১২ই রবিউল আউয়াল, বিশ্বনবী হযরত মুহাম্মদ (সাঃ)-এর পবিত্র জন্ম দিবস উপলক্ষে নীলফামারীর সৈয়দপুরে অনুষ্ঠিত হয়েছে ঐতিহ্যবাহী ও উত্তর জনপদের বৃহত্তম জশনে জুলুস। সকাল থেকেই শহরজুড়ে ছিল ধর্মীয় উচ্ছ্বাস ও গভীর গাম্ভীর্য।
সকাল থেকে বিভিন্ন পাড়া-মহল্লা থেকে শিশু-কিশোর, যুবক ও বয়োবৃদ্ধরা হাতে নবীজির বাণী লেখা নানা রঙের পতাকা নিয়ে ছোট ছোট খণ্ড মিছিলের মাধ্যমে আসতে থাকেন শহরের রেলওয়ে মাঠে। সকাল ১০টার মধ্যেই কানায় কানায় পূর্ণ হয়ে যায় পুরো মাঠ। মাঠ জুড়ে বিরাজ করে উৎসবমুখর পরিবেশ।
(৬ সেক্টম্বর) শনিবার সকাল ১০টায় রেলওয়ে মাঠ থেকে আনুষ্ঠানিকভাবে বের হয় সৈয়দপুরের সবচেয়ে বড় জশনে জুলুস। প্রায় সাত কিলোমিটার দীর্ঘ এ জুলুসে অংশ নেন লক্ষাধিক মানুষ। শৃঙ্খলাপূর্ণ এ বিশাল আয়োজনকে সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন করতে দায়িত্ব পালন করেন প্রায় সাত শতাধিক স্বেচ্ছাসেবক।
এ উপলক্ষে সৈয়দপুর শহরকে সাজানো হয় বর্ণিল সাজে। প্রধান প্রধান সড়কে স্থাপন করা হয় ২৫টিরও বেশি সুদৃশ্য তোরণ। রাতভর মসজিদ, মাজার ও বাড়িঘর সাজানো হয় ঝলমলে মরিচ বাতিতে। পাড়া-মহল্লার অলিগলিও সাজানো হয় রঙিন পতাকা দিয়ে।
মুসলমানদের প্রাণের এই দিনে শুধু আনন্দ-উৎসব নয়, বরং সর্বশ্রেষ্ঠ মানব হযরত মুহাম্মদ (সাঃ) এর জীবনাদর্শ ও শিক্ষাকে স্মরণ করতে আয়োজিত হয় আলোচনা ও বয়ান। সুন্নি সম্প্রদায়ের উদ্যোগে অনুষ্ঠিত এ জুলুস এখন সৈয়দপুরের অন্যতম ধর্মীয় ঐতিহ্যে পরিণত হয়েছে।
জশনে জুলুসে আগত খালিদ এ আযম আশরাফী জানান, ১৯৮৫ সাল থেকে আমরা নিয়মিতভাবে বিশ্বনবীর (সাঃ) জন্মদিনে জশনে জুলুসের আয়োজন করে আসছি। প্রতিবছরের মতো এবারও লাখো মুসল্লির উপস্থিতি আমাদের গর্বিত করেছে। নিরাপত্তার দায়িত্বে ছিল প্রায় সাত শতাধিক স্বেচ্ছাসেবক।
সৈয়দপুর পৌরসভার সাবেক কাউন্সিলর শাহিন আকতার শাহিন বলেন, জশনে জুলুস আমাদের ধর্মীয় সংস্কৃতির অবিচ্ছেদ্য অংশ। প্রতিবছরই আমরা শহরকে বর্ণিল সাজে সাজাই। মুসল্লিদের শান্তিপূর্ণ অংশগ্রহণে এবারের আয়োজনও সফলভাবে সম্পন্ন হয়েছে। বিশ্বনবী হযরত মুহাম্মদ (সাঃ) ৫৭০ খ্রিস্টাব্দে ১২ই রবিউল আউয়াল তারিখে জন্মগ্রহণ করেন। তাঁর আগমনেই বিশ্ব পেয়েছিল অন্ধকার থেকে আলোর পথনির্দেশক, মানবতার মুক্তিদূত। সারা বিশ্বের মুসলমানদের মতো সৈয়দপুরেও এ দিনটি পালন করা হয় গভীর ভালোবাসা ও শ্রদ্ধার সঙ্গে।
জুলুস শেষে দোয়া করেন, কাছৌছা শরীফ ভারত থেকে আগত হযরত আল্লামা সৈয়দ ফাযযান আশরাফ আশরাফী আল জিলানী মোনাজাতে বিশ্বের মুসলিম উম্মার জন্য দোয়া করেন, প্রিয় নবীর দেখানো পথে চলতে পারি । নবীজীর তরিকা মতে জীবন যাপন করতে পারি । সারা বিশ্বে মুসলমানরা নানা ভাবে নির্যাতিত হচ্ছেন তাদের মুক্তির জন্য তিনি দোয়া করেন ।





















