০৬:১৯ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ০৭ ডিসেম্বর ২০২৫

নীলফামারী ২৫০ শয্যা জেনারেল হাপাতালে চালু হলো ফিজিওথেরাপি সেন্টার

বাত, ব্যাথা,ঘারে ব্যাথা, কোমর ব্যাথা ও প্যারালাইষ্ট রোগিদের জন্য নীলফামারী ২৫০ শয্যা জেনারেল হাসপাতালে চালু হলো ফিজিওথেরাপি সেন্টার। এতে প্রায় তিন লক্ষাধিক টাকা ব্যয়ে চারটি অত্যাধুনিক মেশিন ক্রয় করা হয়।

মেশিন গুলো হলো Cervical Cum lumber traction (টানা মেশিন), traction Bed ( টানা বিছানা), Short Wabe Diathermy (হিট থেরাপি), waxbath ( মোম থেরাপি)।

ওই হাসপাতালের মেডিকেল টেকনোলজিস্ট (ফিজিওথেরাপি) মোছা. রাফিকা খাতুন জানান, ‘এই মেশিন দিয়ে বাত, ব্যাথা, প্যারালাইস্ট, ঘারে ব্যাথা, কোমর ব্যাথা, হাটু ব্যাথাসহ অপারেশন পরবর্তী ফিজিওথেরাপি ও পোলাক্স লাম্বার ইন্টারভার্টিব্রাল ডিক্স হারনিয়েশনে (পিএল আই ডি), শিশুদের হাঁটা ও বসার সমস্যায় এই মেশিন ব্যবহার করা হয়।’

হাটু ব্যাথায় আক্রান্ত হাসপাতালের থেরাপি নেয়া ওবায়দুল ইসলাম (২৫) বলেন, ‘খেলতে গিয়ে আমার দু, পায়ের হাঁটুতে ইনজুরি হয়ে হাটা চলা বন্ধ হয়। বিভিন্ন হাসপাতাল ক্লিনিকে পরীক্ষা নিরিক্ষা করে জানতে পারি আমার হাটুর লিগামেন্ট ইনজুরি হয়েছে। পরে ঢাকার নিটোর হাসপাতালে অপারেশন করায় হাটুর মাংসপেশী শুকিয়ে যায়।

তিনি বলেন, নীলফামারী ২৫০ শয্যা জেনারেল হাসপাতালের ডা. আব্দুর রহিমের পরামর্শে থেরাপি দিয়ে এখন সুস্থ্য আছি। এখন থেকে রংপুর বা ঢাকায় যেতে হবেনা। অল্প খরচে হাতের কাছে হাসপাতালে সেবা পেয়ে ভাল আছি। এতে আমার সময় ও খরচ দু,টাই কম লাগছে।’

সদরের পলাশবাড়ী ইউনিয়নের পলাশবাড়ী গ্রামের বাসিন্দা আলাউদ্দিন (৮০) বলেন, ‘আমি ষ্টোক করার পর ডান হাত ও ডান পা প্যারালাইষ্ট হয়। খবর পেয়ে, নীলফামারী জেনারেল হাসপাতালের থেরাপি সেন্টারে হিট থোরপি দিয়ে এখন সুস্থ্য আছি। আমি গরীব মানুষ হাতের কাছে অল্প খরচে সেবা পেয়ে সুস্থ্য আছি। এখন আর বাড়তি টাকা খরচ করে রংপুরে যাওয়া লাগবেনা। এটা আমাদের মতো গরীব মানুষের আর্শীবাদ হিসেবে পেয়েছি।’’

এ বিষয়ে হাসপাতালের আবাসিক চিকিৎসা কর্মকর্তা (আরএমও) ডা. আব্দুর রহিম বলেন, ‘প্রথমে সামান্য কিছু মেশিন (যন্ত্রপাতি) দিয়ে থেরাপি দেয়া শুরু করি। রোগিদের কথা চিন্তা করে তত্বাবধায়কের মাধ্যমে জেলা পরিষদে আবেদন করার পরে জেলা প্রশাসক মো. নায়িরুজ্জামান সারভাইকেল কাম লাম্বার ট্র্যাকশন মেশিন, ট্র্যাকশন বেড ও ওয়াক্স বাথসহ চার ধরণের মেশিন প্রদান করেন। আশ করি, এখন থেকে হাসপাতালে শতভাগ সেবা পাবে রোগিরা। অতিরিক্ত অর্থ ব্যয় করে আর রংপুর কিম্বা ঢাকায় যেতে হবেনা।’

