বুধবার , ৮ নভেম্বর ২০২৩ | ২রা চৈত্র, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
  1. অন্যান্য
  2. অপরাধ
  3. অর্থনীতি
  4. আন্তর্জাতিক
  5. আবহাওয়া
  6. ই-পেপার
  7. কৃষি
  8. খেলাধুলা
  9. গল্প ও কবিতা
  10. জাতীয়
  11. জীবনযাপন
  12. ধর্ম
  13. প্রযুক্তি
  14. বাংলাদেশ
  15. বিনোদন

জনগণ কি আগুন সন্ত্রাস চায়?

প্রতিবেদক
বার্তা প্রতিবেদক
নভেম্বর ৮, ২০২৩ ৬:৩০ পূর্বাহ্ণ

ড. মো. আনিসুজ্জামান

বৈশ্বিক মন্দাবস্থা, যুদ্ধাংদেহী আবেশের মোড়কে চলমান আন্তর্জাতিক অস্থিরতা, সদ্য প্রয়াত করোনা মহামারীর প্রবল আঘাত সহ নানান প্রতিকূলতাকে তোয়াক্কা না করে বঙ্গবন্ধু কন্যা জননেত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে গত এক যুগে বাংলাদেশের উন্নয়নের মহা সোপান যেখানে দুর্বার গতিতে এগিয়ে চলছে একটি উন্নত স্মার্ট বন্দরে সফল নোঙরের উদ্দেশ্যে, সেখানে এই অদম্য যাত্রাকে বাঁধা দিতে আবারো মাথা চাড়া দিয়ে উঠেছে স্বাধীনতা বিরোধী, জঙ্গিগোষ্ঠীর মদদ দাতা, এবং সন্ত্রাসী গোষ্ঠী হিসেবে আন্তর্জাতিক ভাবে স্বীকৃত বিএনপি-জামায়াত রাজনৈতিকিগোষ্ঠী।যেখানে চলমান আওয়ামীলীগ সরকার ‘ডিজিটাল’, ‘স্মার্ট’, ‘ভীশন’, ‘টেকসইউন্নয়ন’, ‘রূপকল্প – ২০৪১’, ‘ডেল্টাপ্ল্যান - ২১০০’, ‘মহাপ্রকল্প’, ‘উন্নয়নের মহাসড়ক’ইত্যাদি ইতিবাচক শব্দ গুচ্ছকে সোনার বাংলার অভিধানে যুক্ত করতে সক্ষম হয়েছে, সেখানে আরেকটি দল ইতিবাচক কোন কিছু উদ্ভবকরায়চরম ব্যর্থতার পরিচয় তো দিয়েছেই বরংচো বাংলার মানুষকে পরিচিত করেছে ‘আগুন সন্ত্রাস’ নামক একটি চরম নেতিবাচক শব্দের!

গত এক যুগে তিন দফায় নির্বাচিত আওয়ামীলীগ সরকারের সুদক্ষ পরিকল্পনায় দক্ষিন এশিয়ার অন্যতম অর্থনৈতিক হাব হয়ে ওঠা এই ৫৬ হাজার বর্গমাইলের বদ্বীপটির জনগন আজ সেই সব স্বপ্ন গুলোর বাস্তব চাক্ষুষ সাক্ষী হতে পেরেছে যা হয়তো এক সময় ছিল কল্পনার অতীত।আজ বাংলাদেশ এর রয়েছে দেশের দীর্ঘতম ও বিশ্বের গভীরতম পিলার বিশিষ্ট পদ্মাসেতু, দক্ষিন এশিয়া তথা দেশের প্রথম ও দীর্ঘতম সড়ক সুড়ঙ্গ পথ কর্ণফুলী টানেল, দেশের প্রথম পরমানু ভিত্তিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র রূপপুর পারমানবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র, দেশের প্রথম স্যাটেলাইট বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট, মেট্রোরেল, উড়াল সড়ক, তাপ বিদ্যুৎ কেন্দ্র সহ আরও অনেক মহাপ্রকল্প।যেখানে ২০০৯ এ মাত্র ৪৭ শতাংশ মানুষ বিদ্যুৎ এর আওতাভুক্ত ছিল সেখানে আজ শতভাগ মানুষ পাচ্ছে বিদ্যুৎ সুবিধা, নতুন রেল পথ নির্মিত হয়েছে ৪৫১ কিলোমিটার, পুনর্বাসিত হয়েছে আর ও ১হাজার ১৮১ কিলোমিটার রেলপথ, নির্মিত হয়েছে ৪০০ এর ও বেশী রেলসেতু।এছাড়াও দেশে একযোগে উদ্ভোদন করা হয় ১০০ এর ও বেশী সড়ক সেতুর।এতসব উন্নয়নের যাত্রায় আজ মানুষ সন্ত্রাসী বিরোধী দলের ডাকা কোন হরতাল, অবরোধ, নাশকতা কিংবা অগ্নিসন্ত্রাস চায়না।

দেশের এই দুর্বার এগিয়ে চলার পথে বাঁধা দেয়ার জন্য সেই শুরু হতেই জন বিচ্ছিন্ন বিএনপি-জামায়াত জোট চালিয়ে যাচ্ছে হরতাল অবরোধের নামে তাদের আগুন সন্ত্রাস।জোটটি জানে বাংলার মানুষ তাদের অরাজকতা আর সহ্য করতে চায় না, তাই তারা বেছে নিয়েছে নৈরাজ্যের পথ।অস্ত্র হিসেবে ব্যবহার করছে ভয়ানক আগুন কে।

