দৈনিক নীলফামারী বার্তা

Category: লালমনিরহাট

  • ৮ দিনের ছুটির ফাঁদে বুড়িমারী স্থলবন্দর

    ৮ দিনের ছুটির ফাঁদে বুড়িমারী স্থলবন্দর

    পবিত্র ঈদুল ফিতর উপলক্ষে বুড়িমারী স্থলবন্দর ও শুল্ক স্টেশন সাপ্তাহিক ছুটিসহ আট দিন বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। বুড়িমারী স্থলবন্দরে (সিঅ্যান্ডএফ) অ্যাসোসিয়েশন এ ছুটির ঘোষণা করে। তবে বন্দর দিয়ে দুই দেশের পাসপোর্টধারী যাত্রী চলাচল স্বাভাবিক থাকবে।

    বুধবার (১৯ মার্চ) দুপুরে বুড়িমারী স্থলবন্দরের (সিঅ্যান্ডএফ) অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক নিয়াজ নাহিদ স্বাক্ষরিত এক চিঠির মাধ্যমে বুড়িমারী স্থলবন্দর সাপ্তাহিক ছুটিসহ আট দিন বন্ধ থাকার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

    স্থলবন্দর সূত্র জানায়, বুড়িমারী স্থলবন্দরের সিঅ্যান্ডএফ অ্যাসোসিয়েশনের সব সদস্যদের মতামতের ভিত্তিতে পবিত্র ঈদুল ফিতের উপলক্ষে ২৯ মার্চ শনিবার থেকে (৫ এপ্রিল পর্যন্ত বুড়িমারী স্থলবন্দর ও ভারতীয় চ্যাংরাবান্ধা স্থলবন্দরে আমদানি-রপ্তানি কার্যক্রম বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত হয়েছে। উভয় দেশের কাস্টমস, বন্দর কর্তৃপক্ষ ও ব্যবসায়ী সংগঠনগুলোর মাঝে ছুটির পত্র বিনিময় করা হয়েছে। রোববার (৬ এপ্রিল ) থেকে যথারীতি বন্দরের কার্যক্রম স্বাভাবিক থাকবে।

    বুড়িমারী স্থলবন্দরের (সিঅ্যান্ডএফ) অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি ফারুক হোসেন বলেন, দুই দেশের ব্যবসায়ীদের সঙ্গে আলোচনা সাপেক্ষে পবিত্র ঈদুল ফিতর উপলক্ষে বুড়িমারী স্থল বন্দরের শুল্ক স্টেশন ও সিএনএফ কার্যক্রম সাপ্তাহিক ছুটিসহ আট দিন বন্ধ থাকবে। আগামী ৬ এপ্রিল বন্দরের কার্যক্রম শুরু হবে।

    বুড়িমারী স্থলবন্দর পুলিশ অভিবাসন চৌকির (ইমিগ্রেশন) ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আশরাফুল ইসলাম বলেন, আমদানি-রপ্তানি বন্ধ থাকলেও পাসপোর্টধারী যাত্রী চলাচল চালু থাকবে।

    বুড়িমারী স্থল বন্দরের রাজস্ব কর্মকর্তা রাহাত হোসেন বলেন, সাপ্তাহিক ছুটি ব্যতীত পবিত্র ঈদুল ফিতর উপলক্ষে বুড়িমারী স্থলবন্দরে পাঁচদিন আমদানি-রপ্তানি বন্ধ থাকবে।

  • তিস্তা নিয়ে ভারত আন্তর্জাতিক আইন লঙ্ঘন করেছে: জোনায়েদ সাকি

    তিস্তা নিয়ে ভারত আন্তর্জাতিক আইন লঙ্ঘন করেছে: জোনায়েদ সাকি

    গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়ক জোনায়েদ সাকি বলেছেন, আন্তর্জাতিক আইন অনুযায়ী অববাহিকার ওপর যতগুলো দেশ রয়েছে সবাই সেই নদীর পানি সমানভাবে পাবেন। কিন্তু ভারত সরকার সেই আইন লঙ্ঘন করে তিস্তায় গজলডোবা বাঁধ দিয়ে পানি একতরফা ব্যবহার করছে।

