পঞ্চগড় এর দেবীগঞ্জ উপজেলার ১০টি ইউনিয়নে রোপা আমন মৌসুমে মাঠে মাঠে পাচিং দিয়ে ধান ক্ষেতে পোকা দমন জনপ্রিয়তা বাড়ছে। ধান ক্ষেতে পাচিং পদ্ধতি প্রয়োগ করে ক্ষতিকারক পোকা দমন করতে পাড়ছে স্থানীয় কৃষকরা।
এতে পোকা দমনে কীটনাশকের ব্যবহার দিন দিন বহুল্যাংশে কমে যাবে লে মনে করেন অনেক কৃষক। কৃষক ধান ক্ষেতে পোকা দমনে গাছের ডাল বাশের কঞ্চি গেথে রাখে। ঐ সব ডালে ও কঞ্চিতে পাখিরা বসে বিভিন্ন পোকা মাকর ধরে খাচ্ছে।
উপজেলা সোনাহার ইউপির উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তা মোঃ আসাদ ও পামুলী ইউনিয়নের উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তা হরি রায় উভয়ে জানান যে, পাচিং পদ্ধতি এলাকার প্রতিটি কৃষক ব্যপক ভাবে গ্রহন করেছে ও ভালো উপকার পাচ্ছে। এতে করে এলাকার কৃষকগন উপকারী ও অপকারী পোকা সহজেই চিনতে পারছেন।
দন্ডপাল ইউনিয়নের উপসহকারী কৃষিকর্মকতা জানালেন এলাকার কৃষকেরা যে কোন পোকা দেখলেই কিটনাশক দিতে হবে এ ধরনের ধারনা যে ভুল তা সহযেই বুঝতে পারছে। উপজেলার চেংঠি ইউনিয়নের কৃষক আবুল হোসেন জানান ধানক্ষেতে বাশের কঞ্জিতে পাখি বসে পোকা মাকর ধরে খায় এতে ক্ষেতে পোকার আক্রমন অনেকাংশে কমে গেছে। উপজেলা কৃষি অফিস থেকে জানা যায় পাখি পাচিং মাধ্যমে ক্ষতিকর পোকা খেলে ১৫০ থেকে ২৫০ টি ডিম পাড়ে। পাচিং জমির মাঝামাঝি অবস্থানে দেওয়াই ভালো।
দেবীগঞ্জ উপজেলা কৃষি অফিসার মোঃ নাঈম মোর্শেদ বলেন জমিতে পাচিং দিলে সহযেই ফসলের ক্ষতিকারক পোকা ক্ষেয়ে ধ্বংশ করে। পোকা বংশ বিস্তার করতে পারেনা। এতে আমন ধানে চাষিরা অনেক উপকৃত হয়। তাছাড়া কীটনাশকের ব্যবহার অনেকাটা কমে যাবে বলে তিনি আশা ব্যক্ত করেন।
























