১০:৩৯ অপরাহ্ন, রবিবার, ০৭ ডিসেম্বর ২০২৫

সৈয়দপুরে হত্যা মামলার রহস্য উদ্ঘাটন আসামী আটক

নীলফামারীর সৈয়দপুর শহরের চাঁদনগর এলাকায় সংঘটিত একটি ক্লুুুুুুলেস হত্যা মামলার রহস্য উদ্ঘাটন করেছেন থানা পুলিশ। সেই সাথে একজন আসামীকে আটক করেছে পুলিশ। আটককৃত ব্যাক্তি শামীম বেগ (৫২) ।

সে শহরের চাঁদনগর এলাকার মৃত. নঈম বেগের ছেলে। পাশাপাশি ওই হত্যার কাজে ব্যবহৃত দেশীয় অস্ত্র ও চুরি করে নিয়ে যাওয়া একটি ৩২ ইঞ্চি এলইডি টিভি ও ল্যাপটপ উদ্ধার করেছেন সৈয়দপুর থানা পুলিশ। গতকাল (২৬ জুলাই) শনিবার সৈয়দপুর থানা অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. ফইম উদ্দিন এ কথা জানিয়েছেন।

পুলিশ সূত্রে জানা যায়। হত্যাকান্ডের ঘটনাস্থলে অদূরে থাকা একটি ব্যবসা প্রতিষ্ঠান থেকে সিসিটিভি ফুটেজ সংগ্রহ করেন। পরবর্তীতে আধুনিক তথ্য প্রযুক্তি ব্যবহারের মাধ্যমে বৃদ্ধা ছামছুন নেহার হত্যাকান্ডে একই এলাকার বাসিন্দা একটি হত্যা মামলায় যাবজ্জীবন সাজা খেটে গত ২০২০ সালে জেল থেকে বেরিয়ে আসা শামীম বেগকে সনাক্ত করেন পুলিশ। পরবর্তীতে গত ২০ জুলাই শামীম বেগকে ওই হত্যা ঘটনায় জড়িত সন্দেহভাজন হিসেবে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।

এরপর বৃদ্ধা ছামছুন নেহার হত্যার ঘটনার বিষয়ে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য তাকে নীলফামারী আদালতে সোপর্দ করে দুই দিনের রিমান্ডের আবেদন করেন মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ও সৈয়দপুর থানার উপপরিদর্শক (এসআই) মো. মেহেদী হাসান খান মারুফ। তাঁর দুই দিনে রিমান্ড মঞ্জুর করেন।

পরবর্তীতে গত ২৪ জুলাই রিমান্ডে এনে জিজ্ঞাসাবাদে ছামছুন নেহাকে পরিকল্পিতভাবে হত্যার কথা স্বীকার করেন শামীম বেগ। এরপর তার স্বীকারোক্তি ও তার দেয়া তথ্য মতে সৈয়দপুর শহরে গোলাহাট এলাকা থেকে চুরি করে নিয়ে যাওয়া এলইডি টিভি ও ল্যাপটপটি উদ্ধার করেন পুলিশ।

উল্লেখ থাকে বিগত ২০১৮ সাল থেকে সৈয়দপুর তুলশীরাম সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষিকা রহিলা পারভীনের সঙ্গে তাঁর চাঁদনগর বাসায় বসবাস করছিলেন ওই বৃদ্ধা মহিলা। গত ১ জুলাই (মঙ্গলবার) বৃদ্ধা ছামসুন নেহাকে বাসায় একা পেয়ে মাথায় আঘাক করে হত্যা করা হয়। এ ঘটনায় নিহতের ছেলে সামসুল হক (৪৫) বাদী হয়ে অজ্ঞাতনামা আসামীদের বিরুদ্ধে থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন।

সৈয়দপুর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. ফইম উদ্দিন জানান, এ হত্যাকান্ডের মামলাটি আমরা অত্যন্ত গুরত্ব দিয়ে অল্প সময়ে ঘটনার প্রকৃত রহস্য ও এর সঙ্গে জড়িত ব্যকিত্তকে গ্রেপ্তার করতে সক্ষম হয়েছি।

