নীলফামারীর ডিমলা উপজেলার শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় আবারও এসএসসি পরীক্ষায় শতভাগ অকৃতকার্য প্রতিষ্ঠানের তালিকায় উঠে এসেছে। এবার এসএসসি পরীক্ষায় ৪ জন শিক্ষার্থী অংশ নিলেও কেউই উত্তীর্ণ হতে পারেনি। গত বছরেও এই বিদ্যালয় থেকে কেউ পাস করেনি।
উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিস সূত্রে জানা গেছে, ১৯৯৯ সালে ডিমলা সদর ইউনিয়নের বাবুরহাট এলাকায় বিদ্যালয়টি প্রতিষ্ঠিত হয়। তবে দীর্ঘদিন পেরিয়ে গেলেও এটি এখনো এমপিওভুক্ত হয়নি। বর্তমানে বিদ্যালয়ে ১২ জন শিক্ষক ও ৩ জন কর্মচারী কর্মরত আছেন।
২০১১ সালে বিদ্যালয়টি একাডেমিক স্বীকৃতি পেলেও ষষ্ঠ থেকে দশম শ্রেণি পর্যন্ত পাঠদানের অনুমতি রয়েছে। চলতি (২০২৫) শিক্ষাবর্ষে বিদ্যালয়ে ষষ্ঠ শ্রেণিতে ৪২ জন, সপ্তম শ্রেণিতে ৩৮ জন, অষ্টম শ্রেণিতে ৩৫ জন, নবম শ্রেণিতে ৩৫ জন এবং ১০ম শ্রেণিতে ২৫ জন শিক্ষার্থী রয়েছে।
স্থানীয়দের অভিযোগ, বিদ্যালয়টি বেশিরভাগ সময় বন্ধ থাকে। শিক্ষক-কর্মচারীদের উপস্থিতিও অনিয়মিত। শিক্ষার্থীদের ক্লাসে উপস্থিতি নেই বললেই চলে।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক অভিভাবক বলেন, গত বছরও ১২ জন শিক্ষকের বিপরীতে মাত্র ২ জন পরীক্ষার্থী ছিল এবং কেউ পাস করেনি। এবারও কেউ পাস করতে না পারায় এলাকার সম্মান ক্ষুণ্ন হচ্ছে।
বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আকতার হাবিব সরকারের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলে তিনি ফোন কেটে দেন। সহকারী প্রধান শিক্ষক মজিবর রহমান বলেন, ‘পরীক্ষার্থীর সংখ্যা আমার জানা নেই, পরে জানাচ্ছি।’ এরপর তিনিও ফোন কেটে দেন।
উপজেলা একাডেমিক সুপারভাইজার আমির বোরহান বলেন, উপজেলায় কেবল একটি বিদ্যালয়ে শতভাগ ফেল করেছে, সেটি হলো শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়। এটি অত্যন্ত দুঃখজনক।
উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা (ভারপ্রাপ্ত) আফরোজা বেগম বলেন, কেন কেউ পাস করতে পারেনি এবং শিক্ষার্থীর সংখ্যা এত কম কেন—তা খতিয়ে দেখা হবে।
























