১২:৫৬ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ০৮ ডিসেম্বর ২০২৫

সৈয়দপুরে তরুণ ইয়াসিন আলী হত্যার বিচার দাবিতে সড়ক অবরোধ

নীলফামারীর সৈয়দপুরে গাছ থেকে ঝুলন্ত অবস্থায় তরুণ ইয়াসিন আলীর মরদেহ উদ্ধারের ঘটনার পর উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়েছে স্থানীয় এলাকাজুড়ে। নিহতের পরিবার ও এলাকাবাসী এ ঘটনাকে ‘পরিকল্পিত হত্যা’ দাবি করে বিক্ষোভ ও সড়ক অবরোধ কর্মসূচি পালন করেছেন।

শুক্রবার (১ আগস্ট) বিকেল ৪টার দিকে বাঙালিপুর ইউনিয়নের লক্ষণপুর পাঠানপাড়া থেকে একটি বিক্ষোভ মিছিল বের হয়। মিছিলটি সৈয়দপুর ক্যান্টনমেন্ট পাবলিক স্কুল অ্যান্ড কলেজের সামনে এসে সৈয়দপুর-পার্বতীপুর মহাসড়কে অবস্থান নেয় এবং প্রায় এক ঘণ্টা সড়ক অবরোধ করে রাখে। এতে ওই রুটে তীব্র যানজটের সৃষ্টি হয়।

বিক্ষোভে বক্তব্য রাখেন নিহত ইয়াসিনের মা মেনহারুল, বোন মিনা, এলাকাবাসী আজহার, রহমত খানসহ অনেকে। তারা অভিযোগ করে বলেন, ইয়াসিনের সঙ্গে স্থানীয় এক তরুণীর প্রেমের সম্পর্ক ছিল। তরুণীর পরিবার বিষয়টি মেনে না নিয়ে তাকে নানা সময় হুমকি দিয়ে আসছিল। বক্তারা দাবি করেন, ঘটনার দিন রাতে মেয়ের পরিবারের লোকজন ইয়াসিনকে ফোনে ডেকে নেয় এবং পরে তাকে হত্যা করে শহরের বগুড়া ক্যানেলের সেলফির মোড় এলাকায় একটি আকাশমণি গাছের ডালে মরদেহ ঝুলিয়ে রাখে।

এ সময় নিহতের পরিবার ও সহপাঠীরা অভিযোগ করেন, প্রেমের সম্পর্ককে কেন্দ্র করে আগেও ইয়াসিনকে প্রাণনাশের হুমকি দেওয়া হয়েছিল। মেয়ের পরিবারের পক্ষ থেকে বিষয়টি ‘চেপে যেতে’ চাপ দেওয়া হয়েছিল বলেও দাবি করেন তারা।

বিক্ষোভে একপর্যায়ে পরিস্থিতি উত্তপ্ত হয়ে উঠলে পুলিশ ও সেনাবাহিনীর সদস্যরা ঘটনাস্থলে পৌঁছান। তারা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনেন এবং সড়কে যান চলাচল স্বাভাবিক করেন। পরে নিহতের পরিবার ও বিক্ষুব্ধ জনতার সঙ্গে কথা বলে সুষ্ঠু তদন্ত ও বিচারের আশ্বাস দেন।

উল্লেখ্য, বৃহস্পতিবার (৩১ জুলাই) সকাল ৯টার দিকে বগুড়া ক্যানেলের সেলফির মোড় এলাকায় একটি গাছের ডালে ঝুলন্ত অবস্থায় ইয়াসিন আলীর (১৯) মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। ইয়াসিন সৈয়দপুর উপজেলার বাঙালিপুর ইউনিয়নের লক্ষণপুর পাঠানপাড়া এলাকার মিনারুল হকের ছেলে। ঘটনাটি নিয়ে এলাকাজুড়ে শোক ও ক্ষোভ বিরাজ করছে।

