০৯:৫২ অপরাহ্ন, রবিবার, ০৭ ডিসেম্বর ২০২৫

সৈয়দপুরে আওয়ামী লীগ নেতা ইউপি চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে হতদরিদ্র নারীদের সঞ্চয়ের ৮ লাখ টাকা লোপাটের অভিযোগ

দুই বছর মেয়াদে প্রতিমাসে ৩০ কেজি করে চাল দেওয়ার সরকারি প্রকল্প (ভিজিডি) বর্তমানে যা ভিডাব্লিউএ নামে পরিচালিত। এর সুবিধাভোগীদের সঞ্চয়ের ৮ লাখ টাকা লোপাটের অভিযোগ উঠেছে নীলফামারীর সৈয়দপুর উপজেলার কামারপুকুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ও ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সভাপতি আনোয়ার হোসেন সরকারের বিরুদ্ধে।

গত ২ বছর এই সুবিধা পাওয়া ৫২৫ জন দরিদ্র নারীর কার্ডের (বই) মেয়াদ উত্তীর্ণ হওয়ায় কার্ড জব্দ করে ইউপি সচিব। যা পরে চেয়ারম্যান নিজ জিম্মায় নিলেও ফেরত দেয়নি কোন টাকা। গত ৯ মাস ধরে ইউনিয়ন পরিষদে বার বার ধর্ণা দিলেও চেয়ারম্যান না থাকায় এনিয়ে মেম্বাররা ও সচিবও কোন সুরাহা দিতে পারছেন না। ফলে ইতোমধ্যে মেয়াদ শেষ হওয়ায় চাল পাওয়াও বন্ধ হয়েছে। সেই সাথে সঞ্চয়কৃত টাকা ফেরত না পেয়ে ভোগান্তিতে পড়েছে ৫ শতাধিক পরিবার।

জানা যায়, ওই ইউনিয়নের প্রায় ৫২৫ জন হতদরিদ্র নারী সরকারি সহায়তা হিসেবে ভিজিডি সুবিধা পায়। তাদের প্রত্যেকের কাছ থেকে প্রতি মাস ২শ’ থেকে ২৫০ টাকা সঞ্চয় বাবদ আদায় করা হয়। এভাবে কারো ১ হাজার ৬ শ’, কারো ১ হাজার ৮ শ’ টাকা করে জমা হয়েছে। সঞ্চয়ের এই টাকা প্রত্যেকের নামে মোবাইল ব্যাংক একাউন্ট খুলে সেখানে জমা করার কথা। কিন্তু তা না করে চেয়ারম্যান নিজের কাছে রেখেছেন। এমনকি ইউনিয়ন পরিষদের একাউন্টেও জমা রাখা হয়নি। বরং কৌশলে প্রায় ৮ লাখ টাকা লোপাট করেছেন চেয়ারম্যান। গত ফেব্রæয়ারী মাসে ২ বছর মেয়াদ পূর্ণ হওয়ায় কার্ডগুলো (বই) সবার কাছ থেকে তুলে নিলেও সঞ্চয়ের টাকা ফেরত দেয়নি চেয়ারম্যান। আর মাঝে চেয়ারম্যানের অনুপস্থিতিতে দায়িত্ব পালন করেন প্যানেল চেয়ারম্যান। তার কাছেও প্রায় ২ লাখ আছে।

ইউনিয়নের ৫ নং ওয়ার্ডের তালেবের স্ত্রী আয়শা, জুবায়দুলের স্ত্রী আয়শা সিদ্দিকা ও আলমের স্ত্রী শিউলি বলেন, আমরা হতদরিদ্র বলেই তো সরকারী সুবিধা নিতে ভিজিডির কার্ড করেছি। প্রতিমাসে সঞ্চয়ের জন্য চেয়ারম্যান ২২০ টাকা থেকে ৩০০ টাকা পর্যন্ত সঞ্চয় নিয়েছে। কিন্তু নিয়মিত তা কার্ডে লেখে নাই। আর এখন কার্ডের মেয়াদ শেষে চাল পাওয়াও বন্ধ হয়েছে এবং সঞ্চয়ের টাকাও ফেরত পাচ্ছিনা। দীর্ঘ ৮ মাস ধরে পরিষদে বার বার ধর্না দিয়েও কোন সুরাহা পাচ্ছিনা। কারণ চেয়ারম্যানের দেখা পাওয়া যায়না। আর সচিব সেই দোহাই দিয়ে বিষয়টি ঝুলিয়ে রেখেছে।

