নীলফামারীর কিশোরগঞ্জ উপজেলায় তীব্র যানজটের কারনে নাকাল পথচারীরা। কিশোরগঞ্জ থানা মোড় হতে ঝড়নার মোড় পর্যন্ত ২শ মিটার সড়কে প্রতিদিন দীর্ঘ যানজট লেগেই থাকে। ট্রাফিক ব্যাবস্থা না থাকায় যানজটে প্রতিনিয়ত ভোগান্তিতে পড়তে হচ্ছে স্থানীয় চলাচলকারী স্কুল কলেজের শিক্ষার্থী পথচারীসহ যাত্রী সাধারনকে। যানজট নিরসনে থানা পুলিশসহ প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন এলাকাবাসী।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা গেছে, সকাল ১০ টার পর থেকে কিশোরগঞ্জ রংপুর মহাসড়কের ঝড়নার মোড় হতে কিশোরগঞ্জ থানা মোড় পর্যন্ত মহাসড়কের দুই ধার চলে যায় কতিপয় ব্যাবসায়ী ও যানবাহনের দখলে। সড়কের দুইপাশ দখল করে গড়ে উঠে ভ্রাম্যমান দোকান। সেইসাথে রয়েছে ব্যাটারী চালিত ও সিএনজি চালিত অটোরিকসার যততত্র পাকিং। অটো ও সিএনজি চালকরা নিয়ম নীতির তোয়াক্কা না করে সড়কের মাঝখানে অটো ও সিএনজি রেখে যাত্রী উঠানামা করার কারনে দীর্ঘ যানজটের সৃষ্টি হয়।
একদিকে মহাসড়ক দখল করে ভ্যাম্যমান দোকান অপর দিকে যত্রতত্র অটো সিএনজি ও চার্জার ভ্যান পাকিং করার কারনে যানজটের জট খুলছে না ফলে দিন দিন দুর্ভোগ বেড়েই চলছে কিশোরগঞ্জবাসীর। উপজেলা আইনশৃঙ্খলার মাসিক সভায় প্রতিমাসে সড়কে যানজটের বিষয়ে নিয়মিত আলোচনা হলেও উত্তরন নেই।
কিশোরগঞ্জ বাজারের বিশিষ্ট ব্যাবসায়ী লুৎফর রহমান লুতু বলেন, সড়ক দখল করে ভাসমান দোকান ও সড়কের উপর যততত্র ব্যাটারী চালিত অটোরিকসা চালকরা অটো রেখে যাত্রী উঠানামা করার কারনে দীর্ঘ সময় যানজট লেগে থাকে। কিশোরগঞ্জ থানা মোড় হতে বিএনপি অফিস সংলগ্ন কামারপাড়া মোড়, ফুটভিলেজ হোটেল থেকে বাইতুন্নুর জামে মসজিদ ও ঝড়নার মোড় হতে কিশোরগঞ্জ সরকারী ডিগ্রী কলেজসহ ব্যাস্ততম স্থানগুলোতে যানজট বেশি দেখা যাচ্ছে। ট্রাফিট পুলিশ না থাকায় জানজটের জটে আমরা ক্লান্ত হয়ে পড়েছি।
কিশোরগঞ্জ সদর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দী গ্রেনেট বাবু বলেন, কিশোরগঞ্জ বাজারে যানজটের মুল কারন হচ্ছে যততত্র ব্যাটারী চালিত অটো রিকসা দাড় করানো। অটো ও সিএনজির যাত্রী উঠানামার জন্য নির্ধারিত ষ্ট্যান নেই। সে কারনে অটো চালকরা যেখানে সেখানে সড়কের উপর অটো দাড় করিয়ে যাত্রী পরিবহন করে থাকে। সে জন্য যানজট বেশি হচ্ছে। এ বিষয়ে পুলিশকে বার বার বলেছি কিন্তু তারা কোন কাজ করছেনা।
কিশোরগঞ্জ প্রেসক্লাবের সভাপতি আবু হাসান শেখ তনা বলেন, কিশোরগঞ্জ বাজারের যানজটের সবচেয়ে বড় কারন হলো ঢাকাগামী যাত্রীবাহী বাসগুলো। টেংমারী,জলঢাকা,মীরগঞ্জ থেকে প্রত্যহ ১০ থেকে ১৫ টি যাত্রীবাহী বাস ঢাকায় যাতায়াত করে থাকে। এই গাড়িগুলোতে যাত্রী উঠানোর নির্ধারিত কোন জায়গা নেই। গাড়ীগুলো সন্ধ্যা থেকে রাত ১১ টা পর্যন্ত সড়কের উপরে দাড়িয়ে থেকে যাত্রী পরিবহন করে। এ কারনে জানজট অনেক বেশি হয়।
কিশোরগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ আশরাফুল ইসলাম বলেন, কিশোরগঞ্জ বাজারের যানজটের কারনে সবাই অতিষ্ট। প্রতিদিন সকাল থেকে রাত পর্যন্ত যানজটের কারনে মানুষ চরম দুর্ভোগে পড়েছে স্বীকার করে তিনি বলেন, এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী অফিসারের সাথে কথা বলে ব্যাবস্থা গ্রহন করা হবে।
উপজেলা নির্বাহী অফিসার প্রীতম সাহার সাথে কথা বললে তিনি বলেন, কিশোরগঞ্জ বাজারের যানজট নিরসনে স্থায়ীভাবে ব্যাবস্থা গ্রহনের জন্য স্থানীয় জনপ্রতিনিধি,সাংবাদিক, সুধিজন, রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দসহ সকলের সাথে আলোচনা করে প্রয়োজনীয় ব্যাবস্থা গ্রহন করা হবে।


























