১১:৫২ অপরাহ্ন, রবিবার, ০৭ ডিসেম্বর ২০২৫

কিশোরগঞ্জে গোপনে মাদ্রাসার গভর্নিং কমিটি গঠনের অভিযোগ

নীলফামারীর কিশোরগঞ্জ উপজেলায় শিক্ষা বোর্র্ডের নির্দেশনাকে বৃদ্ধা আঙ্গুল দেখিয়ে গোপনে গভর্নিং বডির কমিটি গঠনের অভিযোগ উঠেছে মাগুড়া দোলাপাড়া আলিম মাদ্রাসার অধ্যক্ষের বিরুদ্ধে।

এ বিষয়ে এলাকাবাসী,শিক্ষক-শিক্ষার্থী এবং অভিভাবকদের মাঝে চাপা ক্ষোভ বিরাজ করছে।এদিকে পকেট কমিটি গঠনের প্রক্রিয়া মাদ্রাাসার অভিভাবকরা তা অবিলম্বে বাতিল করে ফ্রি ফেয়ার নির্বাচনের মাধ্যমে নতুন কমিটি গঠনের দাবি জানিয়েছেন।

মাধ্যমিক শিক্ষা অফিস সূত্রে জানা যায়,পুরোনো কমিটির মেয়াদ শেষ হওয়ার ৩ মাস আগে নতুন কমিটি গঠনের নিয়ম রয়েছে। এছাড়া প্রত্যেক শিক্ষার্থীকে শ্রেণী কক্ষে নোটিশের মাধ্যমে অবহিত করার পাশাপাশি ওই এলাকার বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ন স্থান এবং বাজার নির্বাচন তফশীল নোটিশ টানিয়ে দিতে হবে। যাতে বিষয়টি ওই এলাকার জনসাধারণ এবং অভিভাবকরা জানতে পারে। কিন্তু তা না করে তার মনগড়া নিয়মে গোপনে গভানিং বডি গঠনে অনুমোদনের জন্য প্রয়োজনীয় কাগজ পত্র মাদ্রাসা বোর্ডে দাখিল করেছেন অধ্যক্ষ আব্দুল খালেক।

ওই নির্বাচনী তফসিলের নোটিশ সূত্রে জানা যায়, ২৮ জুলাই হইতে ৩ আগস্ট পর্যন্ত মনোনয়ন পত্র বিতরন,গ্রহন ও জমাদান তারিখ নির্ধারণ করা হয়। ০৪ আগস্ট প্রার্থীদের মনোনয়ন পত্র যাচাই-বাছাই ও বৈধ চ‚ড়ান্ত তালিকা প্রকাশ করা হবে। ০৫ আগস্ট মনোননয় পত্র প্রত্যাহার সময় দেয়া হয়েছে ও ১৪ আগস্ট সকাল ১০ টা থেকে বিকাশ ৪ টা পর্যন্ত ভোট গ্রহন অনুষ্ঠিত হবে।কিন্তু নির্ধারিত তারিখে ভোট গ্রহন অনুষ্ঠিত হয়নি।অধ্যক্ষ আব্দুল খালেক গোপনে তার পছন্দনীয় লোকদের নাম বিভিন্ন পদে কমিটির তালিকাভ‚ক্ত করে বোর্ডে প্রেরণ করেন।

অভিভাবক ওবায়দুল ইসলাম জানান, এই মাদ্রাসার অধ্যক্ষ আব্দুল খালেক যোগদান করার পর থেকেই কৌশলে নিজের আত্মীয়স্বজন দিয়ে পকেট কমিটি গঠন করে স্বেচ্ছাচারিতার মাধ্যমে প্রতিষ্ঠান চালিয়ে আসছেন। এবারও গোপনে মাদ্রাসায় তার মনমত লোক দিয়ে নীল নকশার কমিটি গঠনে পাঁয়তারা করছেন।

