০৭:৫৮ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ০৮ ডিসেম্বর ২০২৫

সৈয়দপুরের কোভিড-১৯ প্রকল্পের কাজের অগ্রগতি পরিদর্শন করলেন বিশ্বব্যাংকের প্রতিনিধি দল

সৈয়দপুরে লোকাল গভর্নমেন্ট কোভিড-১৯ রেসপন্স এ্যান্ড রিকভারি প্রজেক্ট (এলজিসিপিআরআরপি) এর আওতায় আরসিসি রাস্তাঘাট ও ড্রেন নির্মানের মাধ্যমে পৌর এলাকায় উন্নয়নমূলক কাজ অব্যাহত রয়েছে। আর এসব কাজের অগ্রগতি দেখতে প্রকল্প এলাকা পরিদর্শন করেছেন ঢাকাস্থ বিশ্বব্যাংকের প্রতিনিধি দল। পরিদর্শন কালে কাজের অগ্রগতি ও গুনগত মান দেখে সন্তোষ প্রকাশ করেন দলটির সদস্যরা। 

মঙ্গলবার (৮ জুলাই) সকালে শহরের সৈয়দপুর প্লাজা সংলগ্ন আজিজার রহমান স্ট্রীট, হাতিখানা মাছুশা পাড়া ও শহীদ ক্যাপ্টেন মৃধা শামসুল হুদা সড়কের অফিসার্স কলোনী এলাকায় আরসিসি সড়ক ও ড্রেন নির্মাণ অগ্রগতি এবং কাজের গুনগত মান দেখতে পরিদর্শনে আসে দলটি।

লোকাল গভর্নমেন্ট কোভিড-১৯ রেসপন্স এ্যান্ড রিকভারি প্রজেক্ট (এলজিসিআরআরপি) এর উপ পরিচালক মো. সাজ্জাদ কবীরের নেতৃত্বে এসব উন্নয়নমূলক কাজ পরিদর্শন করেন সিনিয়র এনভায়রনমেন্টাল এ্যান্ড স্যোশাল সেফগার্ড স্পেশালিষ্ট মো. আবুল কালাম আজাদ ও প্রতিষ্ঠানটির স্ট্রাকচারাল ইঞ্জিনিয়ার মো. নাজমুল

হক। এসময় তাদের সাথে ছিলেন রংপুরের কনসালটেন্ট দলের সদস্যরা। বিশ্বব্যাংকের প্রতিনিধি দলের সদস্যরা উন্নয়ন কাজ চলা ওইসব এলাকা পরিদর্শনকালে আরসিসি সড়ক ও ড্রেনের কাজের বিষয়ে সংশ্লিষ্ট এলাকার বাসিন্দাদের সাথে কথা বলেন। স্থানীয়রা কাজের অগ্রগতি ও নির্মাণ সামগ্রী ব্যবহার নিয়ে তাদের অভিমত ব্যক্ত করেন। পরিদর্শনকারী দল তাদের অভিমত লিপিবদ্ধসহ কাজের অগ্রগতি ও গুনগত মান নিয়ে সন্তোষ প্রকাশ করেন। দলটির সদস্যরা বলেন, বিশ্ব ব্যাংকের অর্থায়নে এলাকার উন্নয়নে এসব কাজ হচ্ছে। তাই উন্নয়ন কাজে যাতে কোন অনিয়ম না হয়, সেজন্য সকলকে সচেতন থাকতে বলেন।

পরিদর্শনকালে অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন সৈয়দপুর পৌরসভার নির্বাহী প্রকৌশলী শহিদুল ইসলাম, সহকারী প্রকৌশলী আব্দুল খালেক, উপ সহকারী প্রকৌশলী কামরুল ইসলাম ও মাসুম সাজ্জাদসহ অন্যান্যরা।

পরে প্রতিনিধি দল পৌরসভার সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের সাথে কাজের পর্যালোচনা সভা করেন। একইদিন বিকেলে তারা শহরের বিভিন্ন ওয়ার্ডে চলা অন্যান্য প্রকল্পের কাজ পরিদর্শন করেন।

ওই প্রকল্পের আওতায় ২০২৪-২০২৫ অর্থবছরে ২২ নং প্যাকেজে আরসিসি সড়ক ও ড্রেন নির্মাণে কাজ করছে নীলফামারী মেসার্স সাইকি বিল্ডার্স নামে একটি ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান। প্রতিষ্ঠানের কর্ণধার এস এম  সাইফুল্লাহ রুবেল বলেন, আমরা বিশ্ব ব্যাংক ও সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের সকল নিয়ম মেনেই কাজ করছি। এতে সার্বক্ষণিক তদারকি করছেন পৌরসভার প্রকৌশল বিভাগের কর্মকর্তারা।

সৈয়দপুর পৌরসভার সুত্র জানায়, কোভিড- ১৯ প্রকল্পের আওতায় পৌর এলাকার ১৫ টি ওয়ার্ডে আরসিসি সড়ক,ড্রেন ও ডাস্টবিন নির্মাণ কাজ চলছে। এসব কাজে ব্যায় হচ্ছে প্রায় ২০ কোটি ৫১ লাখ টাকা। কাজের অগ্রগতি শতকরা ৭০ শতাংশ ছাড়িয়েছে। খুব শিগগির বাকি কাজ সম্পন্ন হবে বলে জানিয়েছেন প্রতিষ্ঠানটির দায়িত্বশীল কর্মকর্তারা ।