এদিকে ৬ নং ওয়ার্ডের আজাদের স্ত্রী রেহেনা, রাফিউলের স্ত্রী নাজমা বলেন, আমরা অসহায় মানুষ। আমাদের সঞ্চয়ের প্রায় ১ হাজার ৬ শ’ থেকে ২ হাজার টাকা এতোদিন আটকে রেখেছে চেয়ারম্যান। টাকাগুলো আদৌ পাবো কি না সে বিষয়ে কেউ কোন সঠিক তথ্য দিচ্ছে না। এতে আমরা চরম হতাশায় পড়েছি। মেম্বাররাও নির্বিকার। তারা শুধু চেয়ারম্যানকে দেখাচ্ছে। উপজেলা প্রশাসনও দেখছি কোন কর্ণপাত করছেনা।

নাম প্রকাশ না করার শর্তে কয়েকজন ইউপি সদস্য বলেন, হতদরিদ্র নারীরা তাদের কষ্টের সঞ্চয় চেয়ারম্যানকে দিলেও তিনি তা ফেরত দিচ্ছেন না। আর টাকা না পেয়ে এলাকার লোকজন আমাদেরকে ধরছেন টাকার জন্য। কিন্তু চেয়ারম্যানকে একাধিকবার ্এবিষয়ে বললেও তিনি কোন ভ্রæক্ষেপ করছেন না। বিষয়টি সুরাহার জন্য উপজেলা প্রশাসন তথা উপজেলা মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তার হস্তক্ষেপ প্রয়োজন। তা না হলে টাকাগুলো লোপাট হয়ে যেতে পারে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করেন তারা।

এব্যাপারে প্যানেল চেয়ারম্যান আব্দুল মুয়ীদ আলাল বলেন, আমার কাছে মাত্র এক মাসের সঞ্চয়ের টাকা রক্ষিত আছে। সেই টাকা আমি ফেরত দেয়ার জন্য উদ্যোগ নিয়েছিলাম। কিন্তু সুবিধাভোগীদের কার্ডগুলো চেয়ারম্যান নিজের কাছে রাখার কারণে কার কত সঞ্চয় আমার কাছে আছে তা নিরুপন করতে পারছিনা বলেই দেয়া সম্ভব হয়নি। এব্যাপারে চেয়ারম্যানের সাথে সমন্বয় করার অনেক চেষ্টা করেছি। অথচ চেয়ারম্যান কোনভাবেই এবিষয়টি সমাধান করতে চাচ্ছেন না। যে কারণে আজও সমস্যার সমাধান করা যায়নি।

অভিযোগের বিষয়ে ইউপি চেয়ারম্যান ও ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সাবেক সভাপতি আনোয়ার হোসেন সরকারের মন্তব্য জানার জন্য তার সাথে যোগাযোগের বার বার চেষ্টা করা হলেও তাকে পরিষদে বা বাসায় কোথায় পাওয়া যায়নি। এমনকি তার মুঠোফোনে একাধিকবার কল দেয়া হলেও তিনি রিসিভ না করায় এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত তার কোন মতামত জানা সম্ভব হয়নি।

সৈয়দপুর উপজেলা মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তা নুরুন্নাহার শাহজাদী বলেন, কার্ডধারীদের মূলতঃ মোবাইল ব্যাকিংয়ে একাউন্ট খুলে সেখানে সঞ্চয় করার জন্য বলা হয়েছিল। কিন্তু তারা একাউন্ট খোলেনি আর এই সুযোগে যদি চেয়ারম্যান তাদের সঞ্চয়ের টাকা হাতে হাতে নিয়ে থাকে তাহলে তার দায় চেয়ারম্যানেরই। এক্ষেত্রে আমারদের আর কি করার আছে। তবে এ বিষয়ে লিখিত অভিযোগ পেলে আমরা আইনগতভাবে যথাযথ ব্যবস্থা নেবো।

উপজেলা নির্বাহী অফিসার নুর ই আলম সিদ্দিকীর সাথে কথা হলে তিনি বলেন, সঞ্চয়ের টাকা কোনভাবেই চেয়ারম্যান বা মেম্বার অথবা ইউপি সচিব নিজের কাছে রাখতে পারেন না। হয় প্রত্যেক কার্ডধারীর নিজস্ব ব্যাংক একাউন্টে জমা করতে হবে নয়তো পরিষদের ব্যাংক একাউন্টে জমা রাখতে হবে। এব্যাপারে ভুক্তভোগীদের কোন লিখিত বা মৌখিক অভিযোগ পাইনি। তবে অভিযোগ পাওয়া গেলে এব্যাপারে উপযুক্ত পদক্ষেপ নেয়া হবে।

