নীলফামারীর কিশোরগঞ্জ উপজেলার ১নং বড়ভিটা ইউনিয়নের ২নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য রফিকুল ইসলামের ছেলে বড়ভিটা ইউনিয়ন পরিষদ ডিজিটাল সেন্টারের উদ্যোক্তা পায়রুল ইসলামের ব্যবহারকৃত চুরি যাওয়া এ্যাপাসি ১৬০ সিসি মটর সাইকেলটি ৩মাস পর লালমনিরহাট জেলার হাতিবান্ধা থানা পুলিশ আটক করতে সক্ষম হয়েছে।
থানায় অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, গত ১৯ মে/২৫ইং রাত আনুমানিক ১১টা ৪৫ মিনিটে পায়রুল ইসলাম উত্তর বড়ভিটা মধ্যপাড়া নিজ বাড়িতে ফিরে এসে যথারীতি মটর সাইকেলটি ঘরে রেখে ঘুমিয়ে পরে।
ওই রাত্রে সারারাত মূশল ধারে বৃষ্টি হয়। ভোর আনুমানিক সারে ৪টার দিকে দেখতে পায় বাড়ির বাহিরের গেটের দরজার খোলা ও তালা কাটা এবং মটর সাইকেল যে ঘরে ছিল সেই ঘরের দরজার তালাও কাটা ঘরের ভিতরে মটর সাইকেলটি নাই।
পরদিন, ২০মে/২৫ইং পায়রুল ইসলাম মটর সাইকেল চুরির বিষয়ে উল্লেখ করে কিশোরগঞ্জ থানায় অজ্ঞাতনামা বিবাদীদের বিরুদ্ধে একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন।
চুরি যাওয়া মটর সাইকেলের বর্ণনায় উল্লেখ করা হয়েছে,
টিভিএস এ্যাপাসি আরটিআর ১৬০সিসি, যাহার রেজিঃ নং-নীলফামারী ল-১১-৩৯১৫, ইঞ্জিন নং-OE4HJ2537021চ্যাচিস নং-MD634KE48J2H36386, রং-লাল, যাহার বাজার মূল্য ১ লাখ ৭৫ হাজার টাকা।
পায়রুল ইসলামের বাবা রফিকুল ইসলাম মেম্বার জানান, মটর সাইকেল আটকের খবর পেয়ে আমি হাতিবান্ধা থানায় গিয়ে মটর সাইকেলটি দেখে এসেছি। মটর সাইকেলটি আমার ছেলের। চোরেরা মটর সাইকেলটির সিট ও নম্বর প্লেট পরিবর্তন করেছে।
তিনি আরও জানান, হাতিবান্ধা থানার ওই মামলার তদন্ত কর্মকর্তা সাব- ইন্সপেক্টর ফরহাদ হোসেন তাকে জানিয়েছেন, এই থানা থেকে একটি প্রতিবেদন কিশোরগঞ্জ থানায় পাঠানো হবে, তারপর ওই থানা থেকে আমাদেরকে জানানোর পর সিন্ধান্ত নেয়া হবে।
কিশোরগঞ্জ থানা মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা সাব- ইন্সপেক্টর আমিনুল ইসলাম মটর সাইকেল চুরির বিষয়ে ঘটনাস্থল তদন্ত করা হয়েছে বলে জানান এবং চুরির বিষয়টি নিশ্চিত করেন।
এ বিষয়ে থানায় নিয়মিত চুরির মামলা হয়েছে। যাহার মামলা নং-২৯, তারিখ-২৪-০৮-২৫ইং।
হাতিবান্ধা থানা থেকে আমাদের কাছে জানতে চাইলে চুরির বিষয়ে মামলার বিষয়টি তাদেরকে অবগত করব।
কিশোরগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ আশরাফুল ইসলাম জানান, মামলাটি আমিনুল ইসলাম তদন্ত করেছেন। আপনি তার সাথে কথা বলে বিস্তারিত জেনে নেন।
























