নীলফামারীর চিলাহাটি হাসপাতাল, এলএসডি গোডাউন ও পাঁচ গ্রামের মানুষের চলাচলের একমাত্র সড়কে সামান্য বৃষ্টি হলেই হাঁটু পানি জমে চলাচলের দুর্ভোগে পড়ছে, হাজারও মানুষ। একাধিক অভিযোগ থাকা সত্তেও দেখার কেউ নেই।
স্থানীয়রা জানান, বিগত কয়েক বছর থেকে সামান্য বৃষ্টি হলেই এই সড়কে হাটু পানি জমে চলাচলে অনুপযোগী হয়। তখন পথচারিরা রেললাইনের উপর দিয়ে যাতায়ত করেন। তবে রেল স্টেশনের নিরাপত্তার জন্য ওয়াল দিয়ে ঘিরে রাখার ফলে চলাচলের জন্য এই সড়কটি একমাত্র ভরসা। বৃষ্টির পানি হাঁটু পরিমান জমে থাকায় অটো ভ্যান নষ্ট হওয়ার ভয়ে তারা চলাচল বন্ধ করে দেয়।
স্থানীয় বাসিন্দা রফিকুল ইসলাম জানান, “চিলাহাটি ১০ শয্যা বিশিষ্ট মা ও শিশু কল্যাণ কেন্দ্রের গেটে হাঁটুর উপরে পানি জমে থাকে। যাওয়া আসার একমাত্র সড়কে পানি জমে থাকায় সেবা গ্রহিতারা হাসপাতালে সেবা থেকে বঞ্চিত হচ্ছে। এছাড়াও, চিলাহাটি খাদ্য গুদাম থেকে চাল আদান প্রদানকারী ব্যবসায়িদের সীমাহীন দুর্ভোগে পড়তে হয়।’
এছাড়াও, বসুনীয়া পাড়া, তেলীপাড়া, বকসপাড়া, হাসান পাড়া ও চান্দখানা এ পাঁচ পাড়ার মানুষের চলাচলের এই সড়কটি একমাত্র ভরসা। প্রতিদিন কমলমতি শিশু শ্রেণীসহ বিভিন্ন স্কুল কলেজের শিক্ষার্থী, নারী পুরুষদের হাঁটু পানি ভেঙ্গে চিলাহাটি ও উপজেলা শহরে যেতে হয়।’
কলেজ ছাত্রী ফাতেমা ও জহুরা বলেন, ‘রাস্তার উপর হাটু পানি জমে থাকায় চার্জার ভ্যান ও অটো চালকরা তাদের বাহন নষ্ট হওয়ার ভয়ে এই সড়কে চলাচল করেন না। বাদ্য হয়ে ভেজা কাপড় নিয়ে কলেজে যেতে হয়।’
অটো ভ্যান চালক মতিয়ার ও ফিলিপ বলেন, ‘ওই সড়কে যে পরিমাণ পানি জমে থাকে তাতে আমাদের অটো ভ্যানের মটর ও ব্যাটারী পানিতে ডুবে যায়, তাই ওই সড়কে চলাচল বন্ধ রেখেছি।’
ভোগডাবুরী ইউনিয়নের চেয়ারম্যান রেয়াজুল ইসলাম কালু বলেন, ‘সড়কটিতে বৃষ্টির পানি জমে থাকায় জনদূর্ভোগ হচ্ছে। এ ব্যাপারে উপজেলা পরিষদের মিটিংয়ে দ্রæত সড়কটি মেরামতের জন্য জোরালো ভাবে বলা হয়েছে। খুব শীঘ্রই সড়কটির কাজ শুরু করা হবে।’
ডোমার উপজেলা প্রকৌশলী ফিরোজ আলম বলেন, ‘চিলাহাটি এলএসডি সড়কের স্টিমেট প্রস্তত করে অনুমোদনের জন্য জেলায় পাঠানো হয়েছে। এবার ওই সড়কটির উপর বিশেষ গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে বলে জানান তিনি।’

























