০৫:০৪ অপরাহ্ন, সোমবার, ০৮ ডিসেম্বর ২০২৫

সক্ষমতা বাড়িয়ে সৈয়দপুর কারখানাকে রেলওয়ের মূল কেন্দ্রে পরিণত করা হবে- প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী মইন উদ্দিন

প্রয়োজনীয় সার্বিক সক্ষমতা বৃদ্ধি করে দেশের সর্ববৃহৎ সৈয়দপুর রেলওয়ে কারখানাকে রেলওয়ের কি অর্থাৎ মূল কেন্দ্রে পরিণত করা হবে। এজন্য লোকবল ও যন্ত্রপাতি এবং কাঁচামাল সংকট দূর করে গতি সঞ্চার করতে উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। সেকারণেই মূলত: এই পরিদর্শনে আসা। যাতে সমস্যা ও সংকট নিরুপন করে সে অনুযায়ী পরিকল্পনা গ্রহণ করা যায়।

বাংলাদেশ সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনুস এর বিশেষ সহকারী (সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয় এবং রেলপথ মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বপ্রাপ্ত) শেখ মঈন উদ্দিন উপরোক্ত কথাগুলো বলেছেন। বৃহস্পতিবার (১১ সেপ্টেম্বর) বিকেলে সৈয়দপুর রেলওয়ে কারখানা পরিদর্শনের সাংবাদিকদের সাথে কথাকালে এই মন্তব্য করেন। এর আগে তিনি দিনাজপুরের পার্বতীপুরে রেলওয়ে লোকোমোটিভ কারখানাও পরিদর্শন করেন।

পরিদর্শনকালে তাঁর সাথে ছিলেন, রেলপথ মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব সাকিল আহমেদ, বাংলাদেশ রেলওয়ের মহাপরিচালক (ডিজি) মো. আফজাল হোসেন, সহকারী মহাপরিচালক (এডিজি/আরএস) আহমেদ মাহবুব চৌধুরী, পূর্বাঞ্চল রেলওয়ে চট্টগ্রামের মহাব্যবস্থাপক মো. সুবক্তগীন, পঞ্চিমাঞ্চল রেলওয়ে রাজশাহীর মহাব্যবস্থাপক মোঃ ফরিদ আহমেদ ও সিএমই/পশ্চিম, রাজশাহী সাদেকুর রহমান, মেট্রোরেলের পরিচালক ফারুক ইসলাম এবং ৭) বুয়েটের যন্ত্রকৌশল বিভাগের প্রধান আশরাফুল ইসলাম।

তাঁদের স্বাগত জানান, সৈয়দপুর রেলওয়ে কারখানার বিভাগীয় তত্বাবধায়ক (ডিএস) শাহ সুফি নুর মোহাম্মদ ও কর্ম ব্যবস্থাপক (ডাব্লিউএম) মমতাজুল হক। এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন কারখানার শ্রমিক সংগঠনগুলোর নেতৃবৃন্দসহ কর্মকর্তাগণ ও প্রতিটি সপের ইনচার্জ।

প্রধান উপদেষ্টা বিশেষ সহকারী বলেন, সৈয়দপুর রেলওয়ে কারখানা অনেক আগে প্রতিষ্ঠিত। বর্তমানে এখানে জনবল ও ইকুইপমেন্ট সংকট থাকায় চাহিদামত উৎপাদন সম্ভব হচ্ছেনা। এই সংকট দূর করাসহ আধুনিকায়ন জরুরি। এজন্য সরকার বিভিন্ন প্রকল্প গ্রহণ করে উন্নয়নের পরিকল্পনা নিয়েছে। এখানে পৃথক একটি ক্যারেজ সপ তৈরি করা হবে।

শেখ মঈন উদ্দিন আরও বলেন, রেলওয়েতে জন ও মালামাল পরিবহনের পরিমাণ বাড়াতে ক্যারেজ কোচ ও বগি মেরামতের পাশাপাশি লোকোমোটিভ (ইঞ্জিন) সংষ্কার কার্যক্রম আরও যুগোপযোগী করা প্রয়োজন। এজন্য আধুনিকায়নের ব্যাপারে উদ্যোগ নিতে চাই। সরঞ্জাম তৈরি ও ক্রয়ের ক্ষেত্রে বিশেষ নজর দেয়া হবে। যাতে মেরামত কাজে গতিশীলতা আসে।

তিনি বলেন, কারখানা অচল হলে বাংলাদেশ রেলওয়েই মুখ থুবড়ে পড়বে। যা দেশের পরিবহণ ক্ষেত্রে চরম দূরাবস্থার সৃষ্টি করবে। তাই এদিকে বিশেষ দৃষ্টি দিয়েছে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার। জনবল নিয়োগে দ্রুত ব্যবস্থা নেয়াসহ সরঞ্জামগুলো কার্যকর করার পাশাপাশি  কাঁচামালের যোগান দিতে প্রয়োজনে বিদেশ থেকে সংগ্রহ করা হবে।

