০৯:৫২ অপরাহ্ন, রবিবার, ০৭ ডিসেম্বর ২০২৫

অধ্যক্ষের বিরুদ্ধে নিয়োগ বানিজ্যের প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন

নীলফামারীর কিশোরগঞ্জে বড়ভিটা আফজালুল উলুম (এইউ) বহুমুখী ফাজিল মাদ্রাসার অধ্যক্ষের বিরুদ্ধে নিয়োগ বাণিজ্যসহ নানা অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগে সংবাদ সম্মেলন করেছেন একাধিক ভুক্তভোগীসহ এলাকাবাসী। সোমবার (১৪ জুলাই) দুপুরে মাদ্রাসা সংলগ্ন বড়ভিটা ইউনিয়নের উত্তর বড়ভিটা বিন্ন্যাকুড়ি এলাকায় সংবাদ সম্মেলন করেন।

সংবাদ সম্মেলনে ভুক্তভোগী ও মাদ্রাসায় নিয়োগপ্রাপ্ত এম.এম.এল.এস মোঃ মনারুল ইসলাম, আয়া পদে নিয়োগপ্রাপ্ত লায়লা আক্তারের স্বামী মামুনুর রহমান ও রহিদুল ইসলাম বলেন, মাদ্রাসার অধ্যক্ষ এমএলএসএস পদে মনারুল ইসলামের কাছে ১২ লক্ষ টাকা, আয়া পদে লায়লা আক্তারের কাছে ১৪ লক্ষ টাকা গ্রহণ পূর্বক ৯ অক্টোবর ২০২৫ সালের নিয়োগ নির্বাচনী বোর্ডেও সুপারিশ ও গভর্নিং বডির সিদ্ধান্ত মোতাবেক ১২ অক্টোবর ২০২৫ সালে নিয়োগপত্র প্রদান করে। নিয়োগপত্রের আলোকে ১৩ অক্টোবর ২০১৫ তারিখ অত্র প্রতিষ্ঠানে যোগদান করে নিয়মিত চাকুরী করে আসছি।

দীর্ঘদিন ধরে বেতন না হওয়ায় আমাদের সন্দেহ হয়। পরে জানতে পারি এমএলএসএস পদে অধ্যক্ষ তার নিকট আত্বীয় ও আয়া পদে অন্য একজনকে এমপিও সিটে নাম অর্ন্তভূক্ত করেন। দীর্ঘ পাঁচ বছর চাকুরী করার পরও আমাদের সাথে প্রতারণা করে অন্যদের নিয়োগ প্রদান ও এমপিও সিটে নাম অর্ন্তভূক্ত করার প্রতিবাদ করা হলে অধ্যক্ষ অহিদুল ইসলাম আমাদের বিভিন্ন হুমকী প্রদান করে। আমরা আপনাদের মাধ্যমে চাকুরী ফেরত অথবা টাকা ফেরতসহ প্রতারক অধ্যক্ষ অহিদুল ইসলামের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবী করছি।

সংবাদ সম্মেলনে রহিদুল ইসলাম নামে একজন এলাকাবাসী জানান, অধ্যক্ষ অহিদুল ইসলাম ফ্যাসিস্ট আওয়ামী লীগের অঙ্গসংগঠন ওলামালীগের একজন সক্রিয় সদস্য। সে তার ছেলেকেও অনিয়ম জালিয়াতি করে চাকুরী দিয়েছেন। তিনি আরও অভিযোগ করেন, অধ্যক্ষ তার দুইজন জামাতা ও শ্যালকের দুই ছেলেকে চাকুরী দিয়ে পারিবারিক প্রতিষ্ঠানে পরিণত করেছেন। এছাড়া তিনি প্রতিষ্ঠানটিতে বিভিন্ন অনিয়ম দুর্নীতি করে কোটি কোটি টাকা হাতিয়ে নিয়েছে। এ প্রতারক অধ্যক্ষের শাস্তি দাবি জানাচ্ছি।

অধ্যক্ষ মাওলানা অহিদুল ইসলাম জানান, মাদ্রাসাটির প্রতিষ্ঠাতার ছেলে মরহুম আমজাদ হোসেন ওই পদে নিয়োগের জন্য টাকা নেয়। পরে আমাকে নিয়োগপত্র প্রদান করতে বললে আমি নিয়োগপত্র প্রদান করি। পরে আবার মরহুম আমজাদ হোসেনের মৃত্যু আগে তাদের টাকা আমি ফেরত দিয়েছে। তিনি নিকট আত্বীয়দের নিয়োগ প্রদান করে পারিবারিক প্রতিষ্ঠান করা ও ওলামা লীগের সদস্যের বিষয়টি অস্বীকার করেন।