জনপ্রিয় সংবাদ

তৃতীয় পক্ষে আন্দোলনে লম্বা ছুটিতে সাবরেজিস্টার, ভোগান্তিতে জমি দাতা ও গ্রহীতারা

সৈয়দপুরে আওয়ামী লীগ নেতা ইউপি চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে হতদরিদ্র নারীদের সঞ্চয়ের ৮ লাখ টাকা লোপাটের অভিযোগ

প্রকাশিত ০২:০৭:৪০ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৪ সেপ্টেম্বর ২০২৫

দুই বছর মেয়াদে প্রতিমাসে ৩০ কেজি করে চাল দেওয়ার সরকারি প্রকল্প (ভিজিডি) বর্তমানে যা ভিডাব্লিউএ নামে পরিচালিত। এর সুবিধাভোগীদের সঞ্চয়ের ৮ লাখ টাকা লোপাটের অভিযোগ উঠেছে নীলফামারীর সৈয়দপুর উপজেলার কামারপুকুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ও ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সভাপতি আনোয়ার হোসেন সরকারের বিরুদ্ধে।

গত ২ বছর এই সুবিধা পাওয়া ৫২৫ জন দরিদ্র নারীর কার্ডের (বই) মেয়াদ উত্তীর্ণ হওয়ায় কার্ড জব্দ করে ইউপি সচিব। যা পরে চেয়ারম্যান নিজ জিম্মায় নিলেও ফেরত দেয়নি কোন টাকা। গত ৯ মাস ধরে ইউনিয়ন পরিষদে বার বার ধর্ণা দিলেও চেয়ারম্যান না থাকায় এনিয়ে মেম্বাররা ও সচিবও কোন সুরাহা দিতে পারছেন না। ফলে ইতোমধ্যে মেয়াদ শেষ হওয়ায় চাল পাওয়াও বন্ধ হয়েছে। সেই সাথে সঞ্চয়কৃত টাকা ফেরত না পেয়ে ভোগান্তিতে পড়েছে ৫ শতাধিক পরিবার।

জানা যায়, ওই ইউনিয়নের প্রায় ৫২৫ জন হতদরিদ্র নারী সরকারি সহায়তা হিসেবে ভিজিডি সুবিধা পায়। তাদের প্রত্যেকের কাছ থেকে প্রতি মাস ২শ’ থেকে ২৫০ টাকা সঞ্চয় বাবদ আদায় করা হয়। এভাবে কারো ১ হাজার ৬ শ’, কারো ১ হাজার ৮ শ’ টাকা করে জমা হয়েছে। সঞ্চয়ের এই টাকা প্রত্যেকের নামে মোবাইল ব্যাংক একাউন্ট খুলে সেখানে জমা করার কথা। কিন্তু তা না করে চেয়ারম্যান নিজের কাছে রেখেছেন। এমনকি ইউনিয়ন পরিষদের একাউন্টেও জমা রাখা হয়নি। বরং কৌশলে প্রায় ৮ লাখ টাকা লোপাট করেছেন চেয়ারম্যান। গত ফেব্রæয়ারী মাসে ২ বছর মেয়াদ পূর্ণ হওয়ায় কার্ডগুলো (বই) সবার কাছ থেকে তুলে নিলেও সঞ্চয়ের টাকা ফেরত দেয়নি চেয়ারম্যান। আর মাঝে চেয়ারম্যানের অনুপস্থিতিতে দায়িত্ব পালন করেন প্যানেল চেয়ারম্যান। তার কাছেও প্রায় ২ লাখ আছে।

ইউনিয়নের ৫ নং ওয়ার্ডের তালেবের স্ত্রী আয়শা, জুবায়দুলের স্ত্রী আয়শা সিদ্দিকা ও আলমের স্ত্রী শিউলি বলেন, আমরা হতদরিদ্র বলেই তো সরকারী সুবিধা নিতে ভিজিডির কার্ড করেছি। প্রতিমাসে সঞ্চয়ের জন্য চেয়ারম্যান ২২০ টাকা থেকে ৩০০ টাকা পর্যন্ত সঞ্চয় নিয়েছে। কিন্তু নিয়মিত তা কার্ডে লেখে নাই। আর এখন কার্ডের মেয়াদ শেষে চাল পাওয়াও বন্ধ হয়েছে এবং সঞ্চয়ের টাকাও ফেরত পাচ্ছিনা। দীর্ঘ ৮ মাস ধরে পরিষদে বার বার ধর্না দিয়েও কোন সুরাহা পাচ্ছিনা। কারণ চেয়ারম্যানের দেখা পাওয়া যায়না। আর সচিব সেই দোহাই দিয়ে বিষয়টি ঝুলিয়ে রেখেছে।

