০৮:৩২ অপরাহ্ন, রবিবার, ০৭ ডিসেম্বর ২০২৫

সৈয়দপুরে এফডিইবি’র উদ্যোগে প্রকৌশলী সমাবেশ অনুষ্ঠিত

ফোরাম অব ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ার্স বাংলাদেশ (এফডিইবি) এর উদ্যোগে নীলফামারীর সৈয়দপুরে প্রকৌশলী সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে। পেশাজীবীদের সাথে মতবিনিময় এর অংশ হিসেবে এই সমাবেশের আয়োজন করা হয়।

বুধবার (২৩ জুলাই) সন্ধা সাড়ে ৭ টায় আল ফারুক একাডেমির হলরুমে আয়োজিত সমাবেশে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সংগঠনটির নীলফামারী জেলা উপদেষ্টা বিশিষ্ট শিক্ষাবিদ হাফেজ ড. মো. খায়রুল আনাম।

বিশেষ অতিথি ছিলেন এফডিইবি এর জেলা সভাপতি প্রকৌশলী আখতারুজ্জামান ও সৈয়দপুর উপজেলা উপদেষ্টা হাফেজ মাওলানা আব্দুল মুনতাকিম, শহর উপদেষ্টা শরফুদ্দিন খান।

সভাপতিত্ব করেন বাংলাদেশ রেলওয়ে সৈয়দপুরের সিনিয়র সহকারী বৈদ্যুতিক প্রকৌশলী মো. শাহজাহান মোল্লা। সঞ্চালনা করেন পেশাজীবি বিভাগের সেক্রেটারী সেকেন্দার৷ আলী। ডিপ্লোমা প্রকৌশলীদের মধ্যে মুক্ত আলোচনায় অংশ নেন নিজামুল হক, মমিনুল ইসলাম।

বিশেষ অতিথি জেলা সভাপতি প্রকৌশলী আখতারুজ্জামান বলেন, আমাদের দেশে সম্পদের অভাব নেই। অভাব শুধু ভালো মানুষ। দেশে সকল পেশাজীবীদেরই সংগঠন আছে। সব সংগঠনেরই উদ্দেশ্য ভালো। অর্থাৎ দেশের উন্নয়ন ও কল্যাণ। কিন্তু সেসব সংগঠনের সাথে এফডিইবির মৌলিক পার্থক্য হচ্ছে দেশের মেধাবী মানুষগুলোকে যোগ্য ও দক্ষ করে গড়ে তোলার পাশাপাশি একজন সৎ মানুষ হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করা।

আমরা ডিপ্লোমা প্রকৌশলীরা যদি আল্লাহর দেয়া ও তাঁর রাসূলের রেখে যাওয়া আল কুরআন ও সুন্নাহর আলোকে নিজেদের তৈরি করতে পারি তাহলে দেশকে অনৈতিকতা তথা দূর্নীতি ও অপশাসন থেকে মুক্ত করতে পারবো। কারণ প্রকৌশলীরা রাষ্ট্রের গুরুত্বপূর্ণ ক্ষেত্রে দায়িত্বরত। আর আমাদের দেশের প্রকৌশলী সেক্টর ব্যাপকভাবে দূর্নীতিগ্রস্থ

অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হাফেজ ড. মো. খায়রুল আনাম বলেন, যোগ্যতা ও সততার সমন্বয় ছাড়া প্রকৃত কল্যাণ সাধন করা সম্ভব নয়। আমাদের অনেক উন্নয়ন হয়েছে কিন্তু নৈতিকতায় আমরা বিশ্বের মধ্যে সবচেয়ে নিম্নমানের। আর সে কারণেই এখনো আমরা সুধ, ঘুস, দূর্নীতি, চাঁদাবাজি, লুট, সন্ত্রাস, ধর্ষণ, রাহাজানি, খুন, গুম থেকে মুক্ত হতে পারিনি।

একসময় সাড়ে সাত কোটি মানুষও খেতে না পেয়ে মারা গেছে। আর এখন দ্বিগুণেরও বেশি মানুষ হলেও না খেয়ে কেউ মরেনা। বরং বেশি খেয়েই মরে। অথচ জমি যা ছিল তাই আছে। বরং কমেছে। শুধু প্রযুক্তি, মেধা আর প্রচেষ্টার ফলে এটা সম্ভব হয়েছে। এক্ষেত্রে প্রকৌশলীদের ভূমিকা অনেক। কিন্তু মানবিক ও নৈতিক ক্ষেত্রে ন্যুনতম অগ্রগতি নাই।

একারণে অনিয়ম দূর্নীতিতে আচ্ছন্ন দেশ। সততার অভাবে জাতি বিপথে পরিচালিত হয়েছে। ফ্যাসিস্টের উৎপত্তি হয়েছে। জনগণ অধিকারহারা হয়েছে। শেখ হাসিনা যোগ্য হলেও সততা না থাকায় কল্যাণমুখী না হয়ে প্রতিহিংসার রাজনীতিতে মেতে বিরোধী দল মত নিধনে মত্ত হয়েছিল। যে কারণে বাবার মতই একনায়কতন্ত্র কায়েম করে আজীবন ক্ষমতায় থাকার অলিক স্বপ্ন দেখেছিল।

