ইসলামী আন্দোলনের নায়েবে আমির মুফতি সৈয়দ মুহাম্মদ ফয়জুল করীম বলেছেন, হত্যা, চাঁদাবাজি, লুটপাট, দুর্নীতি যারা করেছে এবং এখনও যারা করে যাচ্ছে তাদের প্রতিহত করতে হবে। যারা গরীবের রিলিফের চাল গুদামে ভরে রেখে ফায়দা লুটছেন তাদের চিহিৃত করে আগামী নির্বাচনে তাদের উচিৎ জবাব দিতে হবে।
সোমবার (২৩ জুন) বিকেলে নীলফামারী জেলা শহরের পৌরমাঠে এক গণসমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে সৈয়দ মুহাম্মদ ফয়জুল করীম এ কথা বলেন।
প্রয়োজনীয় রাষ্ট্র সংস্কার, গণহত্যার বিচার, সংখ্যানুপাতিক (পিআর) পদ্ধতিতে সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচনের দাবিতে এবং দেশ ও ইসলামবিরোধী সব ষড়যন্ত্র ও চক্রান্তের প্রতিবাদে গণসমাবেশের আয়োজন করে ইসলামী আন্দোলনের নীলফামারী জেলা শাখা।

গণসমাবেশের ইসলামী আন্দোলনের নায়েবে আমির মুফতি সৈয়দ মুহাম্মদ ফয়জুল করীম আরও বলেন, “বাংলাদেশের ১৮ কোটি মানুষকে যদি সঠিকভাবে কাজে লাগানো যেত, তাহলে গোটা দুনিয়ার মধ্যে বাংলাদেশ অর্থনীতিতে এক নম্বরে চলে যেত। কিন্তু ৫৩ বছরে যারা (আওয়ামীলীগ,বিএনপি,জাতীয়পার্টি নাম উচ্চারন না করে) দেশ পরিচালনা করেছেন তারা লুটপাট, চাঁদাবাজি আর মতার অপব্যবহার করে সেই সম্ভাবনাকে ধ্বংস করে দিয়েছে।” এদের কে আর এ দেশের মানুষ ক্ষমতায় দেখতে চায়না।
চরমোনাইপীর বলেন, আমরা আর কোন ফ্যাসিস্টকে ক্ষমতায় দেখতে চাইনা। এক ফ্যাসিষ্টকে ঐক্যবদ্ধভাবে আমরা যেমন তাড়িয়ে দিতে পেরেছি-তেমনি নতুন কোন ফ্যাসিষ্ট জন্ম নিলে তাদেরকেও ছাড় দেয়া হবে না। তিনি বলেন, আমরা ইসলামী দলগুলো ঐক্যবদ্ধ। কেউ যদি “আলেমদের ওপর আঙুল তুললে, কোরআন-হাদিস নিয়ে খেলা করলে, সাধারণ মানুষই বাংলার জমিন থেকে এই জালেমদের তাড়িয়ে দেবে ইন-শাহ-আল্লাহ। ফেরাউন টিকতে পারেনি, নমরুদ টিকতে পারেনি, আপনারাও পারবেন না।”

ফয়জুল করীম বলেন অবৈধ ব্যক্তিদের ক্ষমতায় আনার জন্য আর এক ফোঁটা রক্ত ঝরাতে চাই না আমরা। আমরা দুর্নীতিবাজ, চাঁদাবাজদের আর ক্ষমতায় দেখতে চাই না। অনেকেই ভাবছেন আগামী দিনে অমুক দল ক্ষমতায় আসবে, গুড়ে বালি। এ প্রসঙ্গে তিনি বলেন বাংলাদেশের নতুন ভোটাররা, যেনে গেছে, আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা যেমন নৌকা চালাতে জানে না, তেমনি বিএনপির নেতারা ধানকাটতে পারে না। আর জাতীয়পার্টির নেতারা লাঙ্গল দিয়ে হালচাষ দিতে পারেনা। এরা ধোকাবাজ। তাই দেশের মানুষ গ্রামের মানুষ ও ৩৮ শতাংশ ভোটার হাতপাখা ঠিকই চালাতে জানেন। এ সময় তিনি আসন্ন ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে নীলফামারী জেলার চারটি আসনের মধ্যে তিনটি আসনের দলীয় প্রার্থীদের নাম ঘোষনা করে তাদের হাত তুলে ধরে পরিচয় করে দেন। পাশাপাশি দলের ও সমাবেশে উপস্থিত মানুষজনকে ইসলামী আন্দোলনের পক্ষে ভোট করার আহবান জানান তিনি।
ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ নীলফামারী জেলা শাখার সভাপতি মুহাম্মাদ ইয়াছিন আলীর সভাপতিত্বে ও সেক্রেটারী মাওলানা মুহাম্মাদ আসাদুজ্জামান বিপ্লব এর সঞ্চালনায় আমন্ত্রিত অতিথির বক্তব্য রাখেন নীলফামারী জেলা জামায়াতে ইসলামীর আমির অধ্যক্ষ আব্দুস সাক্তার।
বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ যুগ্ন মহাসচিব মাওলানা গাজী আতাউর রহমান, কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক (রংপুর বিভাগ) অ্যাডভোকেট এম. হাছিবুল ইসলাম, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ কেন্দ্রীয় বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিষয়ক সম্পাদক এবং ইসলামী যুব আন্দোলন বাংলাদেশ কেন্দ্রীয় সভাপতি আতিকুর রহমান মুজাহিদ, ইসলামী ছাত্র আন্দোলন বাংলাদেশ কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক সুলতান মাহমুদ, কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক (রংপুর বিভাগ) মুফতি মুহাম্মাদ আবু তালহা, ইসলামী শ্রমিক আন্দোলন বাংলাদেশ কেন্দ্রীয় তথ্য-প্রযুক্তি ও গবেষণা সম্পাদক মাওলানা মুহাম্মাদ আনিছুর রহমান, ইসলামী ছাত্র আন্দোলন বাংলাদেশ কেন্দ্রীয় প্রকাশনা সম্পাদক মাইমুন ইসলাম মিঠুন প্রমুখ।




















