০৮:০৫ অপরাহ্ন, রবিবার, ০৭ ডিসেম্বর ২০২৫
নীলফামারীর কিশোরগঞ্জে

শিক্ষার্থী হত্যা মামলার আসামিকে গ্রেপ্তার না করার অভিযোগ

রাজধানীর যাত্রাবাড়ীতে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে বাধা ও গুলি করে হত্যা মামলার আসামি নীলফামারীর কিশোরগঞ্জ উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান আওয়ামী লীগ নেতা রশিদুল ইসলাম ও যুবলীগ নেতা রাশেদুজ্জামান মিল্টন প্রকাশ্যে ঘুরলেও তাদের গ্রেপ্তার না করার অভিযোগ উঠেছে।

এতে ক্ষোভ সৃষ্টি হয়েছে স্থানীয়দের মধ্যে। মামলার বিবরণ অনুযায়ী, রাজধানীর যাত্রাবাড়ীতে বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে অংশ নেন নোয়াখালীর বেগমবাজার উপজেলার নবোত্তমপুর গ্রামের আলা উদ্দিনের ছেলে যুবদলকর্মী আব্দুল কাইয়ুম আহাদ (১৬)। ওই আন্দোলন দমাতে দেশের বিভিন্ন জেলা থেকে আওয়ামী সন্ত্রাসীদের এনে ঢাকায় জড়ো করা হয়।

সন্ত্রাসীরা পুলিশের সঙ্গে একত্রিত হয়ে শিক্ষার্থীদের  মিছিলে সাউন্ড গ্রেনেড, কাঁদানে গ্যাস নিক্ষেপ ও গুলিবর্ষণ করে। এতে গত বছরের ১৮ জুলাই সন্ধ্যায় মুখ ও বুকে গুলি লাগলে কাজলা থানাধীন পুলিশ বক্সের সামনে মাটিতে লুটে পড়েন কাইয়ুম। পরে যাত্রাবাড়ী থানা পুলিশ ব্রাশ ফায়ার করে তার মৃত্যু নিশ্চিত করে। ওই সশস্ত্র সন্ত্রাসী দলে ছিলেন নীলফামারীর কিশোরগঞ্জ উপজেলার মাগুড়া ইউনিয়নের পাটোয়ারীপাড়া গ্রামের রহিমুদ্দিনের ছেলে আওয়ামী ক্যাডার রশিদুল ও একই গ্রামের যুবলীগ ক্যাডার রাশেদুজ্জামান ওরফে মিল্টন।

ওই ঘটনায় কাইয়ুমের বাবা আলাউদ্দিন ৪৬৮ জনের নাম উল্লেখ এবং  অজ্ঞাতপরিচয় এক হাজার থেকে দুই হাজারজনকে আসামি করে যাত্রাবাড়ী থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেন। ওই মামলায় এজারভুক্ত ১০৯ নম্বর আসামি রশিদুল ইসলাম ও ৩১৩ নম্বর আসামি রাশেদুজ্জামান মিল্টন। এলাকাবাসীর অভিযোগ, আসামিরা বীরদর্পে এলাকায় ঘুরে বেড়ালেও অজ্ঞাত কারণে তাদের গ্রেপ্তার করা হচ্ছে না।

এ ব্যাপারে মামলার বাদী আলাউদ্দিনের সঙ্গে মোবাইল ফোনে কথা হলে তিনি বলেন, আসামিদের গ্রেপ্তারে পুলিশের সঙ্গে সবসময় যোগাযোগ করা হচ্ছে। যাত্রাবাড়ী থানার ওসি (তদন্ত) রমজানুল হক বলেন, মামলার তদন্ত চলমান রয়েছে। তদন্তে তাদের জড়িত থাকার বিষয় পাওয়া গেলে গ্রেপ্তার করা হবে।

জনপ্রিয় সংবাদ

নীলফামারীতে বাংলাদেশ রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটি ইউনিটের কার্যনির্বাহী কমিটির নির্বাচন-২০২৫ অনুষ্ঠিত