ফলে দেশ ও গনবিরোধী নানা কার্যকলাপ চালায়। এতে স্বাভাবিক গতিপথ রুদ্ধ হয়। যার পরিণতিতে চব্বিশের ৫ আগষ্ট ঘটেছে। এখন সুযোগ এসেছে দেশকে সঠিক পথে পরিচালিত করার। এজন্য সমাজের সকল স্তরের দায়িত্বশীলদের অবদান রাখতে হবে। বিশেষ করে পেশাজীবীদের। আর এক্ষেত্রে প্রকৌশলীদের গুরুত্ব খুবই বেশি। কারণ প্রকৌশলীরাই উন্নয়নের মূল কারিগর।

তাই আপনাদেরকে যোগ্যতা ও দক্ষতার সাথে সততার সমন্বয় সাধনে অগ্রগামী করার লক্ষ্যে আমাদের এই আয়োজন। আসুন দেশের কল্যাণে নিজেদেরকে নিয়োজিত করতে এফডিইবি এর পতাকাতলে সমবেত হয়ে মেধা, মনন ও চেতনাকে ইমান দীপ্ত করি। শাণিত করি বোধ ও বিশ্বাস কে। তাহলেই আমরা কাঙ্খিত নতুন বাংলাদেশ গড়তে পারবো ইনশাআল্লাহ।

শেষে এফডিইবি এর সৈয়দপুর ইউনিট গঠনের লক্ষ্যে একটা সম্মেলন প্রস্তুুতি কমিটি ঘোষণা করা হয়। এতে প্রকৌশলী মতিন হাশিম কে সভাপতি, প্রকৌশলী শামীম সাহিদকে সেক্রেটারি ও প্রকৌশলী আল আমিনকে কোষাধ্যক্ষ মনোনীত করা হয়। আর পূর্ণাঙ্গ কমিটি গঠন পর্যন্ত এই প্রস্তুতি কমিটির তত্বাবধানের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে এফডিইবি এর জেলা সেক্রেটারি রেলওয়ের সহকারীত বিদ্যুৎ প্রকৌশলী মো. শাহজাহান মোল্লাকে। পরে দোয়ার মাধ্যমে অনুষ্ঠান সমাপ্ত করা হয়।

জনপ্রিয় সংবাদ

সৈয়দপুরে পিআইও এর ১০ শতাংশ কমিশন এখনও বহাল

সৈয়দপুরে এফডিইবি’র উদ্যোগে প্রকৌশলী সমাবেশ অনুষ্ঠিত

প্রকাশিত ০৬:৩০:১০ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৪ জুলাই ২০২৫

ফোরাম অব ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ার্স বাংলাদেশ (এফডিইবি) এর উদ্যোগে নীলফামারীর সৈয়দপুরে প্রকৌশলী সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে। পেশাজীবীদের সাথে মতবিনিময় এর অংশ হিসেবে এই সমাবেশের আয়োজন করা হয়।

বুধবার (২৩ জুলাই) সন্ধা সাড়ে ৭ টায় আল ফারুক একাডেমির হলরুমে আয়োজিত সমাবেশে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সংগঠনটির নীলফামারী জেলা উপদেষ্টা বিশিষ্ট শিক্ষাবিদ হাফেজ ড. মো. খায়রুল আনাম।

বিশেষ অতিথি ছিলেন এফডিইবি এর জেলা সভাপতি প্রকৌশলী আখতারুজ্জামান ও সৈয়দপুর উপজেলা উপদেষ্টা হাফেজ মাওলানা আব্দুল মুনতাকিম, শহর উপদেষ্টা শরফুদ্দিন খান।

সভাপতিত্ব করেন বাংলাদেশ রেলওয়ে সৈয়দপুরের সিনিয়র সহকারী বৈদ্যুতিক প্রকৌশলী মো. শাহজাহান মোল্লা। সঞ্চালনা করেন পেশাজীবি বিভাগের সেক্রেটারী সেকেন্দার৷ আলী। ডিপ্লোমা প্রকৌশলীদের মধ্যে মুক্ত আলোচনায় অংশ নেন নিজামুল হক, মমিনুল ইসলাম।

বিশেষ অতিথি জেলা সভাপতি প্রকৌশলী আখতারুজ্জামান বলেন, আমাদের দেশে সম্পদের অভাব নেই। অভাব শুধু ভালো মানুষ। দেশে সকল পেশাজীবীদেরই সংগঠন আছে। সব সংগঠনেরই উদ্দেশ্য ভালো। অর্থাৎ দেশের উন্নয়ন ও কল্যাণ। কিন্তু সেসব সংগঠনের সাথে এফডিইবির মৌলিক পার্থক্য হচ্ছে দেশের মেধাবী মানুষগুলোকে যোগ্য ও দক্ষ করে গড়ে তোলার পাশাপাশি একজন সৎ মানুষ হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করা।