অভিভাবক বুধু মিয়া জানান, আমার মেয়ে এই মাদারাসার নিয়মিত শিক্ষার্থী। কমিটি গঠনের বিষযে আমি কিছুই জানি না। অধ্যক্ষ মনগড়া কমিটি পাঠিয়েছে। এর আগেও একই নিয়মে একটি বির্তকিত কমিটি গঠন করেছিল। নিয়ম ছাড়াই তার মন মতো অযোগ্য লোক দিয়ে কমিটি গঠন করায় শিক্ষার মান নিম্নস্তরে এসেছে। শিক্ষার মানের কোন উন্নতি না হওয়ায় অনেক অভিভাবক তার ছেলে-মেয়েদের অন্য প্রতিষ্ঠানে ভর্তি করাচ্ছে। সংখ্যা গরিষ্ঠ অভিভাবকের দাবি লুকোচুরি না খেলে প্রকাশ্য ভোটের মাধ্যমে কমিটি গঠনে জন্য মাদ্রাসা কতৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষন করছি।

এ বিষয়ে কথা বললে মাদ্রাাসার অধ্যক্ষ আব্দুল খালেক জানান, সকল নিয়ম মেনেই নির্বাচন প্রক্রিয়া সম্পূর্ণ করা হয়ছে। আমার বিরুদ্ধে যে অভিযোগ করা হয়েছে তা মিথ্যা।

মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা আশরাফুজ্জামান বলেন, মাদ্রাসা কমিটির বিষয়ে আমার হস্তক্ষেপের কোন একতিয়ার নাই। তাই আমি এ বিষয়ে কোন মন্তব্য করতে পারবো না। উপজেলা নির্বাহী অফিসার প্রীতম সাহা বলেন, যদি এরকম কোন অনিয়ম করে থাকে তাহলে তদন্ত করে ব্যবস্থা নেয়া হবে।

জনপ্রিয় সংবাদ

তৃতীয় পক্ষে আন্দোলনে লম্বা ছুটিতে সাবরেজিস্টার, ভোগান্তিতে জমি দাতা ও গ্রহীতারা

কিশোরগঞ্জে গোপনে মাদ্রাসার গভর্নিং কমিটি গঠনের অভিযোগ

প্রকাশিত ০৮:৪৮:১৮ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৪ সেপ্টেম্বর ২০২৫

নীলফামারীর কিশোরগঞ্জ উপজেলায় শিক্ষা বোর্র্ডের নির্দেশনাকে বৃদ্ধা আঙ্গুল দেখিয়ে গোপনে গভর্নিং বডির কমিটি গঠনের অভিযোগ উঠেছে মাগুড়া দোলাপাড়া আলিম মাদ্রাসার অধ্যক্ষের বিরুদ্ধে।

এ বিষয়ে এলাকাবাসী,শিক্ষক-শিক্ষার্থী এবং অভিভাবকদের মাঝে চাপা ক্ষোভ বিরাজ করছে।এদিকে পকেট কমিটি গঠনের প্রক্রিয়া মাদ্রাাসার অভিভাবকরা তা অবিলম্বে বাতিল করে ফ্রি ফেয়ার নির্বাচনের মাধ্যমে নতুন কমিটি গঠনের দাবি জানিয়েছেন।

মাধ্যমিক শিক্ষা অফিস সূত্রে জানা যায়,পুরোনো কমিটির মেয়াদ শেষ হওয়ার ৩ মাস আগে নতুন কমিটি গঠনের নিয়ম রয়েছে। এছাড়া প্রত্যেক শিক্ষার্থীকে শ্রেণী কক্ষে নোটিশের মাধ্যমে অবহিত করার পাশাপাশি ওই এলাকার বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ন স্থান এবং বাজার নির্বাচন তফশীল নোটিশ টানিয়ে দিতে হবে। যাতে বিষয়টি ওই এলাকার জনসাধারণ এবং অভিভাবকরা জানতে পারে। কিন্তু তা না করে তার মনগড়া নিয়মে গোপনে গভানিং বডি গঠনে অনুমোদনের জন্য প্রয়োজনীয় কাগজ পত্র মাদ্রাসা বোর্ডে দাখিল করেছেন অধ্যক্ষ আব্দুল খালেক।