মূলত ২০১৩ হতে সূচিত হয় বিএনপি জামায়াত জোটের এই আগুন নিয়ে খেলা যার বিভীষিকার কথা ভুলে যায়নি বাংলার জনগন।সে সময় যারা কখনও চায়নি বাংলাদেশ নামক একটি ভূখন্ড হোক, সেই ঘাতক, পিশাচ, যুদ্ধাপরাধীদের বাঁচাতে দলটি প্রায় ৪১৯ টি পৃথক ঘটনায় ১৫ জন পুলিশ সদস্য সহ হত্যা করে ৪৯২ জন নিরপরাধ মানুষকে।এ সকল অগ্নিসংযোগ, সংঘর্ষ ও নাশকতা মূলক কর্মকান্ডে আহত হয় প্রায় আড়াই হাজারের মত মানুষ।এরপর ২০১৪ সালের নির্বাচন কালীন সময়ে তারা দেখায় তাদের ভয়ংকর তম রূপটি কে।এসময় তারা আগুন ধরিয়ে দেয় সারাদেশের প্রায় ৫৮২ টি ভোট কেন্দ্রে, শত শত যানবাহনে, রাস্তার পার্শবর্তী বৃক্ষরাজিতে, এমনকি বিভিন্ন ধর্মীয় উপাসানালয়ে।নির্বাচনে নিশ্চিত পরাজয় যেনে তারা পেট্রোল বোমায় পুড়িয়ে মারে বহু নিরপরাধ সাধারন জনগনকে।অগ্নিদ্গধ অসহায় মানুষদের কান্নার আহাজারিতে প্রকম্পিত হতে থাকে সারাদেশের বিভিন্ন হাসপাতাল গুলো।নির্বাচনে প্রিসাইডিং অফিসারসহ এই সন্ত্রাসী জোট গোষ্ঠী হত্যা করে ২৬ জন মানুষকে।এক বছর পর ২০১৫ সালের ৫ জানুয়ারী যখন আওয়ামীলীগ সে মেয়াদকালের তাদের প্রথম বর্ষ উদযাপন করছিল, সেদিন ও আবার মাথা চাড়া দিয়ে উঠে আগুন সন্ত্রাসেরা।সে সময় ২ হাজার ৯০৩টি বাস-ট্রাক, ১৮টি ট্রেন, ৮টি যাত্রী বাহীলঞ্চ, ৭টি ভূমি অফিস সহ ৭০টি সরকারি অফিসে পেট্রোল বোমাছুঁড়ে মারে সন্ত্রাসী সংগঠনটি।এসব ঘটনায় নিহত হয় ২৩১ জন মানুষ এবং গুরুতর আহত হয় ১ হাজার ২ শত মানুষ। এরপর থেকেই পুরোপুরি ভাবে জন বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ে বিএনপি-জামায়াত জোটগোষ্ঠী।আন্তর্জাতিক ভাবে স্বীকৃতি পায় সন্ত্রাসী সংগঠন হিসেবে।সর্বশেষ চলতি বছরের ১৫ জুন কানাডার টরেন্টোর আদালতে এক মামলায় বিএনপিকে ৫ম বারের মত সন্ত্রাসী সংগঠন হিসেবে চিহ্নিত করা হয়।

এত কিছুর পড়েও আগুন নিয়ে খেলা পুরোপুরি শেষ হয়নি দলটির।২০১৯ সালের ১২ নভেম্বর ঢাকায় উপনির্বাচনকে কেন্দ্র করে এবং ২০২৩ সালের ২৮ অক্টোবর ডাকা সমাবেশে ঢাকা শহরের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ অংশে অগ্নি সংযোগ ঘটায়।কিন্তু বাংলাদেশের সচেতন জনগন তাদের এসব নৈরাজ্য ও অরাজকতাকে তুমুল ভাবে প্রত্যাখান করে।

বাংলাদেশের

মানুষ এখন এগিয়ে যাওয়ার পথে, তারা শুধু স্বপ্ন দেখে উন্নত এক ভবিষ্যৎ এর।এই পথে এই দেশের জনগন কখনো মেনে নেয়নি এবং মেনে নেবে ও না আগুন সন্ত্রাসকে।

লেখক: অধ্যাপক, ফিশারিজ অ্যান্ড মেরিনসাইন্স বিভাগ এবং প্রক্টর, নোয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়।

সর্বশেষ - নীলফামারী

আপনার জন্য নির্বাচিত

ঢাকার মঞ্চে অনুপম, অর্ণব, মেঘদল, তালপাতার সেপাই…

বিশ্বকাপ খেলতে ভারতের উদ্দেশ্যে দেশ ত্যাগ টাইগারদের

সৈয়দপুরে নির্মাণাধীন মসজিদের দেয়াল ধসে শ্রমিকের মৃত্যু

বাংলাদেশে কোভিড-১৯ পরিস্থিতি ও মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা

বাংলাদেশে কোভিড-১৯ পরিস্থিতি ও মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা

সুজন ও টিআইবি নির্বাচনকে ‘অংশগ্রহণমূলক নয়’ বলে কিসের ভিত্তিতে?

সুজন ও টিআইবি নির্বাচনকে ‘অংশগ্রহণমূলক নয়’ বলে কিসের ভিত্তিতে?

আয়নাঘর পরিদর্শনে প্রধান উপদেষ্টা

ডিমলায় অবৈধভাবে ভারতে প্রবেশের সময় চার যুবক আটক

সাবেক সচিব এ এম এম নাসির উদ্দীনের নেতৃত্বে নতুন ইসি গঠন

প্রাথমিক শিক্ষার গুণগত মান বৃদ্ধিতে সরকার কাজ করছে —প্রাথমিক ও গণশিক্ষা উপদেষ্টা

‘মাদকে জিরো টলারেন্স’ গণমাধ্যম কর্মীদের বললেন নবাগত পুলিশ সুপার