আমরা ডিপ্লোমা প্রকৌশলীরা যদি আল্লাহর দেয়া ও তাঁর রাসূলের রেখে যাওয়া আল কুরআন ও সুন্নাহর আলোকে নিজেদের তৈরি করতে পারি তাহলে দেশকে অনৈতিকতা তথা দূর্নীতি ও অপশাসন থেকে মুক্ত করতে পারবো। কারণ প্রকৌশলীরা রাষ্ট্রের গুরুত্বপূর্ণ ক্ষেত্রে দায়িত্বরত। আর আমাদের দেশের প্রকৌশলী সেক্টর ব্যাপকভাবে দূর্নীতিগ্রস্থ

অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হাফেজ ড. মো. খায়রুল আনাম বলেন, যোগ্যতা ও সততার সমন্বয় ছাড়া প্রকৃত কল্যাণ সাধন করা সম্ভব নয়। আমাদের অনেক উন্নয়ন হয়েছে কিন্তু নৈতিকতায় আমরা বিশ্বের মধ্যে সবচেয়ে নিম্নমানের। আর সে কারণেই এখনো আমরা সুধ, ঘুস, দূর্নীতি, চাঁদাবাজি, লুট, সন্ত্রাস, ধর্ষণ, রাহাজানি, খুন, গুম থেকে মুক্ত হতে পারিনি।

একসময় সাড়ে সাত কোটি মানুষও খেতে না পেয়ে মারা গেছে। আর এখন দ্বিগুণেরও বেশি মানুষ হলেও না খেয়ে কেউ মরেনা। বরং বেশি খেয়েই মরে। অথচ জমি যা ছিল তাই আছে। বরং কমেছে। শুধু প্রযুক্তি, মেধা আর প্রচেষ্টার ফলে এটা সম্ভব হয়েছে। এক্ষেত্রে প্রকৌশলীদের ভূমিকা অনেক। কিন্তু মানবিক ও নৈতিক ক্ষেত্রে ন্যুনতম অগ্রগতি নাই।

একারণে অনিয়ম দূর্নীতিতে আচ্ছন্ন দেশ। সততার অভাবে জাতি বিপথে পরিচালিত হয়েছে। ফ্যাসিস্টের উৎপত্তি হয়েছে। জনগণ অধিকারহারা হয়েছে। শেখ হাসিনা যোগ্য হলেও সততা না থাকায় কল্যাণমুখী না হয়ে প্রতিহিংসার রাজনীতিতে মেতে বিরোধী দল মত নিধনে মত্ত হয়েছিল। যে কারণে বাবার মতই একনায়কতন্ত্র কায়েম করে আজীবন ক্ষমতায় থাকার অলিক স্বপ্ন দেখেছিল।

ফলে দেশ ও গনবিরোধী নানা কার্যকলাপ চালায়। এতে স্বাভাবিক গতিপথ রুদ্ধ হয়। যার পরিণতিতে চব্বিশের ৫ আগষ্ট ঘটেছে। এখন সুযোগ এসেছে দেশকে সঠিক পথে পরিচালিত করার। এজন্য সমাজের সকল স্তরের দায়িত্বশীলদের অবদান রাখতে হবে। বিশেষ করে পেশাজীবীদের। আর এক্ষেত্রে প্রকৌশলীদের গুরুত্ব খুবই বেশি। কারণ প্রকৌশলীরাই উন্নয়নের মূল কারিগর।

তাই আপনাদেরকে যোগ্যতা ও দক্ষতার সাথে সততার সমন্বয় সাধনে অগ্রগামী করার লক্ষ্যে আমাদের এই আয়োজন। আসুন দেশের কল্যাণে নিজেদেরকে নিয়োজিত করতে এফডিইবি এর পতাকাতলে সমবেত হয়ে মেধা, মনন ও চেতনাকে ইমান দীপ্ত করি। শাণিত করি বোধ ও বিশ্বাস কে। তাহলেই আমরা কাঙ্খিত নতুন বাংলাদেশ গড়তে পারবো ইনশাআল্লাহ।

শেষে এফডিইবি এর সৈয়দপুর ইউনিট গঠনের লক্ষ্যে একটা সম্মেলন প্রস্তুুতি কমিটি ঘোষণা করা হয়। এতে প্রকৌশলী মতিন হাশিম কে সভাপতি, প্রকৌশলী শামীম সাহিদকে সেক্রেটারি ও প্রকৌশলী আল আমিনকে কোষাধ্যক্ষ মনোনীত করা হয়। আর পূর্ণাঙ্গ কমিটি গঠন পর্যন্ত এই প্রস্তুতি কমিটির তত্বাবধানের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে এফডিইবি এর জেলা সেক্রেটারি রেলওয়ের সহকারীত বিদ্যুৎ প্রকৌশলী মো. শাহজাহান মোল্লাকে। পরে দোয়ার মাধ্যমে অনুষ্ঠান সমাপ্ত করা হয়।