০৮:৫৫ অপরাহ্ন, রবিবার, ০৭ ডিসেম্বর ২০২৫

সৈয়দপুরে জামায়াতে দায়িত্বশীল সমাবেশ অনুষ্ঠিত উপজেলা চেয়ারম্যান ও পৌর মেয়র পদে প্রার্থী ঘোষণা

বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী সৈয়দপুর উপজেলা ও শহর শাখার বিভিন্ন পর্যায়ের দায়িত্বশীলদের নিয়ে সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে। (১২ সেপ্টেম্বর)শুক্রবার  সকাল ৮ টা থেকে ১০ টা পর্যন্ত আল ফারুক একাডেমি প্রাঙ্গণে এই আয়োজন করা হয়। সমাবেশে আগামী উপজেলা পরিষদ ও পৌর পরিষদ নির্বাচনের জন্য দলীয় প্রার্থীর নাম ঘোষণা করা হয়েছে। 

এতে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন কেন্দ্রীয় মজলিসে সৃরা সদস্য ও নীলফামারী জেলা আমীর অধ্যক্ষ মাওলানা আব্দুস সাত্তারল। বিশেষ অতিথি ছিলেন, জেলা সেক্রেটারি মাওলানা আন্তাজুল ইসলাম,  অফিস সম্পাদক আব্দুল কাদিম, বায়তুল মাল সম্পাদক আব্দুল কাদের।

সভাপতিত্ব করেন সৈয়দপুর উপজেলা আমীর হাফেজ মাওলানা আব্দুল মুনতাকিম। বক্তব্য রাখেন, সৈয়দপুর উপজেলার সাবেক আমীর মাওলানা লুৎফর রহমান ও বর্তমান নায়েবে আমীর শফিকুল ইসলাম, সৈয়দপুর শহর আমীর শরফুদ্দিন খান ও সেক্রেটারি মাওলানা ওয়াজেদ আলী।

সৈয়দপুর উপজেলা সেক্রেটারি আলহাজ্ব মাজহারুল ইসলামের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত সমাবেশে উপজেলার ৫টি ইউনিয়ন ও পৌরসভার ওয়ার্ড ও ইউনিটের শতাধিক দায়িত্বশীল অংশ গ্রহণ করেন।

প্রধান অতিথি জেলা আমীর মাওলানা আব্দুস সাত্তার বলেন, বিগত দিনের গুম, খুন, হত্যা, হামলা, মামলা ও নির্যাতন নিপীড়নের শিকার এবং মৌলিক অধিকার বঞ্চনায় বাংলার সর্বস্তরের মানুষ অতিষ্ঠ ছিল। যে কারণে চব্বিশের গণ অভ্যুত্থানে ছাত্রদের সাথে সাধারণ মানুষ রাজপথে নেমে আন্দোলনে স্বতঃস্ফূর্তভাবে অংশ নিয়েছিল।

একইভাবে ডাকসু ও জাকসু নির্বাচনে দীর্ঘদিন থেকে ভোট প্রদান তথা নেতৃত্ব বেছে নেয়ার ক্ষেত্রে বিগত ফ্যাসিস্ট সরকারের সন্ত্রাসী ছাত্র সংগঠনের প্রতিবন্ধকতায় সৃষ্ট ক্ষোভের বহিঃপ্রকাশ ঘটেছে। সাধারণ ছাত্ররা তাদের যোগ্যতা ও মননশীলতা দিয়ে সঠিক নেতা নির্বাচন করেছেন।

ঠিক সেভাবেই আগামী জাতীয় নির্বাচনসহ স্থানীয় নির্বাচনেও এরকম বিপ্লব ঘটে যাবে। তাই জনগণের মনোবাসনা পূরণে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর নেতৃত্বকে সার্বিকভাবে যোগ্য, দক্ষ ও সততার প্রতিক হয়ে উঠতে হবে। এজন্য নিজেদের মান উন্নয়নের দিকে জোর দিতে হবে। দায়িত্বশীল সকলকে আগামী ২০২৬ সালের মধ্যে রোকন হওয়ার তাগিদ দেন তিনি।

তিনি আরও বলেন, আমরা যদি সঠিকভাবে নিজেদের দায়িত্ব পালন করি তাহলে নীলফামারী-৪ তথা সৈয়দপুর কিশোরগঞ্জ উপজেলায় সব নির্বাচনে জনপ্রতিনিধি নির্বাচিত করা সম্ভব হবে। এজন্য এখন থেকেই কাজ শুরু করার আহবান জানান।

এসময় তিনি আগামীর স্থানীয় নির্বাচনে সৈয়দপুর উপজেলা পরিষদের জন্য চেয়ারম্যান পদে উপজেলা নায়েবে আমীর শফিকুল ইসলাম এবং পৌর পরিষদের জন্য মেয়র পদে সৈয়দপুর পৌর আমীর শরফুদ্দিন খানকে প্রার্থী হিসেবে ঘোষণা দেন।

