বেশকিছুদিন ধরে ডিএপি (ড্যাপ)সারের কৃত্রিম সংকট দেখিয়ে বেশি দামে কৃষকদের মাঝে সার বিক্রি করছিল খুচরা ব্যবসায়ী ও বিসিআইসি ডিলাররা।
এ নিয়ে গত ১৫ জুলাই দৈনিক ইত্তেফাকের অনলাইন ভার্সনে নীলফামারীতে সারের কৃত্রিম সংকট, ১ হাজার ৫০ টাকার সার ১৭শ টাকায় বিক্রি শিরোনামে সংবাদ প্রকাশিত হয়। সংবাদ প্রকাশের পরই বিসিআইসি ডিলারদের নিয়ে বৈঠক করেন উপজেলা নির্বাহী অফিসার প্রীতম সাহা। বুধবার বিসিআইসি ডিলারদের গোডাউন পরিদর্শন ও খুচরা বাজারে অভিযানের খবর পেয়ে দোকান বন্ধ করে পালিয়ে যান কিশোরগঞ্জ বাজারের সার ব্যাবসায়ীরা।
জানা গেছে, বুধবার দুপুরে উপজেলা নির্বাহী অফিসার প্রীতম সাহা উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা লোকমান আলমসহ খুচরা ব্যবসায়ীদের দোকানে অভিযান চালিয়ে সার ব্যবস্থাপনা ও ভোক্তা অধিকার আইনে দুই ব্যবসায়ীর ১০ হাজার করে ২০ হাজার টাকা জরিমানা করেন।
জরিমানা প্রাপ্ত ব্যবসায়ীরা হলেন, উপজেলা বাজারের সার ব্যবসায়ী আলমগীর হোসেন ও জাহাঙ্গীর আলম। উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা লোকমান আলম জানান, এর আগে বড়ভিটা বাজারের ভাই ভাই ট্রেডার্সের মালিক নাজমুল হুদাকে ১৫ হাজার টাকা জরিমানা করে ভ্যাম্যমান আদালতের বিচারক। তিনি বলেন নাজমুল কৃষকদের মাঝে বেশি দামে সার বিক্রি করছিল এ কারনে তাঁর জরিমানা করা হয়েছে।
উপজেলা নির্বাহী অফিসার প্রীতম সাহা বলেন, দোকানে লাইসেন্স ছাড়া সার বিক্রি, বেশি দাম নিয়ে কৃষকদের কাছে সার বিক্রি দোকানে মুল্য তালিকা না টাঙ্গানোসহ বিভিন্ন অপরাধে ওই ব্যবসায়ীদের জরিমানা করা হয়েছে। আগামীতে কৃষকদের স্বার্থ সংশ্লিষ্ট যে কোন বিষয়ের জন্য অভিযান পরিচালনা করা হবে। এক কথায় আমাদের অভিযান অব্যাহত থাকবে।


