    সোমবার (১৭ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে জাগো বাহে তিস্তা বাঁচাই -স্লোগানে তিস্তা নদী রক্ষা আন্দোলনের ৪৮ ঘণ্টা অবস্থান কর্মসূচিতে রংপুরের গঙ্গাচড়া বাজারে মঞ্চে অতিথির বক্তব্যে তিনি একথা বলেন।  

    জোনায়েদ সাকি বলেন, আমরা দেখেছি শেখ হাসিনার ফ্যাসিস্ট সরকার শুধু গদি টিকিয়ে রাখার জন্য, দেশের মানুষের স্বার্থ ও দেশের মর্যাদা কীভাবে বিকিয়ে দিয়েছে। ফলে আমরা তিস্তার পানির ন্যায্য হিস্যা পাইনা।  

    ভারত একতরফাভাবে পানি ব্যবহার করছে। অথচ আন্তজার্তিক আইনে আছে অভিন্ন নদীতে সব দেশের অধিকার সমান। ভারত উজানে আছে বলে, তিস্তার ওপর তাদের অধিকার বেশি এটা মোটেও সত্য না। আন্তর্জাতিক আইন মতে সঠিক নয়। ওই যে তিস্তা নদী যার উৎপত্তি স্থল সিকিম থেকে অসংখ্য বাঁধ দিযে রেখেছে। তিস্তার ব্যাপারে ভারত আইন লঙ্ঘন করেছে। গজল ডোবার পরে যেটুকু পানি আছে তা নিয়ে চুক্তি করার কোনো দরকার নেই।

    তিনি বলেন, ৫ আগস্ট এই দেশের ছাত্র-শ্রমিক-জনতা, এদেশের ফ্যাসিবাদ বিরোধী রাজনৈতিক দল ও সর্বোপরি দেশের মানুষ আন্দোলনে ছিল। তারা শুধু একটি ফ্যাসিস্ট সরকারকে গদি থেকে নামায়নি, দেশ ছেড়ে পালিয়ে যেতে বাধ্য করেছিল। ফলে আমার প্রিয় এই বাংলাদেশকে নতুনভাবে গড়ে তোলার সুযোগ পেয়েছি।

    তিনি আরও বলেন, আজকে বাংলাদেশের সব মানুষকে সব দিক থেকে সংগঠিত হতে হবে। যাতে আমরা দেশকে নতুন করে গড়ে তুলতে পারি। ১৯৭১ সালের মহান মুক্তিযুদ্ধের মধ্যদিয়ে বাংলাদেশের যে স্বপ্ন তৈরি হয়েছিল। এই দেশে সাম্য প্রতিষ্ঠা পাবে। মানুষের সমান অধিকার থাকবে। ন্যায় বিচার প্রতিষ্ঠা পাবে, সেটা আদালত কিংবা অর্থনৈতিক হোক। যে ধর্ম-জাতি-লিঙ্গেও হোক না কেন, সব মানুষের মানবিক মর্যাদা থাকবে। সেই আশা আকাঙ্ক্ষা স্বাধীনতার ৫৩ বছরেও পূরণ হয়নি। আমার পিছিয়ে গেছি। সর্বশেষ ১৫ বছরে বাংলাদেশকে মুক্তিযুদ্ধের উল্টো স্রোতে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। ২০২৪ সালে আমাদের দেশের মানুষ সেই আকাঙ্ক্ষা আবারও জাগিয়ে তুলেছে। বাংলাদেশ হবে বৈষম্যহীন, এদেশ কারো কাছে মাথা নত করবে না।

     রংপুর মহানগর বিএনপির আহবায়ক সামসুজ্জামান সামুর সভাপতিত্বে ও সদস্য সচিব অ্যাডভোকেট মাহফুজ উন নবী ডনের সঞ্চালনায় এসময় প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেন, বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সাবেক মন্ত্রী ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকু।

    এসময় বক্তব্য দেন- গঙ্গাচড়া উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক ওয়াহেদুজ্জামান মাবু, জেলা ছাত্রদলের আহ্বায়ক শরীফ নেওয়াজ জোহাসহ বিভিন্ন স্থরের নেতারা।

