০৮:১৪ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ০৭ ডিসেম্বর ২০২৫

চুরি-অবহেলায় হারাচ্ছে ইতিহাসের স্মারক

নীলফামারীর ডোমারে অবস্থিত মুক্তিযুদ্ধ স্মৃতি সৌধ অবহেলা ও রক্ষণাবেক্ষণের অভাবে বিলীন হতে চলেছে। স্বাধীনতার ইতিহাস ও মুক্তিযোদ্ধাদের ত্যাগকে স্মরণে রাখতে নির্মিত এ স্থাপনাটি আজ চোর-চক্রের দৌরাত্ম্যে প্রায় ধ্বংসের পথে।

স্থানীয়রা জানান, হেরোইন, গাঁজাখোর ও ছিচকে চোরেরা একের পর এক সৌধের মূল্যবান উপকরণ চুরি করে নিচ্ছে। ইতোমধ্যে প্রধান গেটের একটি পাল্লা, ভেতরের দুটি বেঞ্চ (বাদরু), দুটি টয়লেটের সব সরঞ্জাম, বৈদ্যুতিক সামগ্রী (বাল্ব, সকেট, সার্কুলার বোর্ড) এবং শিশুদের খেলার জন্য রাখা দোলনা ও স্টিলের বানডোরিগুলো পর্যন্ত চুরি হয়ে গেছে।

অভিযোগ রয়েছে, স্মৃতিসৌধের ভেতরে এখন মাদকসেবীদের আখড়া হয়ে উঠেছে। দর্শনার্থী ও স্থানীয়রা বলছেন, দীর্ঘদিন ধরে কোনো রকম রক্ষণাবেক্ষণ নেই। চারপাশে নেই কোনো পাহারা বা সিসিটিভি ক্যামেরা। ফলে চুরি ও ধ্বংসযজ্ঞ বেড়েই চলেছে।

স্থানীয়রা আরও বলেন, প্রতিবার চুরি হলেও প্রশাসনের পক্ষ থেকে কোনো কার্যকর ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি। তারা দ্রুত সৌধটির পুনর্নির্মাণ, নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার এবং চুরি হওয়া সামগ্রী উদ্ধারের দাবি জানিয়েছেন।

তাদের মতে, জরুরি ভিত্তিতে প্রশাসনের পদক্ষেপ না নিলে ডোমারের মুক্তিযুদ্ধ স্মৃতি সৌধ আর গৌরব ধরে রাখতে পারবে না।

জনপ্রিয় সংবাদ

নীলফামারীতে বাংলাদেশ রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটি ইউনিটের কার্যনির্বাহী কমিটির নির্বাচন-২০২৫ অনুষ্ঠিত

চুরি-অবহেলায় হারাচ্ছে ইতিহাসের স্মারক

প্রকাশিত ০৯:০৮:১৭ অপরাহ্ন, সোমবার, ৬ অক্টোবর ২০২৫

নীলফামারীর ডোমারে অবস্থিত মুক্তিযুদ্ধ স্মৃতি সৌধ অবহেলা ও রক্ষণাবেক্ষণের অভাবে বিলীন হতে চলেছে। স্বাধীনতার ইতিহাস ও মুক্তিযোদ্ধাদের ত্যাগকে স্মরণে রাখতে নির্মিত এ স্থাপনাটি আজ চোর-চক্রের দৌরাত্ম্যে প্রায় ধ্বংসের পথে।

স্থানীয়রা জানান, হেরোইন, গাঁজাখোর ও ছিচকে চোরেরা একের পর এক সৌধের মূল্যবান উপকরণ চুরি করে নিচ্ছে। ইতোমধ্যে প্রধান গেটের একটি পাল্লা, ভেতরের দুটি বেঞ্চ (বাদরু), দুটি টয়লেটের সব সরঞ্জাম, বৈদ্যুতিক সামগ্রী (বাল্ব, সকেট, সার্কুলার বোর্ড) এবং শিশুদের খেলার জন্য রাখা দোলনা ও স্টিলের বানডোরিগুলো পর্যন্ত চুরি হয়ে গেছে।

অভিযোগ রয়েছে, স্মৃতিসৌধের ভেতরে এখন মাদকসেবীদের আখড়া হয়ে উঠেছে। দর্শনার্থী ও স্থানীয়রা বলছেন, দীর্ঘদিন ধরে কোনো রকম রক্ষণাবেক্ষণ নেই। চারপাশে নেই কোনো পাহারা বা সিসিটিভি ক্যামেরা। ফলে চুরি ও ধ্বংসযজ্ঞ বেড়েই চলেছে।

স্থানীয়রা আরও বলেন, প্রতিবার চুরি হলেও প্রশাসনের পক্ষ থেকে কোনো কার্যকর ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি। তারা দ্রুত সৌধটির পুনর্নির্মাণ, নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার এবং চুরি হওয়া সামগ্রী উদ্ধারের দাবি জানিয়েছেন।

তাদের মতে, জরুরি ভিত্তিতে প্রশাসনের পদক্ষেপ না নিলে ডোমারের মুক্তিযুদ্ধ স্মৃতি সৌধ আর গৌরব ধরে রাখতে পারবে না।