নীলফামারী ২৫০ শয্যা জেনারেল হাসপাতালের তত্বাবধায়ক ডা. মো. আবু আল হাজ্জাজ বলেন, ‘প্রথমদিকে অল্প কিছু যন্ত্রপাতি দিয়ে ফিজিওথেরাপি দেওয়া হয়। এতে রোগির শতভাগ সেবা নিশ্চিত করা যায় না। তাই ডিসি বরাবর আবেদনের প্রেক্ষিতে আরো চার ধরণের মেশিন তিনি সরবারহ করেন। আশা করি, এখন থেকে আগত রোগিরা শতভাগ ফিজিওথেরাপি পাবে। তিনি আরও বলেন, প্রথম আমরাই নীলফামারীতে ফিজিওথেরাপি সেন্টার শুরু করি।’

উল্লেখ্য, বৃহষ্পতিবার (২৪ জুলাই) বিকালে হাসপাতালের নতুন বিল্ডিং দ্ধিতীয় তলায় ২৪৩ নং কক্ষে এ সেন্টারের উদ্ধোধন করেন জেলা প্রশাসক মো. নায়িরুজ্জামান। এসময় উপস্থিত ছিলেন, জেলা পরিষদের নির্বাহী কর্মকর্তা দীপাঙ্কর রায়, হাসপাতালের সহকারী পরিচালক (এডি) আব্দুল্লাহেল মাফি ও কর্মকর্তা কর্মচারি বৃন্দ।

জনপ্রিয় সংবাদ

নীলফামারীতে বাংলাদেশ রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটি ইউনিটের কার্যনির্বাহী কমিটির নির্বাচন-২০২৫ অনুষ্ঠিত

নীলফামারী ২৫০ শয্যা জেনারেল হাপাতালে চালু হলো ফিজিওথেরাপি সেন্টার

প্রকাশিত ০৮:১২:৫০ অপরাহ্ন, বুধবার, ৩০ জুলাই ২০২৫

বাত, ব্যাথা,ঘারে ব্যাথা, কোমর ব্যাথা ও প্যারালাইষ্ট রোগিদের জন্য নীলফামারী ২৫০ শয্যা জেনারেল হাসপাতালে চালু হলো ফিজিওথেরাপি সেন্টার। এতে প্রায় তিন লক্ষাধিক টাকা ব্যয়ে চারটি অত্যাধুনিক মেশিন ক্রয় করা হয়।

মেশিন গুলো হলো Cervical Cum lumber traction (টানা মেশিন), traction Bed ( টানা বিছানা), Short Wabe Diathermy (হিট থেরাপি), waxbath ( মোম থেরাপি)।

ওই হাসপাতালের মেডিকেল টেকনোলজিস্ট (ফিজিওথেরাপি) মোছা. রাফিকা খাতুন জানান, ‘এই মেশিন দিয়ে বাত, ব্যাথা, প্যারালাইস্ট, ঘারে ব্যাথা, কোমর ব্যাথা, হাটু ব্যাথাসহ অপারেশন পরবর্তী ফিজিওথেরাপি ও পোলাক্স লাম্বার ইন্টারভার্টিব্রাল ডিক্স হারনিয়েশনে (পিএল আই ডি), শিশুদের হাঁটা ও বসার সমস্যায় এই মেশিন ব্যবহার করা হয়।’

