০৯:০২ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ০৮ ডিসেম্বর ২০২৫

সৈয়দপুরে আগুনে চারটি পরিবারের সর্বস্ব পুড়ে ছাঁই

নীলফামারীর সৈয়দপুরে এক ভয়াবহ আগুনে চারটি হিন্দু পরিবারের সর্বস্ব পুড়ে গেছে। শনিবার (২ আগষ্ট) দিবাগত রাত  সোয়া সাতটার দিকে উপজেলার খাতামধুপুর ইউনিয়নের ৫ নম্বর ওয়ার্ডের বালাপাড়ায় ওই অগ্নিকান্ডে সংঘটিত হয়েছে। আগুনের পরিবারগুলোর ধান, চাল, গরু-ছাগল, ঘরে থাকা মূল্যবান আসবাবপত্র, কাপড়-চোপড়,তৈজসপত্রসহ সব কিছু ভস্মীভূত হয়।

ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ প্রায় ২০ লাখ টাকা বলে প্রাথমিকভাবে অনুমান করা হচ্ছে। বর্তমানে আগুনে ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারের সদস্য খোলা আকাশের নিচে বসবাস করছেন। আগুনের সঠিক কারণ জানা যায়নি। তবে বৈদ্যূতিক শটসার্কিট থেকেআগুনের সূত্রপাত হয়েছে বলে প্রাথমিকভাবে অনুমান করা হয়।  গতকাল রোববার উপজেলা প্রশাসন থেকে ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারগুলোকে তিনটি করে কম্বল ও এক প্যাকেট করে শুকনা খাবার বিতরণ করা হয়েছে।

সৈয়দপুর ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স স্টেশন ও ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারের সূত্রে জানা গেছে, ঘটনার দিন শনিবার দিবাগত রাত সোয়া সাতটার দিকে খাতামধুপুর ইউনিয়নের উল্লিখিত এলাকার শ্রী মাদু চন্দ্র রায়ের বাড়ির ঘর থেকে প্রথমে আগুনের সূত্র হয়। আর মুর্হুতেই মধ্যে ওই আগুনের লেলিহান শিখা পাশের হর কুমার রায়, কমলা চন্দ্র  রায় ও হরিশ চন্দ্র রায়ের বাড়ি ছড়িয়ে পড়ে।

এতে পরিবারগুলোর নগদ দুই লাখ চার হাজার টাকা, নয়টি টিনের ঘর, ঘরে থাকা ধান, চাল, আলু, হাঁস-মুরগী, মূল্যবান আসবাবপত্র, তৈজসপত্র,কাপড়-চোপড়সহ সংসারের সবকিছু নিমিষেই পুড়ে ছাঁই হয়ে যায়। ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারের সদস্যরা শুধুমাত্র পরণের কাপড় ছাড়া কোন কিছু রক্ষা করতে পারেননি।

সৈয়দপুর ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স স্টেশনের লিডার মো. সাজেদুল ইসলাম মন্ডল জানান, আগুনের খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছার আগেই স্থানীয় লোকজন আগুন নিয়ন্ত্রনে আনেন। আর বৈদ্যূতিক শটসার্কিট থেকে আগুনের সূত্রপাত হয় বলে ক্ষতিগ্রস্থ পরিবারের বরাত দিয়ে জানান তিনি।

এদিকে, আগুনের খবর পেয়ে সৈয়দপুর উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান রিয়াদ আরফান সরকার রানা ও খাতামধুপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মো. মাসুদ রানা (পাইলট) ও সাবেক চেয়ারম্যান মো. জুয়েল চৌধুরী  অগ্নিকান্ডস্থলে ছুঁটে যান।  এ সময় তারা ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারগুলোকে সাহায্য-সহযোগিতার আশ্বাস দেন।

গতকাল রোববার সৈয়দপুর উপজেলা প্রশাসন পক্ষ থেকে প্রতিটি ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারকে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা অধিদপ্তরের তিনটি করে কম্বল ও এক প্যাকেট করে শুকনা খাবার বিতরণ করা হয়েছে। সৈয়দপুর উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা (পিআইও)  মির্জা মো. আবু ছাইদ ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারের সদস্যদের হাতে ওই কম্বল ও খাবার প্যাকেটগুলো তুলে দেন।

