্যবান ব্যক্তিদের উচিত এই ধরনের পরিবারগুলোর পাশে দাঁড়ানো।”

জনপ্রিয় সংবাদ

দিনাজপুরে অ্যাডভোকেসি প্ল্যাটফর্মের বিভাগীয় বার্ষিক সম্মেলন অনুষ্ঠিত

অবহেলা আর অনাহারে দিন গুনছে ছিন্নমূল পরিবার

প্রকাশিত ১১:৪৫:১৩ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১০ জুলাই ২০২৫

ভাঙা ঘর, বিদ্যুৎ নেই, চলাচলের পথও নেই। অন্যের জমিতে কোনও রকমে মাথা গোঁজার ঠাঁই করে থাকেন প্রলাত পাল।

নীলফামারী সদর উপজেলার সোনারায় ইউনিয়নের পালপাড়া গ্রামের এই বৃদ্ধ একসময় ভিক্ষা করে সংসার চালাতেন। এখন সেটাও পারেন না। কারণ, তিনি দীর্ঘদিন ধরে ফাইলেরিয়া বা গোদ রোগে আক্রান্ত। ছয় সদস্যের পরিবারে রোজকার আহার জোটে না, চলে অনাহারে-অর্ধাহারে। তার একমাত্র উপার্জনক্ষম ছেলে রিপন পালও কর্মক্ষম নন। রিপনের স্ত্রী মিনতি রানীর রয়েছে মানসিক সমস্যা। তার রয়েছে তিনটি ছোট সন্তান।

এ অবস্থায় প্রলাত পালের পরিবার এখন চরম অনিশ্চয়তার মুখে। কারণ, তারা যে জমিতে থাকছেন, সেটাও অন্যের। জমির মালিকও সাফ জানিয়ে দিয়েছেন, জায়গা ছেড়ে দিতে হবে।

জানতে চাইলে প্রলাত পাল বলেন, “ভিক্ষা কইরা কোনো রকমে পোলাপান নিয়া চলতাম। এখন শরীর আর সয়ে উঠে না। পা ফুলে গেছে, চলতেও পারি না। বেশি হাটলে খুব ব্যাথা করে। কষ্টের কথা কইতে গেলেও গলা বন্ধ হয়ে আসে।”

কীভাবে দিন কাটছে এমন প্রশ্নে ছেলে রিপন বলেন, “একবেলা খাইলে আরেক বেলা না খেয়ে থাকতে হয়। আমার শারিরীক সমস্যার কারণে কেউ আমাকে কাজে নিতে চায় না। কারণ ভারি কাজ করতে পারি না। যার কারণ এমনও দিন গেছে যেদিন ভাতের হাড়ি চুলায় উঠে না।”

স্থানীয় বাসিন্দা শামসুল হক বলেন, “এই পরিবারটার অবস্থা দেখে মনটা ভেঙে যায়। সমাজের বিত্তবানরা যদি একটু সহযোগিতার হাত বাড়ান, তাহলেই হয়তো এই পরিবারটা একটু বাঁচার স্বপ্ন দেখতে পারে।”

এ বিষয়ে সোনারায় ইউনিয়ন বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মো. আব্দুর রাজ্জাক বলেন, “আমরা ইউনিয়ন বিএনপির পক্ষ থেকে যতটুকু পারি, সহযোগিতা করছি। তবে এটা শুধু রাজনৈতিক দায়িত্ব নয়, মানবিক দায়িত্ব। সমাজের সামর্থ্যবান ব্যক্তিদের উচিত এই ধরনের পরিবারগুলোর পাশে দাঁড়ানো।”