নীলফামারীর কিশোরগঞ্জে

শিক্ষার্থী হত্যা মামলার আসামিকে গ্রেপ্তার না করার অভিযোগ

প্রকাশিত ০৯:০১:০৯ অপরাহ্ন, শনিবার, ১১ অক্টোবর ২০২৫

রাজধানীর যাত্রাবাড়ীতে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে বাধা ও গুলি করে হত্যা মামলার আসামি নীলফামারীর কিশোরগঞ্জ উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান আওয়ামী লীগ নেতা রশিদুল ইসলাম ও যুবলীগ নেতা রাশেদুজ্জামান মিল্টন প্রকাশ্যে ঘুরলেও তাদের গ্রেপ্তার না করার অভিযোগ উঠেছে।

এতে ক্ষোভ সৃষ্টি হয়েছে স্থানীয়দের মধ্যে। মামলার বিবরণ অনুযায়ী, রাজধানীর যাত্রাবাড়ীতে বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে অংশ নেন নোয়াখালীর বেগমবাজার উপজেলার নবোত্তমপুর গ্রামের আলা উদ্দিনের ছেলে যুবদলকর্মী আব্দুল কাইয়ুম আহাদ (১৬)। ওই আন্দোলন দমাতে দেশের বিভিন্ন জেলা থেকে আওয়ামী সন্ত্রাসীদের এনে ঢাকায় জড়ো করা হয়।

সন্ত্রাসীরা পুলিশের সঙ্গে একত্রিত হয়ে শিক্ষার্থীদের  মিছিলে সাউন্ড গ্রেনেড, কাঁদানে গ্যাস নিক্ষেপ ও গুলিবর্ষণ করে। এতে গত বছরের ১৮ জুলাই সন্ধ্যায় মুখ ও বুকে গুলি লাগলে কাজলা থানাধীন পুলিশ বক্সের সামনে মাটিতে লুটে পড়েন কাইয়ুম। পরে যাত্রাবাড়ী থানা পুলিশ ব্রাশ ফায়ার করে তার মৃত্যু নিশ্চিত করে। ওই সশস্ত্র সন্ত্রাসী দলে ছিলেন নীলফামারীর কিশোরগঞ্জ উপজেলার মাগুড়া ইউনিয়নের পাটোয়ারীপাড়া গ্রামের রহিমুদ্দিনের ছেলে আওয়ামী ক্যাডার রশিদুল ও একই গ্রামের যুবলীগ ক্যাডার রাশেদুজ্জামান ওরফে মিল্টন।

ওই ঘটনায় কাইয়ুমের বাবা আলাউদ্দিন ৪৬৮ জনের নাম উল্লেখ এবং  অজ্ঞাতপরিচয় এক হাজার থেকে দুই হাজারজনকে আসামি করে যাত্রাবাড়ী থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেন। ওই মামলায় এজারভুক্ত ১০৯ নম্বর আসামি রশিদুল ইসলাম ও ৩১৩ নম্বর আসামি রাশেদুজ্জামান মিল্টন। এলাকাবাসীর অভিযোগ, আসামিরা বীরদর্পে এলাকায় ঘুরে বেড়ালেও অজ্ঞাত কারণে তাদের গ্রেপ্তার করা হচ্ছে না।

এ ব্যাপারে মামলার বাদী আলাউদ্দিনের সঙ্গে মোবাইল ফোনে কথা হলে তিনি বলেন, আসামিদের গ্রেপ্তারে পুলিশের সঙ্গে সবসময় যোগাযোগ করা হচ্ছে। যাত্রাবাড়ী থানার ওসি (তদন্ত) রমজানুল হক বলেন, মামলার তদন্ত চলমান রয়েছে। তদন্তে তাদের জড়িত থাকার বিষয় পাওয়া গেলে গ্রেপ্তার করা হবে।