জনপ্রিয় সংবাদ

তৃতীয় পক্ষে আন্দোলনে লম্বা ছুটিতে সাবরেজিস্টার, ভোগান্তিতে জমি দাতা ও গ্রহীতারা

সৈয়দপুরে জামায়াতে দায়িত্বশীল সমাবেশ অনুষ্ঠিত উপজেলা চেয়ারম্যান ও পৌর মেয়র পদে প্রার্থী ঘোষণা

প্রকাশিত ০৬:৫২:৪৪ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১২ সেপ্টেম্বর ২০২৫

বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী সৈয়দপুর উপজেলা ও শহর শাখার বিভিন্ন পর্যায়ের দায়িত্বশীলদের নিয়ে সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে। (১২ সেপ্টেম্বর)শুক্রবার  সকাল ৮ টা থেকে ১০ টা পর্যন্ত আল ফারুক একাডেমি প্রাঙ্গণে এই আয়োজন করা হয়। সমাবেশে আগামী উপজেলা পরিষদ ও পৌর পরিষদ নির্বাচনের জন্য দলীয় প্রার্থীর নাম ঘোষণা করা হয়েছে। 

এতে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন কেন্দ্রীয় মজলিসে সৃরা সদস্য ও নীলফামারী জেলা আমীর অধ্যক্ষ মাওলানা আব্দুস সাত্তারল। বিশেষ অতিথি ছিলেন, জেলা সেক্রেটারি মাওলানা আন্তাজুল ইসলাম,  অফিস সম্পাদক আব্দুল কাদিম, বায়তুল মাল সম্পাদক আব্দুল কাদের।

সভাপতিত্ব করেন সৈয়দপুর উপজেলা আমীর হাফেজ মাওলানা আব্দুল মুনতাকিম। বক্তব্য রাখেন, সৈয়দপুর উপজেলার সাবেক আমীর মাওলানা লুৎফর রহমান ও বর্তমান নায়েবে আমীর শফিকুল ইসলাম, সৈয়দপুর শহর আমীর শরফুদ্দিন খান ও সেক্রেটারি মাওলানা ওয়াজেদ আলী।

সৈয়দপুর উপজেলা সেক্রেটারি আলহাজ্ব মাজহারুল ইসলামের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত সমাবেশে উপজেলার ৫টি ইউনিয়ন ও পৌরসভার ওয়ার্ড ও ইউনিটের শতাধিক দায়িত্বশীল অংশ গ্রহণ করেন।

প্রধান অতিথি জেলা আমীর মাওলানা আব্দুস সাত্তার বলেন, বিগত দিনের গুম, খুন, হত্যা, হামলা, মামলা ও নির্যাতন নিপীড়নের শিকার এবং মৌলিক অধিকার বঞ্চনায় বাংলার সর্বস্তরের মানুষ অতিষ্ঠ ছিল। যে কারণে চব্বিশের গণ অভ্যুত্থানে ছাত্রদের সাথে সাধারণ মানুষ রাজপথে নেমে আন্দোলনে স্বতঃস্ফূর্তভাবে অংশ নিয়েছিল।

একইভাবে ডাকসু ও জাকসু নির্বাচনে দীর্ঘদিন থেকে ভোট প্রদান তথা নেতৃত্ব বেছে নেয়ার ক্ষেত্রে বিগত ফ্যাসিস্ট সরকারের সন্ত্রাসী ছাত্র সংগঠনের প্রতিবন্ধকতায় সৃষ্ট ক্ষোভের বহিঃপ্রকাশ ঘটেছে। সাধারণ ছাত্ররা তাদের যোগ্যতা ও মননশীলতা দিয়ে সঠিক নেতা নির্বাচন করেছেন।

ঠিক সেভাবেই আগামী জাতীয় নির্বাচনসহ স্থানীয় নির্বাচনেও এরকম বিপ্লব ঘটে যাবে। তাই জনগণের মনোবাসনা পূরণে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর নেতৃত্বকে সার্বিকভাবে যোগ্য, দক্ষ ও সততার প্রতিক হয়ে উঠতে হবে। এজন্য নিজেদের মান উন্নয়নের দিকে জোর দিতে হবে। দায়িত্বশীল সকলকে আগামী ২০২৬ সালের মধ্যে রোকন হওয়ার তাগিদ দেন তিনি।

তিনি আরও বলেন, আমরা যদি সঠিকভাবে নিজেদের দায়িত্ব পালন করি তাহলে নীলফামারী-৪ তথা সৈয়দপুর কিশোরগঞ্জ উপজেলায় সব নির্বাচনে জনপ্রতিনিধি নির্বাচিত করা সম্ভব হবে। এজন্য এখন থেকেই কাজ শুরু করার আহবান জানান।

এসময় তিনি আগামীর স্থানীয় নির্বাচনে সৈয়দপুর উপজেলা পরিষদের জন্য চেয়ারম্যান পদে উপজেলা নায়েবে আমীর শফিকুল ইসলাম এবং পৌর পরিষদের জন্য মেয়র পদে সৈয়দপুর পৌর আমীর শরফুদ্দিন খানকে প্রার্থী হিসেবে ঘোষণা দেন।