এদিকে ৬ নং ওয়ার্ডের আজাদের স্ত্রী রেহেনা, রাফিউলের স্ত্রী নাজমা বলেন, আমরা অসহায় মানুষ। আমাদের সঞ্চয়ের প্রায় ১ হাজার ৬ শ’ থেকে ২ হাজার টাকা এতোদিন আটকে রেখেছে চেয়ারম্যান। টাকাগুলো আদৌ পাবো কি না সে বিষয়ে কেউ কোন সঠিক তথ্য দিচ্ছে না। এতে আমরা চরম হতাশায় পড়েছি। মেম্বাররাও নির্বিকার। তারা শুধু চেয়ারম্যানকে দেখাচ্ছে। উপজেলা প্রশাসনও দেখছি কোন কর্ণপাত করছেনা।

নাম প্রকাশ না করার শর্তে কয়েকজন ইউপি সদস্য বলেন, হতদরিদ্র নারীরা তাদের কষ্টের সঞ্চয় চেয়ারম্যানকে দিলেও তিনি তা ফেরত দিচ্ছেন না। আর টাকা না পেয়ে এলাকার লোকজন আমাদেরকে ধরছেন টাকার জন্য। কিন্তু চেয়ারম্যানকে একাধিকবার ্এবিষয়ে বললেও তিনি কোন ভ্রæক্ষেপ করছেন না। বিষয়টি সুরাহার জন্য উপজেলা প্রশাসন তথা উপজেলা মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তার হস্তক্ষেপ প্রয়োজন। তা না হলে টাকাগুলো লোপাট হয়ে যেতে পারে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করেন তারা।

এব্যাপারে প্যানেল চেয়ারম্যান আব্দুল মুয়ীদ আলাল বলেন, আমার কাছে মাত্র এক মাসের সঞ্চয়ের টাকা রক্ষিত আছে। সেই টাকা আমি ফেরত দেয়ার জন্য উদ্যোগ নিয়েছিলাম। কিন্তু সুবিধাভোগীদের কার্ডগুলো চেয়ারম্যান নিজের কাছে রাখার কারণে কার কত সঞ্চয় আমার কাছে আছে তা নিরুপন করতে পারছিনা বলেই দেয়া সম্ভব হয়নি। এব্যাপারে চেয়ারম্যানের সাথে সমন্বয় করার অনেক চেষ্টা করেছি। অথচ চেয়ারম্যান কোনভাবেই এবিষয়টি সমাধান করতে চাচ্ছেন না। যে কারণে আজও সমস্যার সমাধান করা যায়নি।

অভিযোগের বিষয়ে ইউপি চেয়ারম্যান ও ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সাবেক সভাপতি আনোয়ার হোসেন সরকারের মন্তব্য জানার জন্য তার সাথে যোগাযোগের বার বার চেষ্টা করা হলেও তাকে পরিষদে বা বাসায় কোথায় পাওয়া যায়নি। এমনকি তার মুঠোফোনে একাধিকবার কল দেয়া হলেও তিনি রিসিভ না করায় এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত তার কোন মতামত জানা সম্ভব হয়নি।

সৈয়দপুর উপজেলা মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তা নুরুন্নাহার শাহজাদী বলেন, কার্ডধারীদের মূলতঃ মোবাইল ব্যাকিংয়ে একাউন্ট খুলে সেখানে সঞ্চয় করার জন্য বলা হয়েছিল। কিন্তু তারা একাউন্ট খোলেনি আর এই সুযোগে যদি চেয়ারম্যান তাদের সঞ্চয়ের টাকা হাতে হাতে নিয়ে থাকে তাহলে তার দায় চেয়ারম্যানেরই। এক্ষেত্রে আমারদের আর কি করার আছে। তবে এ বিষয়ে লিখিত অভিযোগ পেলে আমরা আইনগতভাবে যথাযথ ব্যবস্থা নেবো।

উপজেলা নির্বাহী অফিসার নুর ই আলম সিদ্দিকীর সাথে কথা হলে তিনি বলেন, সঞ্চয়ের টাকা কোনভাবেই চেয়ারম্যান বা মেম্বার অথবা ইউপি সচিব নিজের কাছে রাখতে পারেন না। হয় প্রত্যেক কার্ডধারীর নিজস্ব ব্যাংক একাউন্টে জমা করতে হবে নয়তো পরিষদের ব্যাংক একাউন্টে জমা রাখতে হবে। এব্যাপারে ভুক্তভোগীদের কোন লিখিত বা মৌখিক অভিযোগ পাইনি। তবে অভিযোগ পাওয়া গেলে এব্যাপারে উপযুক্ত পদক্ষেপ নেয়া হবে।