বিষয়
জনপ্রিয় সংবাদ

দিনাজপুরে অ্যাডভোকেসি প্ল্যাটফর্মের বিভাগীয় বার্ষিক সম্মেলন অনুষ্ঠিত

সক্ষমতা বাড়িয়ে সৈয়দপুর কারখানাকে রেলওয়ের মূল কেন্দ্রে পরিণত করা হবে- প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী মইন উদ্দিন

প্রকাশিত ০৬:৫০:০০ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১১ সেপ্টেম্বর ২০২৫

প্রয়োজনীয় সার্বিক সক্ষমতা বৃদ্ধি করে দেশের সর্ববৃহৎ সৈয়দপুর রেলওয়ে কারখানাকে রেলওয়ের কি অর্থাৎ মূল কেন্দ্রে পরিণত করা হবে। এজন্য লোকবল ও যন্ত্রপাতি এবং কাঁচামাল সংকট দূর করে গতি সঞ্চার করতে উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। সেকারণেই মূলত: এই পরিদর্শনে আসা। যাতে সমস্যা ও সংকট নিরুপন করে সে অনুযায়ী পরিকল্পনা গ্রহণ করা যায়।

বাংলাদেশ সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনুস এর বিশেষ সহকারী (সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয় এবং রেলপথ মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বপ্রাপ্ত) শেখ মঈন উদ্দিন উপরোক্ত কথাগুলো বলেছেন। বৃহস্পতিবার (১১ সেপ্টেম্বর) বিকেলে সৈয়দপুর রেলওয়ে কারখানা পরিদর্শনের সাংবাদিকদের সাথে কথাকালে এই মন্তব্য করেন। এর আগে তিনি দিনাজপুরের পার্বতীপুরে রেলওয়ে লোকোমোটিভ কারখানাও পরিদর্শন করেন।

পরিদর্শনকালে তাঁর সাথে ছিলেন, রেলপথ মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব সাকিল আহমেদ, বাংলাদেশ রেলওয়ের মহাপরিচালক (ডিজি) মো. আফজাল হোসেন, সহকারী মহাপরিচালক (এডিজি/আরএস) আহমেদ মাহবুব চৌধুরী, পূর্বাঞ্চল রেলওয়ে চট্টগ্রামের মহাব্যবস্থাপক মো. সুবক্তগীন, পঞ্চিমাঞ্চল রেলওয়ে রাজশাহীর মহাব্যবস্থাপক মোঃ ফরিদ আহমেদ ও সিএমই/পশ্চিম, রাজশাহী সাদেকুর রহমান, মেট্রোরেলের পরিচালক ফারুক ইসলাম এবং ৭) বুয়েটের যন্ত্রকৌশল বিভাগের প্রধান আশরাফুল ইসলাম।

তাঁদের স্বাগত জানান, সৈয়দপুর রেলওয়ে কারখানার বিভাগীয় তত্বাবধায়ক (ডিএস) শাহ সুফি নুর মোহাম্মদ ও কর্ম ব্যবস্থাপক (ডাব্লিউএম) মমতাজুল হক। এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন কারখানার শ্রমিক সংগঠনগুলোর নেতৃবৃন্দসহ কর্মকর্তাগণ ও প্রতিটি সপের ইনচার্জ।

প্রধান উপদেষ্টা বিশেষ সহকারী বলেন, সৈয়দপুর রেলওয়ে কারখানা অনেক আগে প্রতিষ্ঠিত। বর্তমানে এখানে জনবল ও ইকুইপমেন্ট সংকট থাকায় চাহিদামত উৎপাদন সম্ভব হচ্ছেনা। এই সংকট দূর করাসহ আধুনিকায়ন জরুরি। এজন্য সরকার বিভিন্ন প্রকল্প গ্রহণ করে উন্নয়নের পরিকল্পনা নিয়েছে। এখানে পৃথক একটি ক্যারেজ সপ তৈরি করা হবে।

শেখ মঈন উদ্দিন আরও বলেন, রেলওয়েতে জন ও মালামাল পরিবহনের পরিমাণ বাড়াতে ক্যারেজ কোচ ও বগি মেরামতের পাশাপাশি লোকোমোটিভ (ইঞ্জিন) সংষ্কার কার্যক্রম আরও যুগোপযোগী করা প্রয়োজন। এজন্য আধুনিকায়নের ব্যাপারে উদ্যোগ নিতে চাই। সরঞ্জাম তৈরি ও ক্রয়ের ক্ষেত্রে বিশেষ নজর দেয়া হবে। যাতে মেরামত কাজে গতিশীলতা আসে।

তিনি বলেন, কারখানা অচল হলে বাংলাদেশ রেলওয়েই মুখ থুবড়ে পড়বে। যা দেশের পরিবহণ ক্ষেত্রে চরম দূরাবস্থার সৃষ্টি করবে। তাই এদিকে বিশেষ দৃষ্টি দিয়েছে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার। জনবল নিয়োগে দ্রুত ব্যবস্থা নেয়াসহ সরঞ্জামগুলো কার্যকর করার পাশাপাশি  কাঁচামালের যোগান দিতে প্রয়োজনে বিদেশ থেকে সংগ্রহ করা হবে।