০২:৫৯ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ১৪ ডিসেম্বর ২০২৫

দেবীগঞ্জ হাটে জলপাই দিনে বিক্রি প্রায় কোটি টাকা

উপজেলা শহরের দেবদারু তলায় বসে জলপাইয়ের বিরাট হাট। আশপাশের পাঁচ জেলার জলপাই আসে এখানে। ভোরথেকে জমতে শুরু করে ঐতিহ্যবাহী এ হাট।ভ্যান, পিকআপ করে জলপাই নিয়ে আসেন চাষি ও ব্যবসায়ীরা। এরপর স্তূপ করে রেখে চলে বেচাকেনা।

দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে পাইকার এসে কিনে নেন জলপাই। বিদেশেও রপ্তানি হয়। প্রতি বছর ভাদ্র থেকে শুরু হয় জলপাই সংগ্রহ। পাঁচ মাস চলে বেচাকেনা ।চাষিরা বলছেন, ৩০-৫০ও ৮০ টাকা কেজি দরে জলপাই বিক্রি করেন তারা।প্রতি বছর জলপাই থেকে লাখ লাখ টাকা আয় করেন,যা গ্রামীণ অর্থনীতিতে গুরুত্বপূর্ন ভূমিকা রাখে। এ হাটের জলপাইয়ের চাহিদাও ভালো।

পুরো মৌসুমে চাষিদের বাগান থেকে জলপাই সংগ্রহের পর এ হাটের আড়তদারের কাছে বিক্রি করে জীবিকা নির্বাহ করেন শত শত ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী।

বিশেষ সুত্রে জানাযায়, প্রতিদিন এ হাটে প্রায় কোটি টাকার লেনদেন হয়। সরকারও পায় বিপুল রাজস্ব। হাট কর্তৃপক্ষ বলছে, জলপাইয়ের এ বাজার ঘিরে এক থেকে দেড় হাজার মানুষের কর্মসংস্থান হয়েছে। হাটের উন্নয়নে সরকারের সুনজর আশা করছেন তারা।

ইজারাদার আসাদুজ্জামান সুমন জানান,দেবীগঞ্জ হাট জলপাইয়ের জন্য বিখ্যাত।এ ছাড়া এখানে বাতাবি লেবু, পানসহ নানান পণ্য বিক্রি হয়। জলপাই ও বাতাবি লেবু বেশি কেনাবেচা হয়। কারণ দেশের বিভিন্ন এলাকা থেকে ব্যবসায়ীরা এসে এখান থেকে জলপাই ও বাতাবি লেবু কিনে নিয়ে যান।বিভিন্ন বড় কোম্পানিও এখানে আসে সেই সঙ্গে বাড়ছে জলপাইয়ের চাহিদা।

উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা নাঈম মোর্শেদ জানান, হাটটির কারণেই এলাকায় জলপাই ও বাতাবি লেবু চাষ বাড়ছে। আমরা চাষিদের খোঁজখবর রাখছি ও প্রয়োজনে সহযোগিতা করছি।

জনপ্রিয় সংবাদ

নীলফামারীতে ট্রেনের ধাক্কায় দশম শ্রেণির শিক্ষার্থীর মৃত্যু

দেবীগঞ্জ হাটে জলপাই দিনে বিক্রি প্রায় কোটি টাকা

প্রকাশিত ১২:১৫:০৫ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৩০ অক্টোবর ২০২৫

উপজেলা শহরের দেবদারু তলায় বসে জলপাইয়ের বিরাট হাট। আশপাশের পাঁচ জেলার জলপাই আসে এখানে। ভোরথেকে জমতে শুরু করে ঐতিহ্যবাহী এ হাট।ভ্যান, পিকআপ করে জলপাই নিয়ে আসেন চাষি ও ব্যবসায়ীরা। এরপর স্তূপ করে রেখে চলে বেচাকেনা।

দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে পাইকার এসে কিনে নেন জলপাই। বিদেশেও রপ্তানি হয়। প্রতি বছর ভাদ্র থেকে শুরু হয় জলপাই সংগ্রহ। পাঁচ মাস চলে বেচাকেনা ।চাষিরা বলছেন, ৩০-৫০ও ৮০ টাকা কেজি দরে জলপাই বিক্রি করেন তারা।প্রতি বছর জলপাই থেকে লাখ লাখ টাকা আয় করেন,যা গ্রামীণ অর্থনীতিতে গুরুত্বপূর্ন ভূমিকা রাখে। এ হাটের জলপাইয়ের চাহিদাও ভালো।

পুরো মৌসুমে চাষিদের বাগান থেকে জলপাই সংগ্রহের পর এ হাটের আড়তদারের কাছে বিক্রি করে জীবিকা নির্বাহ করেন শত শত ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী।

বিশেষ সুত্রে জানাযায়, প্রতিদিন এ হাটে প্রায় কোটি টাকার লেনদেন হয়। সরকারও পায় বিপুল রাজস্ব। হাট কর্তৃপক্ষ বলছে, জলপাইয়ের এ বাজার ঘিরে এক থেকে দেড় হাজার মানুষের কর্মসংস্থান হয়েছে। হাটের উন্নয়নে সরকারের সুনজর আশা করছেন তারা।

ইজারাদার আসাদুজ্জামান সুমন জানান,দেবীগঞ্জ হাট জলপাইয়ের জন্য বিখ্যাত।এ ছাড়া এখানে বাতাবি লেবু, পানসহ নানান পণ্য বিক্রি হয়। জলপাই ও বাতাবি লেবু বেশি কেনাবেচা হয়। কারণ দেশের বিভিন্ন এলাকা থেকে ব্যবসায়ীরা এসে এখান থেকে জলপাই ও বাতাবি লেবু কিনে নিয়ে যান।বিভিন্ন বড় কোম্পানিও এখানে আসে সেই সঙ্গে বাড়ছে জলপাইয়ের চাহিদা।

উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা নাঈম মোর্শেদ জানান, হাটটির কারণেই এলাকায় জলপাই ও বাতাবি লেবু চাষ বাড়ছে। আমরা চাষিদের খোঁজখবর রাখছি ও প্রয়োজনে সহযোগিতা করছি।