জনপ্রিয় সংবাদ

তৃতীয় পক্ষে আন্দোলনে লম্বা ছুটিতে সাবরেজিস্টার, ভোগান্তিতে জমি দাতা ও গ্রহীতারা

সৈয়দপুরে আগুনে চারটি পরিবারের সর্বস্ব পুড়ে ছাঁই

প্রকাশিত ০৮:২২:১৯ অপরাহ্ন, রবিবার, ৩ অগাস্ট ২০২৫

নীলফামারীর সৈয়দপুরে এক ভয়াবহ আগুনে চারটি হিন্দু পরিবারের সর্বস্ব পুড়ে গেছে। শনিবার (২ আগষ্ট) দিবাগত রাত  সোয়া সাতটার দিকে উপজেলার খাতামধুপুর ইউনিয়নের ৫ নম্বর ওয়ার্ডের বালাপাড়ায় ওই অগ্নিকান্ডে সংঘটিত হয়েছে। আগুনের পরিবারগুলোর ধান, চাল, গরু-ছাগল, ঘরে থাকা মূল্যবান আসবাবপত্র, কাপড়-চোপড়,তৈজসপত্রসহ সব কিছু ভস্মীভূত হয়।

ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ প্রায় ২০ লাখ টাকা বলে প্রাথমিকভাবে অনুমান করা হচ্ছে। বর্তমানে আগুনে ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারের সদস্য খোলা আকাশের নিচে বসবাস করছেন। আগুনের সঠিক কারণ জানা যায়নি। তবে বৈদ্যূতিক শটসার্কিট থেকেআগুনের সূত্রপাত হয়েছে বলে প্রাথমিকভাবে অনুমান করা হয়।  গতকাল রোববার উপজেলা প্রশাসন থেকে ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারগুলোকে তিনটি করে কম্বল ও এক প্যাকেট করে শুকনা খাবার বিতরণ করা হয়েছে।

সৈয়দপুর ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স স্টেশন ও ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারের সূত্রে জানা গেছে, ঘটনার দিন শনিবার দিবাগত রাত সোয়া সাতটার দিকে খাতামধুপুর ইউনিয়নের উল্লিখিত এলাকার শ্রী মাদু চন্দ্র রায়ের বাড়ির ঘর থেকে প্রথমে আগুনের সূত্র হয়। আর মুর্হুতেই মধ্যে ওই আগুনের লেলিহান শিখা পাশের হর কুমার রায়, কমলা চন্দ্র  রায় ও হরিশ চন্দ্র রায়ের বাড়ি ছড়িয়ে পড়ে।

এতে পরিবারগুলোর নগদ দুই লাখ চার হাজার টাকা, নয়টি টিনের ঘর, ঘরে থাকা ধান, চাল, আলু, হাঁস-মুরগী, মূল্যবান আসবাবপত্র, তৈজসপত্র,কাপড়-চোপড়সহ সংসারের সবকিছু নিমিষেই পুড়ে ছাঁই হয়ে যায়। ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারের সদস্যরা শুধুমাত্র পরণের কাপড় ছাড়া কোন কিছু রক্ষা করতে পারেননি।

সৈয়দপুর ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স স্টেশনের লিডার মো. সাজেদুল ইসলাম মন্ডল জানান, আগুনের খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছার আগেই স্থানীয় লোকজন আগুন নিয়ন্ত্রনে আনেন। আর বৈদ্যূতিক শটসার্কিট থেকে আগুনের সূত্রপাত হয় বলে ক্ষতিগ্রস্থ পরিবারের বরাত দিয়ে জানান তিনি।

এদিকে, আগুনের খবর পেয়ে সৈয়দপুর উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান রিয়াদ আরফান সরকার রানা ও খাতামধুপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মো. মাসুদ রানা (পাইলট) ও সাবেক চেয়ারম্যান মো. জুয়েল চৌধুরী  অগ্নিকান্ডস্থলে ছুঁটে যান।  এ সময় তারা ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারগুলোকে সাহায্য-সহযোগিতার আশ্বাস দেন।

গতকাল রোববার সৈয়দপুর উপজেলা প্রশাসন পক্ষ থেকে প্রতিটি ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারকে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা অধিদপ্তরের তিনটি করে কম্বল ও এক প্যাকেট করে শুকনা খাবার বিতরণ করা হয়েছে। সৈয়দপুর উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা (পিআইও)  মির্জা মো. আবু ছাইদ ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারের সদস্যদের হাতে ওই কম্বল ও খাবার প্যাকেটগুলো তুলে দেন।