জনপ্রিয় সংবাদ

তৃতীয় পক্ষে আন্দোলনে লম্বা ছুটিতে সাবরেজিস্টার, ভোগান্তিতে জমি দাতা ও গ্রহীতারা

অধ্যক্ষের বিরুদ্ধে নিয়োগ বানিজ্যের প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন

প্রকাশিত ০৫:২১:০৬ অপরাহ্ন, সোমবার, ১৪ জুলাই ২০২৫

নীলফামারীর কিশোরগঞ্জে বড়ভিটা আফজালুল উলুম (এইউ) বহুমুখী ফাজিল মাদ্রাসার অধ্যক্ষের বিরুদ্ধে নিয়োগ বাণিজ্যসহ নানা অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগে সংবাদ সম্মেলন করেছেন একাধিক ভুক্তভোগীসহ এলাকাবাসী। সোমবার (১৪ জুলাই) দুপুরে মাদ্রাসা সংলগ্ন বড়ভিটা ইউনিয়নের উত্তর বড়ভিটা বিন্ন্যাকুড়ি এলাকায় সংবাদ সম্মেলন করেন।

সংবাদ সম্মেলনে ভুক্তভোগী ও মাদ্রাসায় নিয়োগপ্রাপ্ত এম.এম.এল.এস মোঃ মনারুল ইসলাম, আয়া পদে নিয়োগপ্রাপ্ত লায়লা আক্তারের স্বামী মামুনুর রহমান ও রহিদুল ইসলাম বলেন, মাদ্রাসার অধ্যক্ষ এমএলএসএস পদে মনারুল ইসলামের কাছে ১২ লক্ষ টাকা, আয়া পদে লায়লা আক্তারের কাছে ১৪ লক্ষ টাকা গ্রহণ পূর্বক ৯ অক্টোবর ২০২৫ সালের নিয়োগ নির্বাচনী বোর্ডেও সুপারিশ ও গভর্নিং বডির সিদ্ধান্ত মোতাবেক ১২ অক্টোবর ২০২৫ সালে নিয়োগপত্র প্রদান করে। নিয়োগপত্রের আলোকে ১৩ অক্টোবর ২০১৫ তারিখ অত্র প্রতিষ্ঠানে যোগদান করে নিয়মিত চাকুরী করে আসছি।

দীর্ঘদিন ধরে বেতন না হওয়ায় আমাদের সন্দেহ হয়। পরে জানতে পারি এমএলএসএস পদে অধ্যক্ষ তার নিকট আত্বীয় ও আয়া পদে অন্য একজনকে এমপিও সিটে নাম অর্ন্তভূক্ত করেন। দীর্ঘ পাঁচ বছর চাকুরী করার পরও আমাদের সাথে প্রতারণা করে অন্যদের নিয়োগ প্রদান ও এমপিও সিটে নাম অর্ন্তভূক্ত করার প্রতিবাদ করা হলে অধ্যক্ষ অহিদুল ইসলাম আমাদের বিভিন্ন হুমকী প্রদান করে। আমরা আপনাদের মাধ্যমে চাকুরী ফেরত অথবা টাকা ফেরতসহ প্রতারক অধ্যক্ষ অহিদুল ইসলামের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবী করছি।

সংবাদ সম্মেলনে রহিদুল ইসলাম নামে একজন এলাকাবাসী জানান, অধ্যক্ষ অহিদুল ইসলাম ফ্যাসিস্ট আওয়ামী লীগের অঙ্গসংগঠন ওলামালীগের একজন সক্রিয় সদস্য। সে তার ছেলেকেও অনিয়ম জালিয়াতি করে চাকুরী দিয়েছেন। তিনি আরও অভিযোগ করেন, অধ্যক্ষ তার দুইজন জামাতা ও শ্যালকের দুই ছেলেকে চাকুরী দিয়ে পারিবারিক প্রতিষ্ঠানে পরিণত করেছেন। এছাড়া তিনি প্রতিষ্ঠানটিতে বিভিন্ন অনিয়ম দুর্নীতি করে কোটি কোটি টাকা হাতিয়ে নিয়েছে। এ প্রতারক অধ্যক্ষের শাস্তি দাবি জানাচ্ছি।

অধ্যক্ষ মাওলানা অহিদুল ইসলাম জানান, মাদ্রাসাটির প্রতিষ্ঠাতার ছেলে মরহুম আমজাদ হোসেন ওই পদে নিয়োগের জন্য টাকা নেয়। পরে আমাকে নিয়োগপত্র প্রদান করতে বললে আমি নিয়োগপত্র প্রদান করি। পরে আবার মরহুম আমজাদ হোসেনের মৃত্যু আগে তাদের টাকা আমি ফেরত দিয়েছে। তিনি নিকট আত্বীয়দের নিয়োগ প্রদান করে পারিবারিক প্রতিষ্ঠান করা ও ওলামা লীগের সদস্যের বিষয়টি অস্বীকার করেন।