দিনাজপুরের চিরিরবন্দরে ২৪ ঘন্টার মধ্যে আদিবাসী নৈশ প্রহরীকে হত্যা করে বাঁশঝাড়ে ফেলে দেয়ার ক্লুলেস হত্যার প্রকৃত রহস্য উদঘাটনসহ দুই হত্যাকারিকে আটক করেছে চিরিরবন্দর থানা পুলিশ।
থানা সুত্রে জানা গেছে, উপজেলার পুনট্রি ইউনিয়নের গমিরাহাট উচ্চ বিদ্যালয়ের নৈশ প্রহরী ও একই ইউনিয়নের ঝাড়ুয়া পাড়ার মৃত সুপ্পন্ন সরেন এর ছেলে ফিলিমন সরেন (৬০) এর মরদেহ গত শুক্রবার দুপুরে তার বাড়ি হতে অর্ধ কিলোমিটার দূরে একটি বাঁশ ঝাড় হতে উদ্ধার করার ঘটনায় নিহতের বড় ছেলে আমিন সরেন বাদি হয়ে থানায় একটি মামলা করলে পুলিশ তদন্ত শুরু করে। (মামলা নং-১৩, তাং-৭-৭-২৩,ধারা ৩০২,২০১/৩৪) এরই প্রেক্ষিতে আধুনিক তথ্য প্রযুক্তি মোবাইলের লোকেশন চিহ্নিত করে দুইজনকে সনাক্ত করে ৫ জন পুলিশ কর্মকর্তার অভিযানের প্রেক্ষিতে তাদের আটক করলে ও তাদের দেয়া তথ্যে হত্যার কাজে ব্যবহৃত রড, রক্তমাখা জামা কাপড়, বাঁলিশ, কর্মস্থলের চাবি, বাঁশের লাঠি, রক্তমাখা পলিথিন ব্যাগসহ অন্যান্য সরঞ্জাম উদ্ধার করা হয়। তারা হত্যার দায় ¯^ীকার করে বিজ্ঞ সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেটের কাছে ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি দেয়। আটককৃতরা হল-পুনট্রি ইউনিয়নের ঝাড়–য়া পাড়ার ঢেনা হেমব্রম এর ছেলে ও নিহতের মেয়ের ভাতিজী জামাই রবিন হেমব্রম (৪০) ও রবিন হেমব্রম ছেলে রয়েল হেমব্রম (১৬)।
থানার অফিসার ইনচার্জ মোঃ বজলুর রশিদ জানান, ক্লুলেস ঘটনার প্রকৃত রহস্য উদঘাটনে পুলিশ ব্যাপক তৎপরতা শুরু করে। ২৪ ঘন্টার মধ্যে ক্লুলেস হত্যার মূল রহস্য উদঘাটনসহ হত্যাকারীদের আটক করা হয়েছে। হত্যাকারীরা নিহত চাচা শ্বশুরের জমি বন্ধকীর ১ লক্ষ ২০ হাজার টাকা হাতিয়ে নেয়ার জন্য ওই হত্যাকান্ড ঘটায় বলে তারা কারোক্তি দিয়েছে। তাদের স্থায়ী ঠিকানা হল দিনাজপুর জেলার বিরল উপজেলার লালকাতরী গ্রামে। তাদেরকে বিজ্ঞ আদালতে পাঠানো হয়েছে।
উল্লেখ্য গত ৭ জুলাই শুক্রবার দুপুর ১২ টায় পুলিশ উপজেলার পুনট্রি ইউনিয়নের পাঠান ডাঙ্গা গ্রামের আশ্রম পাড়ার সন্নিকটে বাঁশঝাড় হতে আদিবাসী নৈশ প্রহরীর অর্ধগলিত মরদেহটি উদ্ধার করে।