জনপ্রিয় সংবাদ

তৃতীয় পক্ষে আন্দোলনে লম্বা ছুটিতে সাবরেজিস্টার, ভোগান্তিতে জমি দাতা ও গ্রহীতারা

সৈয়দপুরে তরুণ ইয়াসিন আলী হত্যার বিচার দাবিতে সড়ক অবরোধ

প্রকাশিত ১১:৫৩:৫১ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২ অগাস্ট ২০২৫

নীলফামারীর সৈয়দপুরে গাছ থেকে ঝুলন্ত অবস্থায় তরুণ ইয়াসিন আলীর মরদেহ উদ্ধারের ঘটনার পর উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়েছে স্থানীয় এলাকাজুড়ে। নিহতের পরিবার ও এলাকাবাসী এ ঘটনাকে ‘পরিকল্পিত হত্যা’ দাবি করে বিক্ষোভ ও সড়ক অবরোধ কর্মসূচি পালন করেছেন।

শুক্রবার (১ আগস্ট) বিকেল ৪টার দিকে বাঙালিপুর ইউনিয়নের লক্ষণপুর পাঠানপাড়া থেকে একটি বিক্ষোভ মিছিল বের হয়। মিছিলটি সৈয়দপুর ক্যান্টনমেন্ট পাবলিক স্কুল অ্যান্ড কলেজের সামনে এসে সৈয়দপুর-পার্বতীপুর মহাসড়কে অবস্থান নেয় এবং প্রায় এক ঘণ্টা সড়ক অবরোধ করে রাখে। এতে ওই রুটে তীব্র যানজটের সৃষ্টি হয়।

বিক্ষোভে বক্তব্য রাখেন নিহত ইয়াসিনের মা মেনহারুল, বোন মিনা, এলাকাবাসী আজহার, রহমত খানসহ অনেকে। তারা অভিযোগ করে বলেন, ইয়াসিনের সঙ্গে স্থানীয় এক তরুণীর প্রেমের সম্পর্ক ছিল। তরুণীর পরিবার বিষয়টি মেনে না নিয়ে তাকে নানা সময় হুমকি দিয়ে আসছিল। বক্তারা দাবি করেন, ঘটনার দিন রাতে মেয়ের পরিবারের লোকজন ইয়াসিনকে ফোনে ডেকে নেয় এবং পরে তাকে হত্যা করে শহরের বগুড়া ক্যানেলের সেলফির মোড় এলাকায় একটি আকাশমণি গাছের ডালে মরদেহ ঝুলিয়ে রাখে।

এ সময় নিহতের পরিবার ও সহপাঠীরা অভিযোগ করেন, প্রেমের সম্পর্ককে কেন্দ্র করে আগেও ইয়াসিনকে প্রাণনাশের হুমকি দেওয়া হয়েছিল। মেয়ের পরিবারের পক্ষ থেকে বিষয়টি ‘চেপে যেতে’ চাপ দেওয়া হয়েছিল বলেও দাবি করেন তারা।

বিক্ষোভে একপর্যায়ে পরিস্থিতি উত্তপ্ত হয়ে উঠলে পুলিশ ও সেনাবাহিনীর সদস্যরা ঘটনাস্থলে পৌঁছান। তারা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনেন এবং সড়কে যান চলাচল স্বাভাবিক করেন। পরে নিহতের পরিবার ও বিক্ষুব্ধ জনতার সঙ্গে কথা বলে সুষ্ঠু তদন্ত ও বিচারের আশ্বাস দেন।

উল্লেখ্য, বৃহস্পতিবার (৩১ জুলাই) সকাল ৯টার দিকে বগুড়া ক্যানেলের সেলফির মোড় এলাকায় একটি গাছের ডালে ঝুলন্ত অবস্থায় ইয়াসিন আলীর (১৯) মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। ইয়াসিন সৈয়দপুর উপজেলার বাঙালিপুর ইউনিয়নের লক্ষণপুর পাঠানপাড়া এলাকার মিনারুল হকের ছেলে। ঘটনাটি নিয়ে এলাকাজুড়ে শোক ও ক্ষোভ বিরাজ করছে।