জনপ্রিয় সংবাদ

তৃতীয় পক্ষে আন্দোলনে লম্বা ছুটিতে সাবরেজিস্টার, ভোগান্তিতে জমি দাতা ও গ্রহীতারা

সৈয়দপুরে হত্যা মামলার রহস্য উদ্ঘাটন আসামী আটক

প্রকাশিত ০৬:৩৩:৩৭ অপরাহ্ন, রবিবার, ২৭ জুলাই ২০২৫

নীলফামারীর সৈয়দপুর শহরের চাঁদনগর এলাকায় সংঘটিত একটি ক্লুুুুুুলেস হত্যা মামলার রহস্য উদ্ঘাটন করেছেন থানা পুলিশ। সেই সাথে একজন আসামীকে আটক করেছে পুলিশ। আটককৃত ব্যাক্তি শামীম বেগ (৫২) ।

সে শহরের চাঁদনগর এলাকার মৃত. নঈম বেগের ছেলে। পাশাপাশি ওই হত্যার কাজে ব্যবহৃত দেশীয় অস্ত্র ও চুরি করে নিয়ে যাওয়া একটি ৩২ ইঞ্চি এলইডি টিভি ও ল্যাপটপ উদ্ধার করেছেন সৈয়দপুর থানা পুলিশ। গতকাল (২৬ জুলাই) শনিবার সৈয়দপুর থানা অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. ফইম উদ্দিন এ কথা জানিয়েছেন।

পুলিশ সূত্রে জানা যায়। হত্যাকান্ডের ঘটনাস্থলে অদূরে থাকা একটি ব্যবসা প্রতিষ্ঠান থেকে সিসিটিভি ফুটেজ সংগ্রহ করেন। পরবর্তীতে আধুনিক তথ্য প্রযুক্তি ব্যবহারের মাধ্যমে বৃদ্ধা ছামছুন নেহার হত্যাকান্ডে একই এলাকার বাসিন্দা একটি হত্যা মামলায় যাবজ্জীবন সাজা খেটে গত ২০২০ সালে জেল থেকে বেরিয়ে আসা শামীম বেগকে সনাক্ত করেন পুলিশ। পরবর্তীতে গত ২০ জুলাই শামীম বেগকে ওই হত্যা ঘটনায় জড়িত সন্দেহভাজন হিসেবে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।

এরপর বৃদ্ধা ছামছুন নেহার হত্যার ঘটনার বিষয়ে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য তাকে নীলফামারী আদালতে সোপর্দ করে দুই দিনের রিমান্ডের আবেদন করেন মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ও সৈয়দপুর থানার উপপরিদর্শক (এসআই) মো. মেহেদী হাসান খান মারুফ। তাঁর দুই দিনে রিমান্ড মঞ্জুর করেন।

পরবর্তীতে গত ২৪ জুলাই রিমান্ডে এনে জিজ্ঞাসাবাদে ছামছুন নেহাকে পরিকল্পিতভাবে হত্যার কথা স্বীকার করেন শামীম বেগ। এরপর তার স্বীকারোক্তি ও তার দেয়া তথ্য মতে সৈয়দপুর শহরে গোলাহাট এলাকা থেকে চুরি করে নিয়ে যাওয়া এলইডি টিভি ও ল্যাপটপটি উদ্ধার করেন পুলিশ।

উল্লেখ থাকে বিগত ২০১৮ সাল থেকে সৈয়দপুর তুলশীরাম সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষিকা রহিলা পারভীনের সঙ্গে তাঁর চাঁদনগর বাসায় বসবাস করছিলেন ওই বৃদ্ধা মহিলা। গত ১ জুলাই (মঙ্গলবার) বৃদ্ধা ছামসুন নেহাকে বাসায় একা পেয়ে মাথায় আঘাক করে হত্যা করা হয়। এ ঘটনায় নিহতের ছেলে সামসুল হক (৪৫) বাদী হয়ে অজ্ঞাতনামা আসামীদের বিরুদ্ধে থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন।

সৈয়দপুর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. ফইম উদ্দিন জানান, এ হত্যাকান্ডের মামলাটি আমরা অত্যন্ত গুরত্ব দিয়ে অল্প সময়ে ঘটনার প্রকৃত রহস্য ও এর সঙ্গে জড়িত ব্যকিত্তকে গ্রেপ্তার করতে সক্ষম হয়েছি।