জনপ্রিয় সংবাদ

তৃতীয় পক্ষে আন্দোলনে লম্বা ছুটিতে সাবরেজিস্টার, ভোগান্তিতে জমি দাতা ও গ্রহীতারা

সৈয়দপুরের কোভিড-১৯ প্রকল্পের কাজের অগ্রগতি পরিদর্শন করলেন বিশ্বব্যাংকের প্রতিনিধি দল

প্রকাশিত ১১:১৩:০৫ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১০ জুলাই ২০২৫

সৈয়দপুরে লোকাল গভর্নমেন্ট কোভিড-১৯ রেসপন্স এ্যান্ড রিকভারি প্রজেক্ট (এলজিসিপিআরআরপি) এর আওতায় আরসিসি রাস্তাঘাট ও ড্রেন নির্মানের মাধ্যমে পৌর এলাকায় উন্নয়নমূলক কাজ অব্যাহত রয়েছে। আর এসব কাজের অগ্রগতি দেখতে প্রকল্প এলাকা পরিদর্শন করেছেন ঢাকাস্থ বিশ্বব্যাংকের প্রতিনিধি দল। পরিদর্শন কালে কাজের অগ্রগতি ও গুনগত মান দেখে সন্তোষ প্রকাশ করেন দলটির সদস্যরা। 

মঙ্গলবার (৮ জুলাই) সকালে শহরের সৈয়দপুর প্লাজা সংলগ্ন আজিজার রহমান স্ট্রীট, হাতিখানা মাছুশা পাড়া ও শহীদ ক্যাপ্টেন মৃধা শামসুল হুদা সড়কের অফিসার্স কলোনী এলাকায় আরসিসি সড়ক ও ড্রেন নির্মাণ অগ্রগতি এবং কাজের গুনগত মান দেখতে পরিদর্শনে আসে দলটি।

লোকাল গভর্নমেন্ট কোভিড-১৯ রেসপন্স এ্যান্ড রিকভারি প্রজেক্ট (এলজিসিআরআরপি) এর উপ পরিচালক মো. সাজ্জাদ কবীরের নেতৃত্বে এসব উন্নয়নমূলক কাজ পরিদর্শন করেন সিনিয়র এনভায়রনমেন্টাল এ্যান্ড স্যোশাল সেফগার্ড স্পেশালিষ্ট মো. আবুল কালাম আজাদ ও প্রতিষ্ঠানটির স্ট্রাকচারাল ইঞ্জিনিয়ার মো. নাজমুল

হক। এসময় তাদের সাথে ছিলেন রংপুরের কনসালটেন্ট দলের সদস্যরা। বিশ্বব্যাংকের প্রতিনিধি দলের সদস্যরা উন্নয়ন কাজ চলা ওইসব এলাকা পরিদর্শনকালে আরসিসি সড়ক ও ড্রেনের কাজের বিষয়ে সংশ্লিষ্ট এলাকার বাসিন্দাদের সাথে কথা বলেন। স্থানীয়রা কাজের অগ্রগতি ও নির্মাণ সামগ্রী ব্যবহার নিয়ে তাদের অভিমত ব্যক্ত করেন। পরিদর্শনকারী দল তাদের অভিমত লিপিবদ্ধসহ কাজের অগ্রগতি ও গুনগত মান নিয়ে সন্তোষ প্রকাশ করেন। দলটির সদস্যরা বলেন, বিশ্ব ব্যাংকের অর্থায়নে এলাকার উন্নয়নে এসব কাজ হচ্ছে। তাই উন্নয়ন কাজে যাতে কোন অনিয়ম না হয়, সেজন্য সকলকে সচেতন থাকতে বলেন।

পরিদর্শনকালে অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন সৈয়দপুর পৌরসভার নির্বাহী প্রকৌশলী শহিদুল ইসলাম, সহকারী প্রকৌশলী আব্দুল খালেক, উপ সহকারী প্রকৌশলী কামরুল ইসলাম ও মাসুম সাজ্জাদসহ অন্যান্যরা।

পরে প্রতিনিধি দল পৌরসভার সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের সাথে কাজের পর্যালোচনা সভা করেন। একইদিন বিকেলে তারা শহরের বিভিন্ন ওয়ার্ডে চলা অন্যান্য প্রকল্পের কাজ পরিদর্শন করেন।

ওই প্রকল্পের আওতায় ২০২৪-২০২৫ অর্থবছরে ২২ নং প্যাকেজে আরসিসি সড়ক ও ড্রেন নির্মাণে কাজ করছে নীলফামারী মেসার্স সাইকি বিল্ডার্স নামে একটি ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান। প্রতিষ্ঠানের কর্ণধার এস এম  সাইফুল্লাহ রুবেল বলেন, আমরা বিশ্ব ব্যাংক ও সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের সকল নিয়ম মেনেই কাজ করছি। এতে সার্বক্ষণিক তদারকি করছেন পৌরসভার প্রকৌশল বিভাগের কর্মকর্তারা।

সৈয়দপুর পৌরসভার সুত্র জানায়, কোভিড- ১৯ প্রকল্পের আওতায় পৌর এলাকার ১৫ টি ওয়ার্ডে আরসিসি সড়ক,ড্রেন ও ডাস্টবিন নির্মাণ কাজ চলছে। এসব কাজে ব্যায় হচ্ছে প্রায় ২০ কোটি ৫১ লাখ টাকা। কাজের অগ্রগতি শতকরা ৭০ শতাংশ ছাড়িয়েছে। খুব শিগগির বাকি কাজ সম্পন্ন হবে বলে জানিয়েছেন প্রতিষ্ঠানটির দায়িত্বশীল কর্মকর্তারা ।