    তিস্তা নদীর দুই পাড়ের ৫টি জেলার ১১টি পয়েন্টে ৪৮ ঘণ্টার অবস্থান কর্মসূচি পালন করা হচ্ছে। লালমনিরহাট, রংপুর, নীলফামারী, গাইবান্ধা ও কুড়িগ্রাম জেলার ১১টি পয়েন্টে করা হয়েছে মঞ্চ ও থাকার ব্যবস্থা। তিস্তাপাড়ের মানুষ তাদের দাবি আদায় করতে টানা ৪৮ ঘণ্টা অবস্থান কর্মসূচি পালন করছেন। তিস্তা নদীর ১২৫ কিলোমিটারের দুই তীর জাগো বাহে তিস্তা বাঁচাই স্লোগানে মুখর হয়ে উঠেছে। এই অবস্থান কর্মসূচিতে যোগ দিয়েছে শিশু, বৃদ্ধ, নারী, পুরুষ সবাই।  

    সমাবেশের বিভিন্ন পয়েন্টে পৃথক পৃথকভাবে অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন- জাতীয় পার্টির (কাজি জাফর) চেয়ারম্যান সাবেক মন্ত্রী মোস্তফা জামাল হায়দার, বিপ্লবী ওয়াকার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল হক, বিএনপি স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায়, আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী, ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকু, মেজর (অব.) হাফিজ উদ্দিন আহমেদ বীর বিক্রম, বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান বরকত উল্লাহ বুলু, বিএনপির চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা কণ্ঠশিল্পী বেবি নাজনী, বিএনপির সহ সাংগঠনিক সম্পাদক আব্দুল খালেক।  

  • লালমনিরহাটে র‌্যাব-১৩ অভিযানে ৪৭৮ বোতল ফেন্সিডিল সহ গ্রেপ্তার দুই

    লালমনিরহাটে র‌্যাব-১৩ অভিযানে ৪৭৮ বোতল ফেন্সিডিল সহ গ্রেপ্তার দুই

    লালমনিরহাটের কালীগঞ্জ উপজেলায় ৪৭৮ বোতল ফেন্সিডিল সহ দুইজনকে গ্রেপ্তার করেছে র‌্যাব-১৩ নীলফামারী সিপিসি-২।
    গতকাল মঙ্গলবার(৬ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন র‌্যাব-১৩ উপ-পরিচালক (মিডিয়া) স্কোয়াড্রন লিডার মাহমুদ বশির আহমেদ।
    গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন কালীগঞ্জ উপজেলার চলবলা ইউনিয়নের নিথক (ঢাকাইটারী) এলাকার আব্দুল আজিজের ছেলে আবুল হোসেন(৩২) ও ময়নার চরা চন্দন পাট এলাকার সাজু মিয়ার ছেলে মরম আলী (৩৫)।
    প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে সোমবার(৫ ফেব্রুয়ারি) সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে আবুল হোসেনের বাড়িতে অভিযান চালিয়ে ৪৭৮ বোতল ফেন্সিডিল উদ্ধার করা হয়। এসময় প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে তারা মাদক কারাবারী সাথে সম্পৃক্ত শিকার করেছে।