হাটু ব্যাথায় আক্রান্ত হাসপাতালের থেরাপি নেয়া ওবায়দুল ইসলাম (২৫) বলেন, ‘খেলতে গিয়ে আমার দু, পায়ের হাঁটুতে ইনজুরি হয়ে হাটা চলা বন্ধ হয়। বিভিন্ন হাসপাতাল ক্লিনিকে পরীক্ষা নিরিক্ষা করে জানতে পারি আমার হাটুর লিগামেন্ট ইনজুরি হয়েছে। পরে ঢাকার নিটোর হাসপাতালে অপারেশন করায় হাটুর মাংসপেশী শুকিয়ে যায়।

তিনি বলেন, নীলফামারী ২৫০ শয্যা জেনারেল হাসপাতালের ডা. আব্দুর রহিমের পরামর্শে থেরাপি দিয়ে এখন সুস্থ্য আছি। এখন থেকে রংপুর বা ঢাকায় যেতে হবেনা। অল্প খরচে হাতের কাছে হাসপাতালে সেবা পেয়ে ভাল আছি। এতে আমার সময় ও খরচ দু,টাই কম লাগছে।’

সদরের পলাশবাড়ী ইউনিয়নের পলাশবাড়ী গ্রামের বাসিন্দা আলাউদ্দিন (৮০) বলেন, ‘আমি ষ্টোক করার পর ডান হাত ও ডান পা প্যারালাইষ্ট হয়। খবর পেয়ে, নীলফামারী জেনারেল হাসপাতালের থেরাপি সেন্টারে হিট থোরপি দিয়ে এখন সুস্থ্য আছি। আমি গরীব মানুষ হাতের কাছে অল্প খরচে সেবা পেয়ে সুস্থ্য আছি। এখন আর বাড়তি টাকা খরচ করে রংপুরে যাওয়া লাগবেনা। এটা আমাদের মতো গরীব মানুষের আর্শীবাদ হিসেবে পেয়েছি।’’

এ বিষয়ে হাসপাতালের আবাসিক চিকিৎসা কর্মকর্তা (আরএমও) ডা. আব্দুর রহিম বলেন, ‘প্রথমে সামান্য কিছু মেশিন (যন্ত্রপাতি) দিয়ে থেরাপি দেয়া শুরু করি। রোগিদের কথা চিন্তা করে তত্বাবধায়কের মাধ্যমে জেলা পরিষদে আবেদন করার পরে জেলা প্রশাসক মো. নায়িরুজ্জামান সারভাইকেল কাম লাম্বার ট্র্যাকশন মেশিন, ট্র্যাকশন বেড ও ওয়াক্স বাথসহ চার ধরণের মেশিন প্রদান করেন। আশ করি, এখন থেকে হাসপাতালে শতভাগ সেবা পাবে রোগিরা। অতিরিক্ত অর্থ ব্যয় করে আর রংপুর কিম্বা ঢাকায় যেতে হবেনা।’

নীলফামারী ২৫০ শয্যা জেনারেল হাসপাতালের তত্বাবধায়ক ডা. মো. আবু আল হাজ্জাজ বলেন, ‘প্রথমদিকে অল্প কিছু যন্ত্রপাতি দিয়ে ফিজিওথেরাপি দেওয়া হয়। এতে রোগির শতভাগ সেবা নিশ্চিত করা যায় না। তাই ডিসি বরাবর আবেদনের প্রেক্ষিতে আরো চার ধরণের মেশিন তিনি সরবারহ করেন। আশা করি, এখন থেকে আগত রোগিরা শতভাগ ফিজিওথেরাপি পাবে। তিনি আরও বলেন, প্রথম আমরাই নীলফামারীতে ফিজিওথেরাপি সেন্টার শুরু করি।’

উল্লেখ্য, বৃহষ্পতিবার (২৪ জুলাই) বিকালে হাসপাতালের নতুন বিল্ডিং দ্ধিতীয় তলায় ২৪৩ নং কক্ষে এ সেন্টারের উদ্ধোধন করেন জেলা প্রশাসক মো. নায়িরুজ্জামান। এসময় উপস্থিত ছিলেন, জেলা পরিষদের নির্বাহী কর্মকর্তা দীপাঙ্কর রায়, হাসপাতালের সহকারী পরিচালক (এডি) আব্দুল্লাহেল মাফি ও কর্মকর্তা কর্মচারি বৃন্দ।