ওই নির্বাচনী তফসিলের নোটিশ সূত্রে জানা যায়, ২৮ জুলাই হইতে ৩ আগস্ট পর্যন্ত মনোনয়ন পত্র বিতরন,গ্রহন ও জমাদান তারিখ নির্ধারণ করা হয়। ০৪ আগস্ট প্রার্থীদের মনোনয়ন পত্র যাচাই-বাছাই ও বৈধ চ‚ড়ান্ত তালিকা প্রকাশ করা হবে। ০৫ আগস্ট মনোননয় পত্র প্রত্যাহার সময় দেয়া হয়েছে ও ১৪ আগস্ট সকাল ১০ টা থেকে বিকাশ ৪ টা পর্যন্ত ভোট গ্রহন অনুষ্ঠিত হবে।কিন্তু নির্ধারিত তারিখে ভোট গ্রহন অনুষ্ঠিত হয়নি।অধ্যক্ষ আব্দুল খালেক গোপনে তার পছন্দনীয় লোকদের নাম বিভিন্ন পদে কমিটির তালিকাভ‚ক্ত করে বোর্ডে প্রেরণ করেন।

অভিভাবক ওবায়দুল ইসলাম জানান, এই মাদ্রাসার অধ্যক্ষ আব্দুল খালেক যোগদান করার পর থেকেই কৌশলে নিজের আত্মীয়স্বজন দিয়ে পকেট কমিটি গঠন করে স্বেচ্ছাচারিতার মাধ্যমে প্রতিষ্ঠান চালিয়ে আসছেন। এবারও গোপনে মাদ্রাসায় তার মনমত লোক দিয়ে নীল নকশার কমিটি গঠনে পাঁয়তারা করছেন।

অভিভাবক বুধু মিয়া জানান, আমার মেয়ে এই মাদারাসার নিয়মিত শিক্ষার্থী। কমিটি গঠনের বিষযে আমি কিছুই জানি না। অধ্যক্ষ মনগড়া কমিটি পাঠিয়েছে। এর আগেও একই নিয়মে একটি বির্তকিত কমিটি গঠন করেছিল। নিয়ম ছাড়াই তার মন মতো অযোগ্য লোক দিয়ে কমিটি গঠন করায় শিক্ষার মান নিম্নস্তরে এসেছে। শিক্ষার মানের কোন উন্নতি না হওয়ায় অনেক অভিভাবক তার ছেলে-মেয়েদের অন্য প্রতিষ্ঠানে ভর্তি করাচ্ছে। সংখ্যা গরিষ্ঠ অভিভাবকের দাবি লুকোচুরি না খেলে প্রকাশ্য ভোটের মাধ্যমে কমিটি গঠনে জন্য মাদ্রাসা কতৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষন করছি।

এ বিষয়ে কথা বললে মাদ্রাাসার অধ্যক্ষ আব্দুল খালেক জানান, সকল নিয়ম মেনেই নির্বাচন প্রক্রিয়া সম্পূর্ণ করা হয়ছে। আমার বিরুদ্ধে যে অভিযোগ করা হয়েছে তা মিথ্যা।

মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা আশরাফুজ্জামান বলেন, মাদ্রাসা কমিটির বিষয়ে আমার হস্তক্ষেপের কোন একতিয়ার নাই। তাই আমি এ বিষয়ে কোন মন্তব্য করতে পারবো না। উপজেলা নির্বাহী অফিসার প্রীতম সাহা বলেন, যদি এরকম কোন অনিয়ম করে থাকে তাহলে তদন্ত করে ব্যবস্থা নেয়া হবে।