০৯:৫২ অপরাহ্ন, রবিবার, ০৭ ডিসেম্বর ২০২৫

সৈয়দপুরে ইলিশ মাছের দাম ক্রেতাদের নাগালের বাইরে

নীলফামারীর সৈয়দপুরে ইলিশ মাছের বাজারে সরবরাহ পর্যাপ্ত থাকলেও দাম ক্রেতাদের জন্য অত্যন্ত উচ্চ। গত বছরের তুলনায় এবারের ইলিশের দাম দ্বিগুণেরও বেশি।

বিশেষ করে শারদীয় পূজা ও ভারতে ইলিশ রফতানি বৃদ্ধির কারণে স্থানীয় বাজারে এ প্রভাব পড়েছে। বৃহস্পতিবার (১৮ সেপ্টেম্বর) সকালে শহরের পৌর মার্কেট ও অন্যান্য বাজার ঘুরে দেখা যায়—

দেড় কেজি ওজনের বড় ইলিশ: কেজিপ্রতি ২,৮০০ থেকে ৩,০০০ টাকা। এক কেজি ওজনের ইলিশ: ২,০০০ থেকে ২,২০০ টাকা। ছোট সাইজের ইলিশ: ৮০০ থেকে ১,০০০ টাকা। বাজারে আগের সপ্তাহে একই ধরনের বড় ইলিশ সর্বোচ্চ ২,০০০ টাকায় বিক্রি হয়েছিল।

ব্যবসায়ীদের বক্তব্য, মাছ ব্যবসায়ীরা জানান, নদীতে প্রচুর ইলিশ ধরা পড়লেও— রফতানি বৃদ্ধি, পরিবহন ও লজিস্টিক ব্যয় বৃদ্ধি, কারণে বাজারে দাম বৃদ্ধি পেয়েছে।

ব্যবসায়ীদের কথায়, “মাছ পর্যাপ্ত থাকলেও আমদানি কম, চাহিদা অনেক বেশি। আগের তুলনায় বেশি দামে কিনতে হচ্ছে, তাই বিক্রিও বেশি দামে করতে হচ্ছে।”

ক্রেতাদের প্রতিক্রিয়া, সাধারণ ক্রেতারা জানান—ইলিশ এখন সাধারণ মানুষের নাগালের বাইরে। অনেক মধ্যবিত্ত ও নিম্ন আয়ের পরিবার ইলিশ কিনতে পারছে না।

রইয়েল বাবু: “শুরু থেকেই ইলিশের দাম ডাবল। বছরে একবারও ইলিশ খাওয়া কঠিন হয়ে যাবে।” সোহেল খান: “মধ্যবিত্তরাই হিমশিম খাচ্ছে, নিম্ন আয়ের মানুষ কিভাবে ইলিশ কিনবে?” শশী রায়: “প্রতিবছর পূজা এলেই ইলিশের দাম বাড়ে, কিন্তু এবার দাম এত বেড়েছে যে সাধারণ মানুষের জন্য ইলিশ খাওয়া স্বপ্ন হয়ে দাঁড়িয়েছে।”

সচেতন মহল ও স্থানীয়রা বাজারে মনিটরিং করার পাশাপাশি কর্তৃপক্ষের আশু হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন, যাতে— দাম নিয়ন্ত্রণে রাখা যায় নিম্ন ও মধ্যবিত্ত পরিবারদের জন্য ইলিশ ক্রয়যোগ্য হয় বাজারে কৃত্রিম সংকট সৃষ্টি না হয়।

জনপ্রিয় সংবাদ

তৃতীয় পক্ষে আন্দোলনে লম্বা ছুটিতে সাবরেজিস্টার, ভোগান্তিতে জমি দাতা ও গ্রহীতারা

সৈয়দপুরে ইলিশ মাছের দাম ক্রেতাদের নাগালের বাইরে

প্রকাশিত ১১:১৮:৩৩ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২০ সেপ্টেম্বর ২০২৫

নীলফামারীর সৈয়দপুরে ইলিশ মাছের বাজারে সরবরাহ পর্যাপ্ত থাকলেও দাম ক্রেতাদের জন্য অত্যন্ত উচ্চ। গত বছরের তুলনায় এবারের ইলিশের দাম দ্বিগুণেরও বেশি।

বিশেষ করে শারদীয় পূজা ও ভারতে ইলিশ রফতানি বৃদ্ধির কারণে স্থানীয় বাজারে এ প্রভাব পড়েছে। বৃহস্পতিবার (১৮ সেপ্টেম্বর) সকালে শহরের পৌর মার্কেট ও অন্যান্য বাজার ঘুরে দেখা যায়—

দেড় কেজি ওজনের বড় ইলিশ: কেজিপ্রতি ২,৮০০ থেকে ৩,০০০ টাকা। এক কেজি ওজনের ইলিশ: ২,০০০ থেকে ২,২০০ টাকা। ছোট সাইজের ইলিশ: ৮০০ থেকে ১,০০০ টাকা। বাজারে আগের সপ্তাহে একই ধরনের বড় ইলিশ সর্বোচ্চ ২,০০০ টাকায় বিক্রি হয়েছিল।

ব্যবসায়ীদের বক্তব্য, মাছ ব্যবসায়ীরা জানান, নদীতে প্রচুর ইলিশ ধরা পড়লেও— রফতানি বৃদ্ধি, পরিবহন ও লজিস্টিক ব্যয় বৃদ্ধি, কারণে বাজারে দাম বৃদ্ধি পেয়েছে।

ব্যবসায়ীদের কথায়, “মাছ পর্যাপ্ত থাকলেও আমদানি কম, চাহিদা অনেক বেশি। আগের তুলনায় বেশি দামে কিনতে হচ্ছে, তাই বিক্রিও বেশি দামে করতে হচ্ছে।”

ক্রেতাদের প্রতিক্রিয়া, সাধারণ ক্রেতারা জানান—ইলিশ এখন সাধারণ মানুষের নাগালের বাইরে। অনেক মধ্যবিত্ত ও নিম্ন আয়ের পরিবার ইলিশ কিনতে পারছে না।

রইয়েল বাবু: “শুরু থেকেই ইলিশের দাম ডাবল। বছরে একবারও ইলিশ খাওয়া কঠিন হয়ে যাবে।” সোহেল খান: “মধ্যবিত্তরাই হিমশিম খাচ্ছে, নিম্ন আয়ের মানুষ কিভাবে ইলিশ কিনবে?” শশী রায়: “প্রতিবছর পূজা এলেই ইলিশের দাম বাড়ে, কিন্তু এবার দাম এত বেড়েছে যে সাধারণ মানুষের জন্য ইলিশ খাওয়া স্বপ্ন হয়ে দাঁড়িয়েছে।”

সচেতন মহল ও স্থানীয়রা বাজারে মনিটরিং করার পাশাপাশি কর্তৃপক্ষের আশু হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন, যাতে— দাম নিয়ন্ত্রণে রাখা যায় নিম্ন ও মধ্যবিত্ত পরিবারদের জন্য ইলিশ ক্রয়যোগ্য হয় বাজারে কৃত্রিম সংকট সৃষ্টি না হয়।