গর্ভনিং-বডির সভাপতিকে ম্যানেজ করে নীলফামারীর কিশোরগঞ্জ উপজেলার মাগুড়া ইউনিয়নের মাগুড়া দোলাপাড়া আলিম মাদ্রাসার অধ্যক্ষ আব্দুল খালেকের বিরুদ্ধে প্রায় ১৩ লক্ষ টাকা ঘুষ নিয়ে নিজের পছন্দের প্রার্থীকে নিয়োগ দেয়ার অভিযোগ উঠেছে। সম্প্রতি ওই মাদ্রাসার সহসুপার ও ল্যাব সহকারী নিয়োগের জন্য অধ্যক্ষের সিল ও স্বাক্ষর সংবলিত ১২ লাখ ৩৩ হাজার ৮০০ টাকার ভাগ বাটোয়ারার একটি ডায়েরীর পাতা প্রকাশ্যে আসায় তোলপাড় সৃষ্টি হয়েছে।
গত বুধবার সরজমিনে গিয়ে এলাকাবাসীর কাছ থেকে জানা গেছে, গত ২০২৪ সালে আওয়ামী পতিত সরকারের আমলে নিয়ম নীতির তোয়াক্কা না করে মাদ্রাসা অধ্যক্ষ আব্দুল খালেক গোপনেনাম সর্বস্ব একটি পত্রিকায় সহকারী সুপার ও ল্যাব সহকারী পদে নিয়োগের জন্য বিঞ্জপ্তি প্রকাশ করেন। বিঞ্জপ্তি প্রকাশের পর অধ্যক্ষ ওই দুই পদে নিয়োগ প্রদানের জন্য সহ সুপার আব্দুল মজিদ ও ল্যাব সহকারী নুর আলমের কাছে একটি সাদা ডায়েরীর পাতায় সিল ও স্বাক্ষর দিয়ে ১২ লাখ ৩৩ হাজার ৮০০ টাকা ঘুষ গ্রহণ করেন। ডায়েরীর পাতা ঘেঁটে দেখা গেছে, অধ্যক্ষ আব্দুল খালেক ওই দুই পদে নিয়োগের জন্য নিয়োগ কমিটির সদস্য, ডিজির প্রতিনিধি ,গর্ভনিং-বর্ডির সভাপতি সহ সকলের নামে ঘুষের টাকা আদায় করেন।
এ বিষয়ে মাগুড়া দোলাপাড়া আলিম মাদ্রাসার সহকারী অধ্যক্ষ আব্দুল মজিদের সাথে কথা বললে তিনি বলেন, আমি এনটিআরসি থেকে সুপারিশ প্রাপ্ত হয়ে এখানে যোগদান করেছি। ওই মাদ্রাসার ল্যাব সহকারী নুর আলমের সাথে কথা বললে তিনি ঘুষের বিষয়টি এড়িয়ে গিয়ে সাংবাদিকদের সাথে কথা বলতে অপারগতা প্রকাশ করেন।
মাগুড়া দোলাপাড়া আলিম মাদ্রাসার অধ্যক্ষ আব্দুল খালেকের সাথে কথা বললে তিনি বলেন, ডায়েরীর পাতায় যে স্বাক্ষর ও সিল রয়েছে তা আমার নয়। তিনি আরো বলেন, ভাই গত বছর নিয়োগ সম্পন্ন হয়েছে। বর্তমানে ওই দুই প্রার্থী মাদ্রাসায় যোগদান করেছে বিষয়টি নিয়ে বাড়াবাড়ি করা দরকার নেই। যেহুতু তাদের নিয়োগ হয়ে গেছে তাহলে ঝামেলা করার কি দরকার। এ বিষয়ে কথা বললে উপজেলা নির্বাহী অফিসার মৌসুমি হক বলেন, এ বিষয়ে কোন লিখিত অভিযোগ পেলে আইন অনুযায়ী ব্যাবস্থা গ্রহন করা হবে।
মাদ্রাসা শিক্ষা অধিদপ্তরের উপ পরিচালক (প্রশাসন) জাকির হোসাইনের সাথে কথা বললে তিনি বলেন, ঘুষ নিয়ে নিয়োগ দেয়ার কোন বিধান নেই। এ বিষয়ে লিখিত অভিযোগ পেলে তদন্ত সাপেক্ষে ওই অধ্যক্ষের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে।