নীলফামারীতে ২০ গ্রামের ভরসা একটি বাঁশের সাঁকো

নীলফামারীর সৈয়দপুরে খরখড়িয়া নদীর ওপরে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে বাঁশের সাঁকো দিয়ে প্রতিদিন দুর্ভোগে পারপার হচ্ছে ২০ গ্রামের প্রায় ৩০ হাজার মানুষ। তাদের একমাত্র ভরসা এই বাঁশের সাঁকোটি।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়,সৈয়দপুর উপজেলা শহড় ও নীলফামারী জেলা শহড়ে যাওয়ার একমাত্র রাস্তা এটি। সৈয়দপুর পৌর এলাকার মধ্যভাগে রয়েছে খরখড়িয়া নদী।পূর্বদিকে বোতলাগাড়ী ইউনিয়নের তেলিপাড়া ও পশ্চিম দিকে বসুনিয়াপাড়া। দুইদিকে প্রায় ২০ গ্রামের লোকের বসতবাড়ী। প্রায় ৬০ বছর ধরে জীবনের ঝুকি নিয়ে তেলীপাড়া, পাঠান পাড়া, প্রামাণিক পাড়া, বালাপাড়া, বড়দহ, বসুনিয়াপাড়া, জানেরপার সহ সৈয়দপুর পৌর এলাকার ২০টি গ্রামের ভ্যান, মটর সাইকেল,শিক্ষার্থী চলাচল করছে এই সাঁকো দিয়ে। স্থানীয় বাসিন্দারা নদীতে বাঁশের সাঁকো তৈরি করে চলাচল করেন। বাঁশের সাঁকো ভেঙ্গে গেলে স্থানীয়রা কলার গাছের ভেলা তৈরী করে পারাপার করেন।স্থানীয়দের অভিযোগ ভোটের সময় জনপ্রতিনিধিরা ব্রীজ নির্মাণের প্রতিশ্রুতি দিলেও ভোট শেষে সব ভুলে যান।তাই অবিলম্বে এখানে একটি ব্রীজ নির্মাণের দাবি জানান।
স্থানীয় বাসিন্দা বাদশা মিয়া বলেন, সৈয়দপুর উপজেলা শহড় ও জেলা শহড়ে যাওয়ার একমাত্র ভরসা খরখরিয়া নদীর উপড়ে বাঁশের সাঁকো। আমরা এলাকাবাসি বাঁশের সাঁকোটি তৈরী করি। জীবনের ঝুঁকি নিয়ে যাতায়াত করেন হাজার হাজার মানুষ। অনেক সময় বড় ধরনের দুর্ঘটনাও ঘটেছে সাঁকোটিতে। নির্বাচনের সময় ভোট নেওয়ার জন্য অনেক নেতা ও জনপ্রতিনিধিরা আশ্বাস দেন, কিন্তু ভোট শেষ হলে তাদের আর দেখা মেলে না। বর্ষার মৌসুমে নদীর ¯্রােতে সাঁকোটি ভেঙ্গে যায়,তখন আমরা কলার গাছের ভেলা তৈরী করে পারাপার করে থাকি।
স্থানীয় ব্যক্তি আজমল হক বলেন, প্রতিদিন বাঁশের সাঁকো দিয়ে শত শত শিক্ষার্থীরা জীবনের ঝুকি নিয়ে চলাচল করেন। কয়েকদিন আগে এই সাঁকো দিয়ে পার হতে গিয়ে এক ভ্যান চালক ও এক স্কুল ছাত্র নদীতে পড়ে গিয়েছিল। স্থানীয়রা তাদের উদ্ধার করে হাসপাতালে পাঠান। তারা গুরুত্বর আহত হয়েছেন,এখনো হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন। বিভিন্ন নেতা ও জনপ্রতিনিধিরা ব্রীজ নির্মাণের প্রতিশ্রুতি দেন, কিন্তু আজও কোন ফল নেই।
বোতলাগাড়ী ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মোঃ মনিরুজ্জামান জুন বলেন, ব্রীজের জন্য সংশ্ষ্ট দপ্তরে যোগাযোগ করা হয়েছে। শুনেছি ব্রীজের জন্য প্রস্তাব পাঠানো হয়েছে। তারা আশ্বাস দেন জরুরী ব্যবস্থা করবেন।
নীলফামারী এলজিইডির নির্বাহী প্রকৌশলী মোঃ ফিরোজ হাসান বলেন,আমি খোঁজ নিয়ে মানুষের দুর্ভোগ নিরসনের জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিবো।

  • Related Posts

    সৈয়দপুরে শহিদ জিয়ার জন্মদিন পালন

    নীলফামারীর সৈয়দপুর রাজনৈতিক জেলা বিএনপি ও অঙ্গ দল সমূহ শহিদ প্রেডিডেন্ট জিয়াউর রহমানের ৮৯তম জন্মদিন পালন করেছে। এ দিবস উপলক্ষে, ১৯ (জানুয়ারি) রবিবার সকালে জিয়াউর রহমানের প্রতিকৃতিতে পুষ্পমাল্য অর্পণ ও…

    Continue reading
    সৈয়দপুরে রেল লাইনের উপর দোকান দুর্ঘটনার আশংকা

    নীলফামারীর সৈয়দপুরে রেললাইনের উপর গড়ে উঠেছে অস্থায়ী শীত বস্ত্রের দোকান। ওই দোকানগুলো গরীব-অসহায় মানুষের ভরসাস্থল হলেও ট্রেন দুর্ঘটনায় মানুষজনের প্রাণহানির আশংকায় পরিনত হয়েছে। সৈয়দপুর রেলওয়ে স্টেশন থেকে ২শ’ গজ দুরে…

    Continue reading

    Leave a Reply

    Your email address will not be published. Required fields are marked *

    মুক্ত মতামত

    বিভ্রান্তিকর ও স্বার্থপরতার আন্দোলন!

    বিভ্রান্তিকর ও স্বার্থপরতার আন্দোলন!

    ‘রাজাকার’ ইস্যু বানিয়ে একই ঘটনার বারবার পুনরাবৃত্তি

    প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্য বিকৃত করে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টির অপচেষ্টা

    আজকের আন্দোলনকারীরা কি ২০১৮ এর ভুলটিই করবেন?

    আজকের আন্দোলনকারীরা কি ২০১৮ এর ভুলটিই করবেন?

    নিয়োগ পরীক্ষায় পাস না করেও কি কোটা ব্যবস্থায় চাকরি পাওয়া যায়?

    কোটা পুনর্বহালে স্থিতাবস্থা মানে কি?

    প্রধানমন্ত্রীর সফরে পাঁচ মূলনীতির উন্নয়ন করতে চায় চীন

    সরকারি চাকরিতে ১০ ভাগ কোটা ভাবা যেতে পারে

    সরকারি চাকরিতে ১০ ভাগ কোটা ভাবা যেতে পারে

    বন্ধুত্বপূর্ণ পররাষ্ট্রনীতি: বাংলাদেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নের অনুঘটক

    বন্ধুত্বপূর্ণ পররাষ্ট্রনীতি: বাংলাদেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নের অনুঘটক

    ভারত-বাংলাদেশ সামরিক চুক্তির লাভ-ক্ষতি

    ভারত-বাংলাদেশ সামরিক চুক্তির লাভ-ক্ষতি