১২:০৬ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ০৮ ডিসেম্বর ২০২৫

জুলাই থেকে বন্ধ হচ্ছে বিমানের নারিতা ফ্লাইট

  • অনলাইন ডেস্ক
  • প্রকাশিত ০১:২৯:৫০ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ১৯ মে ২০২৫
  • ১৩৭ বার পড়া হয়েছে
বিমানের বহুল আলোচিত ঢাকা-নারিতা ফ্লাইট আগামী ১ জুলাই থেকে বন্ধ হয়ে যাচ্ছে। রবিবার (১৮ মে)  বিমানের মুখপাত্র মহাব্যবস্থাপক (জনসংযোগ) এ বি এম রওশন কবীর এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

তিনি জানিয়েছেন, ওই রুটে যারা অগ্রিম টিকিট কেটেছিলেন, তারা কোনো বাড়তি খরচ ছাড়াই রিফান্ড বা পূর্ণ অর্থ ফেরত নিতে পারবেন। এ জন্য বিমানের নিজস্ব সেলস অফিস, কাউন্টার বা সংশ্লিষ্ট এজেন্টদের সঙ্গে যোগাযোগ করতে হবে।

নারিতা আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর বিশ্বের অষ্টম ব্যস্ততম মালামালবাহী বিমানবন্দর। জাপান এয়ারলাইনস, অল নিপ্পন এয়ারওয়েজ এবং নিপ্পন কার্গো এয়ারওয়েজ এই বিমানবন্দরটিকে প্রধান আন্তর্জাতিক কেন্দ্র হিসেবে ব্যবহার করে। যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক ডেলটা এয়ারলাইনস এই বিমানবন্দরকে এশিয়ার প্রধান কেন্দ্র হিসেবে ব্যবহার করে।

২০২৩ সালের ১ সেপ্টেম্বর ঢাকা থেকে জাপানের নারিতা রুটের ফ্লাইট পরিচালনা শুরু করে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনস। তবে শুরু থেকেই যাত্রী সংকটে ছিল এই রুট। ফলে রাষ্ট্রীয় এই প্রতিষ্ঠানটি ঢাকা-নারিত-ঢাকা রুটে লোকসান দিয়ে আসছিল।

রুটটি বন্ধ করে দেওয়ার কারণ সম্পর্কে বিমানের মুখপাত্র রওশন কবীর জানান, বিমানের বহরে এয়ারক্র্যাফট স্বল্পতা রয়েছে। বর্তমানে হজ ফ্লাইট চলায় এয়ারক্র্যাফট স্বল্পতা আরো বেড়েছে। তা ছাড়া ব্যাবসায়িক বাস্তবতার নিরিখে ওই রুটে ফ্লাইট পরিচালনা আগামী ১ জুলাই থেকে স্থগিত ঘোষণা করা হয়েছে।

নারিতা আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর জাপানের সর্ববৃহৎ আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর। এটি টোকিও স্টেশনের ৫৭.৫ কিলোমিটার (৩৫.৭ মাইল) পূর্বে এবং নারিতা স্টেশন থেকে ৭ কিমি (৪.৩ মাইল) দক্ষিণ-পূর্বে নারিতা শহরে অবস্থিত। বিমানবন্দরটির কিছু অংশ শিবায়ামা শহরে অবস্থিত।

জাপানে আগত বা জাপানগামী অধিকাংশ যাত্রীবাহী বিমান চলাচল নারিতা আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর দিয়ে সম্পন্ন হয়। এছাড়া এই বিমানবন্দর এশিয়া এবং আমেরিকা মহাদেশের মধ্যে বিমান চলাচলের একটি গুরুত্বপূর্ণ কেন্দ্র। ২০০৭ সালে ৩৫,৪৭৮,১৪৬ জন যাত্রী এই বিমানবন্দর দিয়ে যাতায়াত করেছে। এটি জাপানের দ্বিতীয় ব্যস্ততম যাত্রীবাহী এবং আকাশ-পথে মালামাল পরিবহনের ক্ষেত্রে সবচেয়ে ব্যস্ততম বিমানবন্দর।