  • বুড়িমারী স্থলবন্দরে মজুরি নিয়ে শ্রমিক ও সর্দারদের সংঘর্ষ, সাংবাদিকসহ আহত ১৫

    বুড়িমারী স্থলবন্দরে মজুরি নিয়ে শ্রমিক ও সর্দারদের সংঘর্ষ, সাংবাদিকসহ আহত ১৫

    মো: আফজালুল হক রিন্টু, পাটগ্রাম (লালমনিরহাট) প্রতিনিধি

    লালমনিরহাটের বুড়িমারী স্থলবন্দর এলাকায় বকেয়া মজুরির দাবি এবং কম মজুরির অভিযোগে লোড-আনলোড শ্রমিক ও সর্দারদের সংঘর্ষে এক সাংবাদিকসহ কমপক্ষে ১৫ জন আহত হয়েছেন। এর মধ্যে গুরুতর আহত তিনজনকে রংপুর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
    মঙ্গলবার দুপুরে এই সংঘর্ষ হয় বলে পুলিশ ও প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছে। সংঘর্ষের জেরে পাটগ্রামের ইউএনও, সহকারী পুলিশ সুপার ও ওসিকে প্রায় পাঁচ ঘণ্টা অবরুদ্ধ করে রাখা হয়।
    আহতরা হলেন বুড়িমারীর কলাবাগান এলাকার আসাদুজ্জামান (২৫), পণ্ডিতপাড়ার জামিয়াল (৫৬), তেলিপাড়ার মো. বাবুল (৪৫), ব্যাঙকান্দার ফাতানুর (৪০), মধ্য খিলাপুরের মো. নুরনবী (২৩), বামনদলের আলী হোসেন (২৫), কইল্লাটারির মো. সুমন (২০), গুচ্ছগ্রামের শরিফ উদ্দিন ও মনিজুল এবং এশিয়ান টিভির পাটগ্রাম প্রতিনিধি এম এ কামাল। এর মধ্যে নুরনবী, শরিফ ও মনিজুলকে গতকাল বিকেলে পাঠানো হয়েছে রংপুর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে।
    শ্রমিক সূত্র ও প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, শ্রমিকদের বকেয়া মজুরি নিয়ে সর্দারদের বিরোধের জেরে গত সোমবার উত্তেজনা ও মহাসড়ক অবরোধের ঘটনা ঘটে। পরে পাটগ্রামের ইউএনও নুরুল ইসলাম ঘটনাস্থলে গিয়ে ১৬ সেপ্টেম্বরের পর বিষয়টি সুরাহার আশ্বাস দিলে অবরোধ তুলে নেওয়া হয়।
    কিন্তু মঙ্গলবার সকাল থেকে আবারও উভয় পক্ষের মধ্যে উত্তেজনা দেখা দেয়। দুপুরে উভয় পক্ষ দেশি অস্ত্র, লাঠি ও পাথর নিয়ে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে।
    সংঘর্ষ থামাতে পুলিশ রাবার বুলেট ছোড়ে। সংঘর্ষের কারণে পাটগ্রাম-বুড়িমারী মহাসড়কে যান চলাচল বন্ধ হয়ে পড়ে।
    উত্তেজিত শ্রমিকরা মহাসড়কে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করায় সন্ধ্যা সাড়ে ৬টায় শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত মহাসড়কের উভয় পাশে আমদানি-রপ্তানি পণ্যবাহী অনেক যানবাহন আটকে ছিল। বুড়িমারী থেকে ঢাকার উদ্দেশে ছেড়ে যায়নি দূরপাল্লার কোনো নৈশ কোচ। সংঘর্ষের কারণে আমদানি-রপ্তানি কার্যক্রমও ব্যাহত হয়। শ্রমিকদের উভয় পক্ষের মধ্যে উত্তেজনা বিরাজ করায় বিকেলে ঘটনাস্থল ও আশপাশের এলাকায় অতিরিক্ত পুলিশ ও বিজিবি মোতায়েন করা হয়েছে।
    বন্দর সূত্রে জানা গেছে, বিকেল সাড়ে ৫টার দিকে পরিস্থিতি কিছুটা শান্ত হয়ে এলে বুড়িমারী উদ্ভিদ সঙ্গনিরোধ অফিসেই ইউএনও, সহকারী পুলিশ সুপার ও ওসি সাধারণ শ্রমিক ও সর্দারদের প্রতিনিধিদের নিয়ে আলোচনায় বসেন।
    সন্ধ্যা পর্যন্ত আলোচনা চলছিল।
    বুড়িমারী স্থলবন্দরের শ্রমিকরা জানান, প্রতিষ্ঠা থেকে বুড়িমারী স্থলবন্দর শ্রমিক কল্যাণ ফেডারেশন পরিচালনা করেন ২৪ জন সর্দার। সম্প্রতি সংগঠনের সর্দারদের বিরুদ্ধে সাধারণ শ্রমিকরা অর্থ আত্মসাৎ, সংগঠনের নির্বাচন না দিয়ে নিয়ন্ত্রণ, ন্যায্য মজুরি না দেওয়ার অভিযোগ করছেন।
    মঙ্গলবার সন্ধ্যায় পাটগ্রামের ওসি ফেরদৌস ওয়াহিদ বলেন, ‘পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে পুলিশ ২০ রাউন্ড রাবার বুলেট ছুড়েছে।’
    পাটগ্রাম উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা নুরুল ইসলাম বলেন, দুই গ্রুপের সংঘর্ষে আমি অবরুদ্ধ হয়ে পড়ি। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে শ্রমিক নেতাদের সঙ্গে কথা চলছে।