জনপ্রিয় সংবাদ

তৃতীয় পক্ষে আন্দোলনে লম্বা ছুটিতে সাবরেজিস্টার, ভোগান্তিতে জমি দাতা ও গ্রহীতারা

জুলাই থেকে বন্ধ হচ্ছে বিমানের নারিতা ফ্লাইট

প্রকাশিত ০১:২৯:৫০ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ১৯ মে ২০২৫
বিমানের বহুল আলোচিত ঢাকা-নারিতা ফ্লাইট আগামী ১ জুলাই থেকে বন্ধ হয়ে যাচ্ছে। রবিবার (১৮ মে)  বিমানের মুখপাত্র মহাব্যবস্থাপক (জনসংযোগ) এ বি এম রওশন কবীর এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

তিনি জানিয়েছেন, ওই রুটে যারা অগ্রিম টিকিট কেটেছিলেন, তারা কোনো বাড়তি খরচ ছাড়াই রিফান্ড বা পূর্ণ অর্থ ফেরত নিতে পারবেন। এ জন্য বিমানের নিজস্ব সেলস অফিস, কাউন্টার বা সংশ্লিষ্ট এজেন্টদের সঙ্গে যোগাযোগ করতে হবে।

নারিতা আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর বিশ্বের অষ্টম ব্যস্ততম মালামালবাহী বিমানবন্দর। জাপান এয়ারলাইনস, অল নিপ্পন এয়ারওয়েজ এবং নিপ্পন কার্গো এয়ারওয়েজ এই বিমানবন্দরটিকে প্রধান আন্তর্জাতিক কেন্দ্র হিসেবে ব্যবহার করে। যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক ডেলটা এয়ারলাইনস এই বিমানবন্দরকে এশিয়ার প্রধান কেন্দ্র হিসেবে ব্যবহার করে।

২০২৩ সালের ১ সেপ্টেম্বর ঢাকা থেকে জাপানের নারিতা রুটের ফ্লাইট পরিচালনা শুরু করে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনস। তবে শুরু থেকেই যাত্রী সংকটে ছিল এই রুট। ফলে রাষ্ট্রীয় এই প্রতিষ্ঠানটি ঢাকা-নারিত-ঢাকা রুটে লোকসান দিয়ে আসছিল।

রুটটি বন্ধ করে দেওয়ার কারণ সম্পর্কে বিমানের মুখপাত্র রওশন কবীর জানান, বিমানের বহরে এয়ারক্র্যাফট স্বল্পতা রয়েছে। বর্তমানে হজ ফ্লাইট চলায় এয়ারক্র্যাফট স্বল্পতা আরো বেড়েছে। তা ছাড়া ব্যাবসায়িক বাস্তবতার নিরিখে ওই রুটে ফ্লাইট পরিচালনা আগামী ১ জুলাই থেকে স্থগিত ঘোষণা করা হয়েছে।

নারিতা আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর জাপানের সর্ববৃহৎ আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর। এটি টোকিও স্টেশনের ৫৭.৫ কিলোমিটার (৩৫.৭ মাইল) পূর্বে এবং নারিতা স্টেশন থেকে ৭ কিমি (৪.৩ মাইল) দক্ষিণ-পূর্বে নারিতা শহরে অবস্থিত। বিমানবন্দরটির কিছু অংশ শিবায়ামা শহরে অবস্থিত।

জাপানে আগত বা জাপানগামী অধিকাংশ যাত্রীবাহী বিমান চলাচল নারিতা আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর দিয়ে সম্পন্ন হয়। এছাড়া এই বিমানবন্দর এশিয়া এবং আমেরিকা মহাদেশের মধ্যে বিমান চলাচলের একটি গুরুত্বপূর্ণ কেন্দ্র। ২০০৭ সালে ৩৫,৪৭৮,১৪৬ জন যাত্রী এই বিমানবন্দর দিয়ে যাতায়াত করেছে। এটি জাপানের দ্বিতীয় ব্যস্ততম যাত্রীবাহী এবং আকাশ-পথে মালামাল পরিবহনের ক্ষেত্রে সবচেয়ে ব্যস্ততম বিমানবন্দর।